Update Story
📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাত_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৬    📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাতো_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৫    

ভাইয়ের বন্ধু যখন বর😍 part-38+39



দেখতে দেখতে ছয়টা মাস কেটে গেলো।ঈশান ও এখন আগের থেকে একটু বড় হয়েছে। জিসান ও তিশার ছেলের নাম ঈশান রাখা হয়েছে।সে দিন হাসপাতাল থেকে বাসায় আসার সাতদিন পরই আকীকা দিয়ে ঈশানের নাম করণ করা হয়েছে।এই ছয়মাসে অনেক কিছু বদলে গেছে।তিশা আসার পর বাড়ীর সবাই কিছুটা রেগেছিলো,এভাবে কাউকে কিছু না বলে চলে যাবার জন্য,ঈশানের কথা লুকাবার জন্য।কিন্তু আস্তে আস্তে ঈশানকে পেয়ে সবাই ভুলে গেলো সব।
"
"
"
"
কিন্তু একজন মানুষ এখনো কোনো কিছু ভুলেনি।আর সে হলো জিশান।জিশান তিশার দেয়া কস্ট গুলো এখনো ভুলেনি,তাইতো  তিশার প্রতি ওর অবহেলাটা বেরে গেছে।তিশাকে দেখেও না দেখার মতো থাকে।জিসানের এই অবহেলাটা তিশাকো খুব পোড়ায় ভেতরে।কিন্তু কাউকে বলতো পারেনা।এমন নয় জিসান তিশাকে ভালোবাসে না।ভালোতো এখনো বাসে আগের মতো,কিন্তু প্রকাশের ধরনটা বদলে গেছে।এই তো সেদিনের কথা।
"
"
"
"
ঈশানকে দেখতে কিছু আত্মীয় এসেছিলো।তাদের মুখে তো তিশার কথাই লেগে আছে।স্বামী সংসার ফেলে যে মেয়ে এতো দিন কই না কই ছিলো।এই মেয়েকে কিভাবে এতো সহযে ঘরে তুললো জিসান।আর জিসানের মা, তুমি বা কিছু বললে না কেনো।
তিশার শ্বাসুড়ী ভালো করেই বুজতে পারলো এরা শুধু ঈশানকে দেখতে আসেনি,সুযোগ বুজে আপমানও করতে এসেছে।তাই জিসানের মা কথা বাড়াতে চায়নি।অন্যকোনো প্রসঙ্গ তুলতে চাইলে।কিন্তু বলেনা কিছু মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই।অন্যের সংসার নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকে তারা।নিজের সংসার জাহান্নামে যাক,তাতে কি।
"
"
"
"
ঠিক সে সময় জিশান এসে হাজির তাদের সামনে,তো কেমন আছেন আপনারা।নিশ্চই আমাকে নিয়ে আলোচনা করছেন।(বাড়ীতে এদের দেখে নিশু কল করে জিসানকে।নিশু ভালো করেই বুঝতে পারছিলো,যারা কোনদিন খোঁজ খবর নেয়নি,এমন আত্মীয় হঠাৎ উদয় হয়েছে।নিশ্চই কোন না কোন মতলবে)
"
"
"
আরে কি বলোস জিসান, আমরা তোকে নিয়ে কেনো আলোচনা করবো,আমরা তো তোর গুণবতী বউর কথা বলছি।এটা বলেই সবাই হেসে উঠলো।
"
"
"
জিসান একবার তিশার দিকে খেয়াল করলো,তিশা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।তিশার চোখের কোনের জলটা আর কেউ দেখুক বা না দেখুক জিশান ঠিকই দূর থেকে দেখতে পরেছে।
"
"
"
একই কথা আন্টি,,,,, আমি আর আমার বউতো আলাদা না।আর শুনুন বউতো আমার তাই তাকে কি বলবো,বা কি করবো সেটা আমার উপরে ছেড়ে দিন।আমার বউকে নিয়ে আপনাদের এতো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন তো আমি মনে করি না।বউ যেহেতু আমার তাই তার ভুলভাল সব ঠিক করার দায়িত্ব ও আমার।আপনাদের টেনশন করতে হবে না।আপনারা মেহমান হয়ে এসেছেন মেহমান হয়ে থাকুন।আমার পরিবারের কোন বিষয় নাক না গলালে খুশি হবো।
"
"
"
এসব কথার মাঝে ঈশান কান্না করে উঠে।তখন জিসান ঈশান কে কোলে নিয়ে তিশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,ঈশানের মনে হয় ক্ষুদা লাগছে,ওকে নিয়ে গিয়ে খাওয়া।তিশা তখন ঈশানকে কোলে নিয়ে চলে যায় রুমে।
"
"
মেহমান গুলোও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে চলে যায়।জিসানের মাও হাফ ছেড়ে বাঁচে।
"
"
এদিক দিয়ে তিশা ভাবতে থাকে,কি আশ্চর্য!!, আমার মাঝে  মাঝে মনে হয় আমি এখনো জিসানকে চিন্তে পারিনি।নিজে অবহেলা করবে,অপমান কারবে অথচ কেউ আমাকে কিছু বললে,তা উনি সহ্য করবে না।নিজে কস্ট দেবে,কিন্তু অন্য কারো কাছে আমাকে ছোট হতে দেবে না।এ কেমন ভালোবাসা জিসানের।
"
"
"
"
হসপিটাল থেকে আসার পর থেকেই জিসান আমার সাথে হ্যা বা না ছাড়া কোনও কথা বলে না।আগের মতো আমাকে বকেও না আবার আদরও করে না।এমনকি রাতে আমার সাথে এক বিছানায় ঘুমায়ও না।জিসানের রাত কাটে সোফায় আর আমার কাটে ঈশানের সাথে বিছানায়।এই ছয় মাসে  নিজ থেকে অনেকবার চেস্টা করেছি উনার কাছে আসতে কিন্তু প্রতিবারই কস্ট পেয়েছি।তবুও ধের্য্য হারায়নি।এভাবেই চলচিলো,,,,কিন্তু

একদিন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে উঠে দেখি জিসান নেই সোফায়।তাই আমি উনাকে দেখতে বারান্দায় গেলাম।উনি বারান্দায় রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগেরেট টানছে।আমি সব ভয়,লাজ স্মরম রেখে তাকে পেছন দিয়ে জরিয়ে ধরি।
"
"
"
কেনো এমন করছেন আমার সাথে, আমাকে বকুন, মারুন তবুও আমাকে এভাবে দূরে সরিয়ে রেখেন না। প্লিস জিসান।এবার তো ক্ষমা করুন।আমি আর কখনো এমন করবো না।আমার সাথে কথা বলুন জিসান।আপনার এই চুপ থাকা আমি যে আর নিতে পারছিনা।প্লিস আমার সাথে কথা বলুন।আমি উনার পিঠে মাথা রেখে কাঁদছি। ঠিক তখনি উনার বুকের সামনে থাকা দুটো হাতের মধ্যে একটা হাত ধরলো খুব শক্ত করে।এতো দিন পর এই প্রথম উনি আমার হাতটা ধরলেন।
"
"
"
জানিস তিশা তুই যাবার পর আমি এর থেকেও বেশি যন্ত্রনা ফিল করেছি।প্রতিটা রাত আমার নির্গুম কেটেছে।কতো রাত চিৎকার করে কেঁদেছি জানি না। শুধু এই ভয় পেতাম আমার তিশার কিছু হয়নি তো।ও ঠিক আছে তো।আমার ভালোবাসায় এমন কি ভুল ছিলো যার কারনে তুই আমাকে ছেড়ে জেতে বাধ্য হলি।আমি ভাবতাম তুইও আমাকে ভালোবাসিস।কিন্তু আমার সব ধারনাই ভুল ছিলো,তুইতো কখনো ভালোবাসিসই নি আমাকে। শুধু বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছিস স্বামী নামের এই আমাকে।
"
"
"
আমি জিসানের সামনে এসে উনার গালটা আমার দুহাতে আবদ্ধ করে, আমি আপনাকে ভালোবাসি জিসান।আর এটা মিথ্যা না।শুধু স্বামী বলে আপনাকে মেনে নিয়েছি,এটা সত্য না,আমি আপনাকে ভালোবাসি,ভালোবাসি বলে আপনার সাথে থাকতে চাই,ভালোবাসি বলে আপনার সাথেই মরতে চাই।আমার অস্তিত্বে আপনে মিশে আছেন,আপনাকে ছাড়া আমি নিজেকে কল্পনাও করতে পারিনা।

আমি কথাগুলো বলার সময় জিসান আমার দিকে কেমন ভাবে জেনো তাকিয়ে ছিলো,উনার আজকের চাওনী আমার কাছে খুব অচেনা লাগছিলো।উনি একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিলো আর আমাকে তার কাছ থেকে সরানোর জন্য একটা ধাক্কা দিলো।আমি তাল সামলাতে না পেড়ে নিচে ফ্লোরে পরে গেলাম।আর উনিও আমার সামনে হাটু গেড়ে বসলো।হাতে আরো একটা সিগারেট ধরিয়ে একটা টান দিলো,আর আমার দিকে তাকিয়ে বললো।
"
"
"
জানিস ভালোবাসার মুল মন্ত্র কি।""বিশ্বাস ""....যাকে আমরা ভালোবাসি তাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতে শিখতে হয়।আর তুইতো আমাকে বিশ্বাস ই করিসনা।ভালোবাসা তো দূরে থাক।যদি বিশ্বাস করতি তাহলে আমাকে এভাবে ছেরে চলে জেতে পারতি না।আমাকে কস্ট দিতে পারতি না।একটা সত্য কথা বলতো,তোর মনে হয়নি,আমার অপরাধ সম্পর্কে আমাকে অবগত করা।আরে ফাঁশির আসামী কেও একবার সুযোগ দেয়া হয় কিছু বলার।তাহলে আমি কেনো পেলাম না।বলতো।আমার ভেতরটাও পুড়েছে জানিস কেমনে,ঠিক এভাবে....
জিসান তিশার পা টা শক্ত করে ধরে জলন্ত সিগারেট টা লাগিয়ে দিলো।শুধু একবার না,একই জায়গায় তিনবার জলন্ত সিগারেট টা ধরে রেখেছিলো।
"
"
"
তিশা চিৎকার দিতে চেয়েও চিৎকার দিতে পারেনি,ঈশান উঠে যাবে বলে।তাই দুহাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরেছে,সহ্য করতে না পেরে।চোখ দিয়ে পানি তিশার অনোবরত পরছে।কিন্তু তবুও জিসানকে কিছু বলছে না।
"
"
"
আর কখনো আমার কাছে আসার চেস্টা করবি না,এখন যেমন আছিস তেমনি থাকতে হবে তোকো । এভাবেই থাকতে হবে বাকি জীবন আমার সাথে।তুই এখান থেকে কখনো মুক্তি পাবিনা।জিসান উঠে ওয়াসরুমে চলে গেলো।আর তিশা অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করতে লাগলো।নিজে উঠে দাঁড়াতেও পারছে না।খুব কস্টে দেওয়াল ধরে উঠে দাঁড়ালো। আস্তে আস্তে বিচানায় গিয়ে শুয়ে পরলো।কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু ফজরের আজানে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।তাই উঠে নামায পরতে বসলো।তিশা যাবার পর জিসানও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতো।তাই জিসানও উঠে নামায পড়ে আবার ঘুমিয়ে পরে।তিশা ও উঠে ঈশানের পাশে শুয়ে পরে।
"
"
"
"
সকালে একটু দেরি করেই জিসানের ঘুম ভাঙ্গে,কাল রাত দেরি করে ঘুমিয়েছিলো বলে।আজ উঠে তিশা ও ঈসান কে রুমে দেখতে পেলো না।হয়তো উঠে গেছে।জিসানও ফ্রেস হয়ে নিচে চলে গেলো।ঈশানের সাথে বসে কিছুক্ষন খেলা করে,নাস্তা করে নিলো।কিন্তু ঘুম থেকে উঠে এই পর্যন্ত তিশাকে একটিবারও আর দেখলো না।তাই হতাশ হয়ে জিসান অফিসে চলে গেলো।তিশা আজ রান্না ঘরেই ছিলো,ইচ্ছা করেই জিসানের সামনে আসেনি।কাল রাতের ঘটনা স্মরণ হলে তিশার বুকটা এখনো কেপে উঠে।জিসানের এমন একটা রুপ তিশা আগে কখনো দেখেনি।কাল তিশা জিসানের চোখে কোন দয়া বা মায়া দেখেনি নিজের প্রতি,দেখেছে শুধু অভিমান আর রাগ ।
"
"
"
"
ঈশান তানজিলার কাছেই বেশির ভাগ থাকে।শুধু খাওয়া আর রাতে ঘুমানোর সময় ঈশানকে পায় তিশা।তা না হলে সারাদিন ঈশান কখনো তানজিলা ,কখনো দাদা দাদী ,বা নিশুর কাছেই থাকে।মাঝে মধ্যে তিশার মন চায় হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে।কারন ও ছেলেকে মাজে মধ্যে খুঁজতে বের হতে হয়।সারাদিন যার কাছেই থাকুক না ঈশান,জিসান এলে আর কেউ নিতে পারেনা।জিসান বাসায় এসেই আগে ঈশান কে খুঁজে। আর ঈশানও আজকাল বাবাকে ভালোই চেনে।মাজখান দিয়ে আমি পর হয়ে গেলাম।ঈশান সবার কাছে থাকতে পারে বলে ভালোই হলো,কারন আজ শরীল খুব খারাপ লাগছে।পায়ের পুড়ার ব্যাথায় জ্বর আসছে মনে হয়।তাই ভাবীর কাছে ঈশান কে দিয়ে কিছুক্ষন শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষন পর কাপানি দিয়ে জ্বর আসছে।জ্বরের ঘরে কিছুই আর মনে নেই।
"
"
"
"
"
ঈশানকে খাইয়ে দাইয়ে বিকেলে ভাবীর কাছে দিয়ে এসেছিলো তিশা,এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে।জিসানও কিছুক্ষন পর চলে আসবে।আর এসেই ছেলেকে খুঁজবে। তাই তানজিলা ঈশানকে কোলে নিয়ে তিশার রুমে আসে।এসে দেখে তিশা ঘুমিয়ে আছে।
এই মেয়ে এই ভরা সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে আছে কেনো।এই দিক দিয়ে তো  নামাযের সময় ও চলে যাচ্ছে।তাই তানজিলা তিশার কাছে এসে ওকে উঠানোর  জন্য হাতটা ধরে ঝাকাতে নেয়।দেখে তিশার গা পুরে যাচ্ছে জ্বরে।তানজিলা তারাতারি ওর শ্বাসুড়ী কে ডেকে আনে।নিশুও চিল্লাচিল্লির শব্দ পেয়ে দৌড়ে চলে আসে।তারাতারি ডক্তর কে ফোন দেয়।কিছুক্ষন পর জিসানদের ফ্যামিলি ডক্তর চলে আসে।ডক্তর চেক করার সময় তিশার পায়ের দিকে চোখ যায়।পুড়া জায়গাটাতে ফোসকা পরে গেছে।খুবই খারাপ অবস্থা। ডক্তর সবাইকে জিঙ্গেস করলো,এটা কিভাবে হয়েছে।কিন্তু্ু উপস্থিত কেউ কিছু বলতে পারেনি।তখন ডক্তর পুড়া জায়গাটা ভালো করে ড্রেসিং করে দেয়,আর বলে এটার যন্ত্রনার কারনেই জ্বর আসছে।জ্বর, ব্যাথা আর শরীল দূর্বল হবার কারনে তিশা জ্ঞান হারায়।ডক্তর ঔষুধ দিয়ে তিশার শ্বাসুড়ীর সাথে কথা বলতে বলতে নিচে নামছিলো।জিসান ও তাওহিদ ঐসময় বাসায় প্রবেশ করে।আর ডক্তরকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
"
"
"
মা কে অসুস্থ, ঈশান ঠিক আছে তো।~জিসান।
"
"
জিসান বাবা ঈশান ঠিক আছে।আমি তো তোমার বউকে দেখতে এলাম।
"
"
কেনো?তিশার কি হইছে।
"
"
আগে বলো তোমার বউয়ের পা এভাবে কিভাবে পুড়লো।খুবই খারাপ অবস্থা। ব্যাথার কারনে জ্বর এসে পরেছে।আর খুব দূর্বলও শরীল।সারা দিন মনে হয় কিছু খায়নি।তুমি একটু খেয়াল রেখো।রাতও যদি জ্বর না কমে,তাহলে হসপিটাল এ নিয়ে জেতে হবে।আমি এখন আসি।
"
"
"
"
ডক্তরের কথাগুলো শুনে আমি এক মিনিটও দাঁড়ায় নি,দৌড়ে রুমে চলে আসি।এসে দেখি তিশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।নিশু জল পট্টি দিচ্ছে,আমি ওকে ইশারা করায় ও চলে গেলো।আমি তিশার পাশে বসে ওকে জরিয়ে ধরলাম।ওর গালে, কপালে ঠোটে পাগলের মতো কিস করলাম।তিশার শরীল  গরম হয়ে আছে জ্বরে।আমি সত্যি সরি জান।আমি এমন চাইনি।তুই এতোটা কস্ট পাবি ভাবিও নি, সরি জান,সরি.....।সরি বলে তিশার কপালে একটা ডিপ কিস করে।হয়তো তিশা জাগনা থাকলে এসব কিছুই করতো না জিসান।
এদিক দিয়ে জিসান তিশার শরীল থেকে কাপড়গুলো খুলে পুরো শরীল মুছে দেয়।তিশাকে এতোদিন পর এতোটা কাছে পেয়ে জিসান কিছুটা ঘোরে চলে জেতে নেয়,কিন্তু পরমুহুর্তে নিজেকে সংযত করে ফেলে।তিশার পাটা দেখে।পা টার মধ্যে ও একটা কিস দেয়।

জিসান তিশাকে আজও আগের মতো ভালোবাসে।কিন্তু আজ অভিমানটা ভালোবাসা থেকে বেশি জায়গা করে নিয়েছে।তাই তিশাকে কস্ট দেয়, কিন্তু এতে জিসানও খুব কস্ট পায়।তা হয়তো বুঝতে দেয়না তিশাকে।তাতে কি!!!জিসানের ভালোবাসা কম হবে না তিশার প্রতি।তিশাকে হারানোর ভয়টা জিসান এতোই বেশি পেয়েছে যে,তিশা এখন জিসানের অনুমতি ছাড়া বাড়ীর বাহিরে যাওয়াও নিশেধ। বাড়ী চার পাশে গার্ড রাখা আছে।গার্ডকে নির্দেশনা ও দিয়ে দেওয়া হইছে।এমনকি এই ছয় মাসে জিসান তিশাকে বাপের বাড়ীও জেতে দেয়নি।এই হলো তিশার প্রতি জিসানের অন্যরকম ভালোবাসা।

গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি কিছুটা অবাক হয়ে যাই।কারন সেই বিকেলে ঘুম দিয়ে ছিলাম।হঠাৎ ঈশানের কথা মনে পরে, পাশে ফিরে দেখি ঈশান ও জিসান দুজনেই আমার পাশে শুয়ে আছে।আমি কিছুটা আশ্চর্য হলাম।কারন এ কয়েক মাসে জিসান সোফায় ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছিলো।আস্তে করে ঈশান কে নিজের দিকে টেনে নিলাম।পরম শান্তি লাগছে আমার এই মুহুর্তে।ছেলেটাকে সেই বিকেলে খাইয়ে দিয়েছি।এ পর্যন্ত আর নিজের কাছে আনতে পারেনি।নিশ্চই অনেক কেঁদেছে আমার জন্য।দুধের বাচ্চা।সবার কাছে থাকে কিন্তু একটা সময় তার মাকে তো লাগেই।অথচ আমি এই ভাবে পরে পরে ঘুমিয়ে ছিলাম।কিভাবে পারলাম আমি...।ছেলের কস্টের কথা চিন্তা করে চোখ দিয়ে কিছু অশ্রু বালিশে পড়লো তিশার। 
(এ এক পরম সুখ একজন মায়ের জন্য।তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।একজন মা-ই বুজবে।) 
"
"
"
"
ঈশান কে রেখে আমি বিছানা থেকে উঠতে নিলাম।কিন্তু পাটা নিচে ফেলার সাথে সাথে কিছুটা ব্যাথা অনুভব করলাম।(আআআআআ)আর নিজের অজান্তেই মুখ থেকে একটু শব্দ বের হয়ে আসলো।সাথে সাথে  বিছানায় বসে পড়লাম।পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি ব্যান্ডেজ করা।এটা কে করলো।ভাবতে লাগলাম কি করা যায়।ওয়াসরুম এ যাওয়া দরকার কিছুক্ষন পর আযানও দিবে নামাযটা তো পরতে হবে কি করি।সামনে মোবাইল দেখে চিন্তা করলাম,নিশু বা তানজিলা ভাবীকে কল দেবো।না না এতো রাতে তাদের জালানো ঠিক হবে না।এসব চিন্তা করতে,হঠাৎ মনে হলো আমি শুন্যে ভাসছি।একটু পর বুজতে পারলাম কেউ আমায় পাজা কোলে নিয়েছে।আমি তার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।আমাকে নিয়ে গিয়ে ওয়াসরুমে নামিয়ে দিলো।
"
"
"
পায়ে পানি লাগাবি না, নামায পরতে চাইলে তায়াম্মুম করে নেয়,তোর হয়ে গেলে আমাকে ডাক দিস আমি বাহিরে আছি।~জিসান।
"
"
"
আমি তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।কি বলবো আসলে ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা এই মুহুর্তে।এইতো কালই বললো তার কাছে জাতে না যাই,আর আজ নিজেই পিরিত করতে আসে।ঢং দেখলে গা জ্বলে।নিজেই কস্ট দেবে আবার নিজেই সেবা করবে।শয়তান কোথাকার।আমি এমন আকাশ পাতাল চিন্তা করে যেই ওয়াসরুম এর দরজাটা লাগাতে নিলাম,তেমনেই উনি দরজাটা এক হাত দিয়ে ধরে ফেললো।আমি উনার দিকে ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে রইলাম।
"
"
"
কি হলো দরজা লক করছিস কেনো।এতো রাতে এখন রুমে কেউ আসবে না,আর আমি তো আছি।তাই দরজাটা শুধু ভিড়িয়ে দে।লাগানোর দরকার নেই।
"
"
"
তার এসব কথায় আমি ভ্রুটা কুচকিয়ে তাকিয়ে রইলাম।আসলে তাকে বুঝার চেস্টা করছি।আর তখনি আমার চিন্তার মাঝে এক বালতি জল ফেলে দিলো।
"
"
"
কি হলো এমন ভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো।আমার কি নতুন করে রুপ জলজল করছে। সত্যি করে বলতো,নিজে একা ফ্রেস হতে পারবি নাকি আমার ভেতরে আসতে হবে,তোকে সাহায্য করার জন্য।~জিসান
"
"
"
উনার কথায় আমার মনে হলো,আমি নিজে যদি এক বালতি পানি এই লোকটার শরীলে ঢেলে দিতে পারতাম।মনটা শান্তি হতো।নাএএএ...(আমি কিছুটা চিল্লিয়ে) আমি একাই পারবো।বলো দরজাটা ভিড়িয়ে দিলাম।
"
"
"
এদিক দিয়ে জিসান দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবছে।এই মেয়েটা মনে হয় না এই জীবনে আমাকে বুঝবে।সারা জীবন আমাকে এভাবেই পুড়াবে।আমার ভেতরে অশান্তির ঝড় উঠিয়ে নিজে খুব শান্তি পায়।কিন্তু এবার থেকে আমি একা পুড়বো না, তোকেও পুড়াবো।তবে সেটা হবে আমার তাপে।আমার তাপে তোকে আমি পুরাবো আবার আমার ভালোবাসার শীতলে তোকে ডুবাবও।
"
"
"
আমি ওয়াসরুম এর দরজাটা খুলার সাথে সাথে দেখলাম উনি দাঁড়িয়ে আছে।আমি কিছু বলার আগেই আমাকে আবার কোলে তুলে নিলো।আমি মানা করলেও সে শুনে নাই।আমাকে জায়নামাজ এ বসিয়ে দিলো।নিজেও ওযু করে আমার সামনে নামাযের জন্য দাঁড়ালো। দুজনেই এক সাথে নামায শেষ করলাম।উনি আমাকে উঠিয়ে বিছানায় না বসিয়ে সোফায় বসিয়ে দিলেন।আমি মনে মনে ভাবছি,কি হলো....এখন কি আমাকে বলবে,আজ থেকে তুই সোফায় ঘুমাবি।আমার খাটে তোর কোনও জায়গা নেই।ব্লা ব্লা ব্লা......।
কিন্তু না সে এসব কিছুই বললো না।
"
"
"
এখানে চুপচাপ বস,আমি আসছি।কিছুটা যেয়ে থেমে গেলো...আর হে জায়গা থেকে এক পা ও নড়বি না।~জিসান।
"
"
আমি সোফায় হেলান দিয়ে মনে মনে ভাবছি, আসলে কোন রসকষ নেই এই লোকটার মাঝে।কথায় কথায় হুমকি দেয় আমায়।মনে হয় আমি উনার বউ না,কোনও জেলখানার কয়দি।আর উনি জেলার।যাই হোক এই বাহানায় উনি আমার সাথে কথা তো বলছে,আজ কতোদিন পর উনি নিজ থেকে আমার কাছে আসছে।আমি এতেই খুশি।আগে যদি জানতাম তাহলে নিজেই নিজের পা পুড়িয়ে দিতাম।হঠাৎ কিছুর শব্দে আমার ধ্যান ভাঙ্গলো। সামনে তাকিয়ে দেখি সাহেব আমার খাবার নিয়ে এসেছে।আমিতো আজ অবাক এর উপর অবাক।
"
"
"
খেয়ে নে।তারাতারি।~জিসান।
"
"
আমি কিছুক্ষন তার দিকে তাকিয়ে মুখটা অন্যদিকে ঘুড়িয়ে ফেললাম।আমি খাবো না,ক্ষুধা নাই আমার।(একদম মিথ্যা কথা আমি কাল দুপুরে খেয়েছি এখনো কিছু পেটে যায়নি তাই খুব ক্ষুদা ও লাগছে।)
"
"
"
দেখ তিশা নাটক করবি না একদম।চুপচাপ খেয়ে নে,তুই না খেলে ঈশানকেও না খেয়ে থাকতে হবে।আর তোর জন্য আমার ছেলে না খেয়ে থাকলে কিন্তু তোকে আমি আস্তো রাখবোনা। এসব কথা শুনেও আমি চুপচাপ বসে আছি।এর পর কি মনে করে উনি খাবারটা হাতে নিয়ে নিজেই আমার সামনে ধরলো,আমি মুখ খুলছিলাম না,তাই অন্য হাত দিয়ে আমার মুখটা চেপে ধরে খাবার দিয়ে দিলো মুখে।উনার মুখে স্পষ্ট রাগ আর কস্ট দুটাই দেখা যাচ্ছে,কারনটা যে আমি তা আর নতুন করে বলতে হবে না। সে সব আমাকে খাইয়ে ছাড়লো।সে খেয়েছে কিনা তা জানতেও চাইছিলাম।কিন্তু কোনও কথা বললো না।আমার কোন কথার জবাব দেওয়া সে এখন প্রয়োজন মনে করে না।কিন্তু তবুও আজ আমি খুব খুশি । এতোদিন পর তাকে কাছে পাওয়ার সুখ,তার হাতে খাবার খাওয়া সব জেনো এক সাথে আমি পেয়ে গেছি।তাই আমার চোখ দুটো দিয়ে জল অনোবরত পড়ছে, আর আজ এটা কস্টের না সুখের।কিছুক্ষন পর উনি নিজেই আমার চোখের জলগুলো মুছে দিলেন।খাওয়া শেষ করে উনি সব কিছু আবার রেখে এলেন।আর আমাকেও কোলে করে বিছানায় শুয়ে দিলেন।
"
"
ঘুমিয়ে পর।এখনো পুরোপুরি সকাল হয়নি।~জিসান।
"
"
 জিসানও গিয়ে ঈশানের পাশে শুয়ে পড়লো।এখনো বাড়ীর কেউ উঠেনি তাই আরো একটু ঘুমানো দরকার। আজকের সব কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম মনে নেই।

এভাবে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলো।এ কয়েকদিন জিসান আমার অনেক খেয়াল রাখলো।এখন অনেকটা সুস্থ আর পাটা রাখতেও এখন কস্ট হয় না।তাই নিজেই নিজেই হাটতে পারি।এসবের মাঝে একটা জিনিস খুব ভালো হইছে আর তা হলো জিসান এখন আমার আর ঈশানের সাথে বিছানায় ঘুমায়।

আজ বাড়ীতে মেহমান আসবে,তাওহিদ ভাইয়ের কিছু ফ্রেন্ড আর তাদের বউ ও সাথে আসবে।তাই বাড়ীতে অনেক কাজ।ঈশানকে নিশি সামলাচ্ছে। আমার শরীল যেহেতু ভালো তাই আমিও ভাবী আর মাকে সাহায্য করছি।তারা অনেক মানা করলো কিন্তু আমি শুনিনাই।সব রেডি এখন শুধু মেহমানদের অপেক্ষা।আমি পাকের ঘরের গরমে ভিজে একাকার তাই রুমে গিয়ে একটা শাওয়ার নিলাম।শাড়ীটা ঘরে পড়বো বলে ইচ্ছা করে বিছানায় রেখে এসেছি।কারন এ সময় বাড়ীতে কোন পুরুষ নেই।আমি শাওয়ার নিয়ে রুমে এসে শাড়ীটা পরতে নিলাম।হঠাৎ কে জেনো ঘরে ডুকলো,আমি ভয় পেয়ে পেছনে তাকাই।একি জিসান,আর এ সময়।আমি উনাকে দেখতে এতোটাই ব্যস্ত আছি যে, আমার খেয়ালি নেই আমি যে শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট পরে দাঁড়িয়ে আছি।উনি আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে কোট টা সোফায় রেখে,টাই খুলতে খুলতে ওয়াসরুম এ চলে গেলো,আর ওয়াসরুম এর দরজাটা এতো জরে লাগালো যে আমি নিজেই ভয় পেয়ে গেলাম।আমি আসলেই বুঝে উঠতে পারিনি উনি এমন ভিলেন চোখে কেনো তাকিয়ে ছিলো আর এখন সব রাগ দরজার উপর কেনো ছাড়লো।আমি আর কিছু ভাবতে চাইনা, তাই শাড়ীটা পরে নিচে চলে গেলাম।
"
"
"
"
উফফ,এই মেয়েটা একদিন পাগল করে দিবে আমাকে।এভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কেউ।আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ ডুকে পরতো রুমে তখন।এমনেই ও সামনে থাকলে আমার রাগ গুলো সব কিভাবে যে উড়ে যায়।বলতেও পারিনা।মনে মনে ওকে শাস্তি দেবার কতো কিছু চিন্তা করে রেখেছি।কিন্তু কেনো যে পারি না।ওর কাছে গেলেই আরো কাছে জেতে মন চায়,ওকে অনেক ভালোবাসতে মন চায়।কিন্তু না ওর সামনে দূর্বল হলে চলবে না,যতোটা কস্ট আমি পেয়েছি,ওকেও পেতে হবে।আমার সীমাহীন ভালোবাসাকে অবহেলা করেছে।তাই ওকেও অবহেলার এই অনুভূতি বুঝতে হবে।জিসানও শাওয়ারে নিচে দাঁড়িয়ে কথা গুলো ভাবছে।তিশাকে এভাবে দেখে জিসান এরও মাথা গরম হয়ে গিয়েছে।নিজেকে কোন্ট্রল করতে হবে।
"
"
"
"
তাওহিদ ভাইয়ের চারজন ফ্রেন্ডস আসছে।এদের মধ্যে আরিফ, আর ফয়সাল ভাইয়ের ওয়াইফ সাথে আসছে,আর শাহিব ভাইয়ের ওয়াইফ বাপের বাড়ী গেছে বলে আসতে পারেনি।আরও একজন আসছে রিয়াদ ভাই।উনার ওয়াইফের সাথে উনার দুবছর আগেই তালাক হয়ে গেছে।অবশ্য এই তালাকের কারন উনি উনার ওয়াইফকে দোষারুপ করে।

আমাদের সমাজ এমনি, এখনে তালাক যে কারনেই হোক দোষ শুধু বউয়ের হয়,স্বামী দোষী হোক বা না হোক,একটা মেয়েকেই দোষী করা হয়।তখন সেই মেয়েটা হয় আসামী, আর সমাজের যোগ্য,গন্য মান্য লোকগুলো সবাই বিচারপতি,কি সমাজ আমাদের।

সবাই ড্রয়িংরুম এ বসে কথা বলছে।জিসানও ঈশানকে নিয়ে বসে সবার সাথে আলাপ করছে।কিছুক্ষণ পর তানজিলা ভাবীর ডাকে আমিও ড্রয়িংরুম এ উপস্থিত হলাম।তানজিলা ভাবী সবার সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো।সবাই খুব ভালো।আমিও তাদের সাথে পরিচয় হলাম।এর মধ্যে রিয়াদ ভাই বললো,you are so beautiful. And তোমার নামটাও তোমার মতো মিস্টি।তোমাকে দেখলে মনে হয়না তুমি বিবাহিত।আমার তার কথাগুলো তেমন ভালো না লাগলোও সৌজন্যতা বজায় রাখতে,একটা ধন্যবাদ দিলাম।কিন্তু এর পর লক্ষ্য করলাম,রিয়াদ ভাই কিভাবে জেনো আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, এর পর চা পানি নেওয়ার বাহানায় লোকটি আমাকে বার বার টাচ করছে,আমার খুব বেশি অস্বস্তি লাগছে।কিছু বলতেও পারছি না,তাই বার বার জিসানের দিকে তাকালাম।কিন্তু আমার ভাবনায় উনি জল ঢেলে দিলেন।উনি ঈশানের সাথে খেলতে ব্যস্ত। আমাকে দেখার মতো সময় তার নেই।এদিক দিয়ে লোকটা কেমন ভাবে জেনো আমার দিকে তাকিয়েই আছে।তাই আমি আর এক মুহুর্তে ওখানে না দাঁড়িয়ে চলে গেলাম।ভেবেছিলাম এদের সামনে আর আসবো না।কিন্তু ডিনার করার সময় আবার আসতে হল,লোকটি এখানেও এমন  করছে।আমি কিছু বলতে পারছি না।জিসানের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।আর উনিতো নিজে খাচ্ছে আর সাথে ঈশানের মুখেও অল্প অল্প করে দিয়ে খাওনোর চেস্টা করছে।কি মনোযোগ দিয়ে কাজটা করছে,মনে হয় ছেলেকে আজই সব শিখিয়ে ফেলবে।খাওয়ার পর সবাই কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে চলে গেলো।আমিও সব কিছু গুচগাচ করতে লাগলাম।
"
"
"
"
সবাই যাওয়ার জন্য বের হলো,তাওহিদ ভাই ও তানজিলা ভাবীও তাদেরকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য বের হলো।সাথে আমিও বের হলাম।আর রিয়াদ ভাইকে ডাক দিলাম।হ্যান্ডশেক করার জন্য হাতটা বাড়ালাম,আর রিয়াদ ভাইও হাসতে হাসতে হাত বাড়ালো কিন্তু তার হাসিটা মুহুর্তের মধ্যে বিলিন হয়ে গেলো।কারন হলো জিসান এতো জরে হাতটা ধরছে যে বেচারা কিছুতেই ছাড়াতে পারছে না।বরং হাতের ব্যাথায় আআআআ করে উঠে।

জিসান কি করছো,ছাড়ো আমায়।আমার খুব লাগছে।রিয়াদের চিল্লাচিল্লিতে তাওহিদ ও বাকি সবাই ঘুড়ে তাকালো,তাওহিদ দৌড়ে এসে জিসান কে হাত ছাড়ার জন্য বলছে।কিন্তু জিসান তো নাছোড়বান্দা। ও হাতটা আরো জরে চাপ দিয়ে ধরেছে।কেউ কিছু বুজে উঠতে পারছে না।কি হচ্ছে এসব।
"
"
জিসান ছাড় ভাই কি করেছে ও।~তাওহিদ।
"
"
ওর সাহস কি করে হলো,আমার তিশার দিকে নোংরা চোখে তাকানোর,আর ওকে স্পর্শ করার।এই হাত দিয়ে বার বার ওকে টাচ করার চেস্টা করছিলি না।কি করে ভাবলি আমি কিছুই দেখতে পাইনি।আমি সব দেখেছি।কিন্তু তুই ভাইয়ের বন্ধু বলে আর মেহমান হয়ে এসেছিস বলে ঘড়ে কিছু বলিনি।আর কোনও দিন তোকে জাতে এই বাড়ীর আশেপাশে না দেখি তাহলো মেরে তোর লাশকে কুকুর কে খাওয়াবো।মনে রাখিস।

জিসান হাতটা ছেড়ে দিলো।রিয়াদ ব্যাথায় নিচে বসে পড়লো।তাওহিদ আর বাকি সব বুজতে পারলো।কিন্তু কেউ কিছু বললো না।কারন রিয়াদের চরিত্র এমনেই ভালো না।ওর এসব বাজে স্বভাব এর জন্যই ওর বউ ও ছেড়ে চলে গেছে।কিন্তু তাওহিদ আসা করেনি ও এমন কিছু করবে বাসায় এসে, তাহলে আর ইনভাইট ও করতো না।রিয়াদ কে ফয়সাল ধরে হসপিটাল এ নিয়ে গেলো।রিয়াদ ব্যাথায় হাতটা নাড়াতেও পারছে না।
"
"
"
আমি পাকের ঘরের কাজ সেরে রুমে চলে গেলাম ঈশানকে দেখতে।কিন্তু রুমে এসে দেখি ঈশান নেই।ভাবলাম ঈশান নিশ্চই মায়ের ঘরে।তাই মায়ের ঘরের দিকে জেতে নিলাম।কিন্তু কেউ আমাকে টেনে রুমে নিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।আমার বুজতে একটুও সময় লাগলো না এটা যে জিসান।উনি রাগী একটা লুক নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আর আমি চিন্তিত,যে আজ আবার কি করলাম।কিন্তু এতো চিন্তা করেও কিছু পেলাম না।কিছুক্ষন পর উনিই বলে উঠলো।
"
"
"
পরপুরুষ এর স্পর্শ পেতে খুব ভালো লাগে তোর,তাই না।
"
"
উনার কথায় আমার মাথা গরম হয়ে গেলো।মন চাইলো উনাকে এই মুহুর্তে গরম খুন্তি এনে কয়েকটা ছেক দিয়ে দি।এসব কি বলছেন আপনে।
"
"
ও ও কি বলছি,কেনো এখন বুজতে পারছিস না।রিয়াদ যখন বাহানা দিয়ে  বার বার তোকে স্পর্শ করছিলো কি মনে করেছিস আমি কিছু দেখিনি।নাকি আমি অন্ধ।খুব মজা লাগছিলো তাই না।তাইতো কিছু না বলে,মজা নিচ্ছিলি।
"
"
হাত ছাড়ুন আমার লাগছে।~তিশা।
"
"
তাই,আমি ধরলে ব্যাথা লাগে,আর রিয়াদ যখন ধরছিলো খুব মজা লাগছিলো।
"
"
একদম বাজে বকবেন না,আমি কি তাকে বলছি আমাকে ধরতে।আর ঐ লোকটা যে বার বার আমার সাথে এমন করছিলো,তখন কিছু কেনো বললেন না, এখন আমাকে শাসাতে আসছেন।
"
"
আমার কথা শুনে উনি আমার হাতটা ছেরে দেন।আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।কিন্তু পরক্ষনে উনি আমার ভাবনার ছেদ করে আমার কোমড় কে শক্ত করে ধরে উনার বুকের সাথে চেপে ধরলেন।আর এতে উনার নাকের গরম নিশ্বাস আমার মুখের উপর পরছে।আর উনার চোখ জোড়া আমার চোখেই আবদ্ধ। 
"
"
তাইতো রিয়াদের হাতটা শুধু ভেঙেছি।বাড়ীতে জেই আসুক আর কোনো দিন তোকে যাতে না দেখি কোনও ছেলেমানুষ এর সামনে  এমন হ্যাং হ্যাং করে জেতে।আর আজকাল দেখছি তোর মুখে খই ফুটছে।খুব বেশি বেশি কথা বলিস।আমি আবার, কিভাবে চুপ করাতে হয় খুব ভালো করে জানি।দেখাবো....
"
"
"
উনি আঙ্গুল দিয়ে আমার মুখে স্লাইড করছে।এতে আমার যায় যায় অবস্থা।আমার নিশ্বাস জেনো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,যখন উনার  হাতটা আমার গলা থেকে নিচে নামছে।উনি কি বলছে আমার কানে কিছু আসছে না।একসময় উনি আমার চুলের ভেতরে হাত দিয়ে আমাকে আরো কাছে এনে আমার ঠোটকে নিজের ঠোটে আবদ্ধ করে ফেললো।আমি আসলে স্বপ্ন দেখছি নাকি বাস্তব এ হচ্ছে কিছুই বুজতে পারছি না।কারন আমি শকড।কিন্তু  উনি উনার কাজে ব্যস্ত।মনে হয় অনেক চাওয়ার পর কেউ কিছু পেলে যেমন যত্ন করে রাখে,ঠিক তেমনি উনি ও আজ পেলো।অনেকক্ষন পর উনি নিজেই ছেড়ে দিলো।আর আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো,আমি সামলাতে না পেড়ে বিছানায় পরে গেলাম।আর উনি চলে গেলো।আমার এমন রাগ উঠলো,অসভ্য কোথাকার।
"
"
কি বল্লি তুই......।(জিসান ফিরে এসে)
"
"
কিছু না....তো,আমি বললাম।আজ কি বার।আপনে কি শুনলেন।উনাকে আবার দেখে আমার গলা শুকিয়ে গেলো।হিটলার টা শুনছে কিনা কে জানে।শুনলে আমার খবর আছে।তুলে একটা আছাড় মারতেও কস্ট হবে না আমার জন্য।
উনি এবার চলে গেলো।আর আমি ভয়ে সামনের গ্লাসে রাখা পানিটা এক ঢোকে খেয়ে ফেললাম।কিছুক্ষন চিন্তা করলাম,ব্যাটারে একটু শিক্ষা দিতে হবে।কিভাবে দিবো।দিন দিন উনার হিটলার গিরি বেড়ে যাচ্ছে।
আমি কিছু চিন্তা করে মায়ের রুমে গেলাম।মা ঈশানের সাথে খেলছে।আমি গিয়ে মায়ের পাশে বসলাম।
"
"
"
জানিস তিশা ঈশান দেখতে একদম জিসানের মতো হইছে।আমার কাছে লাগে আমার ছোট জিসানটা বসে আছে।দেখ জিসানের ছোটবেলার ছবি।

মা আমার হাতে অনেক পুরানো ছবির এলবাম দিলো।এখানে জিসানের ছোটবেলার অনেক ছবি আছে।দেখতে কতো কিউট লাগতো উনাকে। কে জানতো এই কিউট ছেলেটি এমন রাগী হবে বড় হলে।

আমি মায়ের সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে,মাকে হঠাৎ বললাম, মা আমি বাড়ী যাবো।আমার এ কথা শুনে আমার শ্বাসুড়ী মা এমন ভাবে তাকালো মনে হয় কি এমন কঠিন আবদার জেনো আমি করিছি।কি হলো মা,আপনে কি চিন্তা করছেন।
"
"
কিছু না,জিসানকে বলো।ওর কোনো সমস্যা না হলে জেতে পারো।
"
"
মা উনিতো আমার কোনও কথা পাত্তাই দেয়না।প্লিস মা আপনে একবার বলুন।আপনাকে মানা করতে পারবে না।
"
"
মা কিছুক্ষন ভেবে,আচ্ছা আমি চেস্টা করবো ওকে রাজি করাতে,কিন্তু কথা দিতে পারছি না।

আচ্ছা, আমার লক্ষীমা।মাকে জরিয়ে ধরে।

খুশিতে ব্রেক লাগাও তিশা,আগে তোর স্বামীকে ম্যানেজ করতে পারি কিনা দেখি।যে ত্যারা আমার ছেলে।মা হয়ে আমি নিজেও ভয় পাই ওকে।

পরের দিন সকাল......

সবাই নাস্তা করছে,ঠিক এ সময় তিশার শ্বাসুড়ী,জিসান তিশা বাপে বাড়ী যেতে চায় কিছুদিনের জন্য।তুই ওকে আর ঈশানকে সাথে করে নিয়ে দিয়ে আস।
"
"
এ কথা শুনে জিসান একবার আমার দিকে তাকালো,এর পর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,আমি দিয়ে আসবে এক শর্তে, আমার সাথে রাতে আবার চলে  আসতে হবে।
"
"
আমি বলছিলাম কি জিসান শোন.....
"
"
না মা, এই ব্যাপারে কিছু আর শুনতে চাই না।আমার শর্তে রাজি থাকলে জেতে পারবে।তা না হলে যাওয়ার কেন দরকার মনে করি না।জিসান উঠে চলে গেলো।আর তিশা জিসানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অন্য কিছু ভাবছে।

চলবে.......

[[খুব শীঘ্রই গল্পটা শেষ হয়ে যাবে।আশা করি সবাই পাশে থাকবেন]]


No comments