ভাইয়ের বন্ধু যখন বর😍 part-5+6
-রায়হান ও জিসান সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গেলো।কারন আজ গায়ে হলুদ,আর ডেকোরেশন এর দায়িত্ব পড়লো তাদের, তাই তারা সকাল সকালই কাজ শুরু করে দিলো।
"
"
-তিশা লোক জনের কোলাহলের শব্দে ঘুমাতে পারছে না।বিয়ে বাড়ী বলে কথা।শব্দ তো হবেই।তাই সেও ঘুম থেকে উঠে গেলো।আজ সকালটা তার কাছে অনেক ভালো লাগছে,গ্রামের বিয়ে বাড়ী গুলো ঢাকার মতো না,কিন্তু অনেক মজা হয়,বান্ধবীদের মুখে অনেক শুনেছিলো।তাই সেও আজ অনেক মজা করবে ভাবছে মনে মনে।
"
"
-ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বাহিরে এসে দেখলো সবাই ব্যস্ত।তিশা চিন্তা করলো একটু হাটাহাটি করে চারপাশ টা দেখি।কালতো রাত ছিলো কিছুই দেখতে পারিনি।রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে অনেকটা দূরই এসে পড়লো বাড়ী থেকে।চারদিকে ধানক্ষেত,সবুজের সমাহার।হঠাৎ পিছে ঘুড়ে তিশা ভয়ে আতকে উঠলো।সামনে তিনটা ছেলে দাড়িয়ে আছে।তাদের মতলোব ভালো দেখাচ্ছে না,তিশা বুঝতে পারলো।পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলে ওরা বাধা দেয়।কিছু বলার আগেই ওরা তিশার হাত ধরে ফেলে।তিশা চিল্লাতে শুরু করে।এমন সময় ওদের তিনজনের মধ্যে একজন বলে... আরে সুন্দরী এমন করো কেনো।আমরা তো তুমারে মারবো না,একটু আদর করবো।এটা বলে ওরা হাসাহাসি করছে।
"
"
-রায়হান বার বার তিশাকে বলেছিলো,একা কোথাও যেতে না।কিম্তু তিশা এমন ভুল কিভাবে করলো।নিজের ভুলের কারনে এতো বড় বিপদে পড়তে হলো।তিশা মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে।কারন চারপাশে কেউ নেই,যে তিশাকে সাহায্য করবে।তিশার চোখদিয়ে ভয়ে পানি বের হচ্ছে।
"
"
-ছেলেটা তিশার হাত ধরে টেনে একটা ঝোপের মধ্যে নিয়ে যেতে চাইলো।এমন সময় তিশা বুজলো তাকে কেউ ধরে রেখেছে।পেছনে তাকিয়ে দেখে জিসান।তিশা এই প্রথম জিসান কে দেখে এতো খুশি হলো।জিসান তিশার অন্য হাতটা ধরে রাখছে।
"
"
-ঔই কেডারে তুই।আমাগো মালের দিকে নযর দেস।জানোস আমরা কে।(ওই ছেলেগুলোর মধ্যে একজন বললো।)
"
"
-জিসান রাগে তিশাকে একটা থাপ্পড় মারলো।তিশাতো আবাক।গালে হাত দিয়ে জিসান এর দিকে তাকিয়ে দেখলো জিসানের চোখ দুটা লাল হয়ে আছে।
"
"
-তোকে না বলছি একা কোথাও বের হবিনা।তুই এখানে একা একা কি করছোস।তুই কেনো কোন কথা শুনুছ না বলতো।সমস্যা কি....।জিসান তিশার সাথে রাগারাগি করছে এমন সময় তিশার হাতের দিকে ওর নজর যায়।হাতটা লাল হয়ে গিয়েছে।এটা দেখে জিসানের রাগ আরো বেরে যায়,কে তোকে ধরছে এদের মধ্যে।তিশা চুপ হয়ে আছে।এখন জিসান জরে একটা ধমক দিলো।....তিশা ভয় পেয়ে যায়।
"
"
-তিশা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে ছেলেটা ওর হাত ধরেছিলো।
"
"
-জিসান ছেলেটার সামনে গিয়ে এমন জোরে একটা থাপ্পড় মারে, যে ছেলেটা রাস্তার অনেকটা দূরে গিয়ে পরে।নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায়।থাপ্পরটা এমনি জোরে ছিলো,ওদের মধ্যে আরেক জন জিসান কে মারার জন্য এগিয়ে আসতে চাইলে জিসান তার বুকে এমন এক লাত্থি মারে,ছেলেটা পাসের ক্ষেতে গিয়ে পরে।আর ওদের সাথে তয় ছেলেটা ভয়ে পালিয়ে যায়।প্রথম ছেলেটাও চলে যেতে যেতে বলে এর প্রতিশোধ আমি নেবো।
"
"
-জিসান তিশার হাত ধরে বাসায় নিয়ে এলো।এই দৃশ্য অনেকেই দেখছে গ্রামের।তিশাকে সোজা ওর ঘরে গিয়ে বসালো।
"
"
-এখনো জিসান এর রাগ কমছে না।কারন ও সময় মতো না গেলে আজ কি হতো, তা ভেবেই ওর বুক কেপে উঠে।তিশার দিকে তাকিয়ে আছে।তিশা খাটে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।কিছুই বলছে না।
জিসান দেখলো তিশার গালে ওর আঙ্গুলের ছাপ পড়ে গেছে।তা দেখে জিসান নিজেই নিজেকে বকছে কিভাবে তিশাকে মারতে পারলো সে।রুম থেকে বের হয়ে পাশের রুম থেকে একটা মলম নিয়ে আসলো।একটা চেয়ার নিয়ে তিশার সামনে বসলো।জিসান মলমটা নিয়ে ওর গালে লাগাতে গেলে,তিশা বললো, আমাকে দিন,আমি নিজেই লাগাতে পারবো।।।
"
"
-চুপ,একদম....।নাকি আরো একটা থাপ্পড় খাবি।আমাকে আমার কাজ করতে দে।জিসান আস্তে আস্তে করে ওর গালে মলম টা লাগিয়ে দিলো।নাস্তা করেছিস, জিসান তিশাকে জিঙ্গেস করলো।তিশা মাথা নাড়িয়ে না বললো।ওকে আমি সীমাকে দিয়ে নাস্তা পাঠিয়ে দিচ্ছি,চুপচাপ লক্ষীমেয়ের মতো নাস্তা করেনিস।কোন নাটক একদম করবি না।
"
"
-তিশা রাগি চোখে জিসানের দিকে তাকায়।😡
"
"
-আমিই তোকে মারবো,আবার আমিই তোকে আদর করে মলম ও লাগিয়ে দেবো।।এই অধিকারটা শুধু আমার।জিসান একটু হেসে কথাটা বলে বাহিরে চলে গেলো।সীমাকে তিশার নাস্তার জন্যও বলে দিলো.........।😍
"
"
-তিশা অবাক হয়ে জিসানের যাওয়ার পথে তাকিয়ে রইলো।।তিশা ভাবতেও পারেনি জিসান এমন কোন কথা বলবে ওকে।
"
"
-সীমার ডাকে তিশার ঘোর কাটলো,সীমা ওকে নাস্তা করিয়ে দিলো।
"
"
-জিসান বাহিরে এসে রায়হানকে সব বললো।রায়হানেরও তিশার উপর খুব রাগ আসলো।এতো করে বুজাবার পরও এই মেয়েটা এমন ভুল কেমনে করলো।রাগে তিশার কাছে যেতে চাইলে জিসান বাধা দেয়।আজ এমনেও অনেক হইছে আর না।আমি ওকে যা বলার বলে দিয়েছি।পরে কথা বলিস।এমনেই অনেক কাজ আছে তা সারি তারাতারি চল।
"
"
-সারা দিন তিশা আর রুম থেকে বের হয়নি।আসলে জিসানকে দেখে বিষণ লজ্জা লাগছে ওর।তাই সারা দিন সীমার সাথেই ছিলো।
রাতে হলুদের জন্য একটা হলুদ জামদানি শাড়ী পড়লো। মুট ভরে চুড়ি পড়লো।হালকা সাজে গাড় লিপস্টিক দিলো।মাথার সামনের চুলগুলো ক্লিপ দিয়ে বেধে নিলো।পেছনোর চুলগুলো কাটা দিয়ে খোপা করে নিলো।এর থেকে বেশি সাজ ওর পছন্দ না।
"
"
-এ দিকে জিসান ও রায়হান ও তৈরি হয়ে গেলো।রায়হান আগেই বের হলো।জিসান তৈরি হয়ে বাহির হতেই দেখলো তিশা শাড়ি টিক করতে করতে রুম থেকে বের হচ্ছে, সামনে যে জিসান দাঁড়িয়ে আছে তা ওর খেয়ালিই নাই।জিসানের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলে জিসান ধরে ফেলে।জিসানের এক হাত তিশার কোমড়ে আর এক হাত দিয়ে তিশার হাত ধরে আছে।
"
"
-আল্লারে বাঁচাও.....ভয়ে তিশা চোখ বন্ধ করে ফেললো।কিছু ক্ষন পর তিশা চোখ খুলে দেখে জিসান ওকে ধরে রাখছে,তা না হলে পড়ে কোমর আজ যেতো।
"
"
-জিসান তিশাকে সোজা করে দাঁড় করালো।কোথায় চোখ রেখে হাটস বলতো।এখন যদি আমি না থাকতাম কি হতো।
"
"
-আপনে ছিলেন বলেই পড়ে যেতে নিয়েছি,তা না হলেতো আমি পড়তামই না,ভুল আপনার ছিলো,আর আমাকে বকছেন শুধু শুধু।আর আপনে না ধরলে অন্য কেউ ধরতো,কেউনা কেউ বাঁচাতো আমাকে।
তিশা এক দমে কথা গুলো বলে জিসানের দিকে তাকালো।
"
"
-জিসানের চোখ ২টা লাল হয়ে গিয়েছে রাগে।তিশাকে অন্য কেউ ধরতো এ কথাটা শুনতেই জিসানের রাগ চরম মাত্রায় পৌছে গেছে।তিশার হাতটা ধরে টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দিলো।তিশা এবার ভয় পেয়ে গেলো।জিসান তিশার দিকে এক পা এক পা করে আগাতে লাগলো তিশা ভয়ে পিছিয়ে যেতে লাগলো,ভয়ে তিশার মুখ দিয়ে কথাও বের হচ্ছে না।কারন তিশা জিসানের এমন রুপ আগে দেখেনি কোন দিন।পেছনের দেয়ালে তিশার পিঠ ঠেকে গেলো।
"
"
-তিশার কাধের দুপাসে হাত রেখে তিশাকে জিঙ্গেস করলো,কি বললি তুই.... আবার একটু বলতো।
"
"
-আ....মি...মি কিকিকি..... বললাম।(তিশা ভয়ে ভয়ে বললো)
"
"
-তোকে অন্য কেউ ধরবে মানে।কেউ তকে ধরলে আমি তাকে জেন্ত কবর দেবে।আর তুই কাউকে ধরলে তোর হাত কেটে দেবো মনে রাখিস।আর এতো সেজে গুজে কই জাস।গায়ে হলুদ তোর বোনের তোর না।আর এতো বড় কেনো ব্লাউজ এর গলা,শরীল দেখাতে খুব ভালো লাগে তাই না।জিসান তিশার খোপাটা খুলে পিঠটা ঢেকে দিলো চুল দিয়ে।এমন বড় গলার ব্লাউজ আর কখনো যাতে পরতে না দেখি।এ কথা বলে তিশার কপালে একটা ভালোবাসার পড়স বসিয়ে দিলো।তিশা হালকা কেপে উঠলো।তিশা এখনো হতোভম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।আর জিসান চলে গেলো।😍😍😍
"
"
-হঠাৎ জিসান আবার আসলো। কি রে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি।নাকি বাহিরে আসবি,রায়হান ডাকছে তকে।
"
"
-জিসানের কথায় ধ্যান ভাঙ্গলো তিশার।একটু আগে যা ঘটলো তা কি সত্য ছিলো।😯
"
"
-তিশা বাহিরে গিয়ে দেখলো উঠান ভর্তি মানুষ।তিশা এদিক ওদিক তাকিয়ে সব কিছু দেখতে লাগলো,কারন কাউকে ও তেমন ভালো করে চিনে না।হঠাৎ দেখলো জিসান কে ঘিড়ে অনেকগুলো মেয়ে দাড়িয়ে আছে।আর ও মেয়ে গুলোর সাথে হাসাহাসি করছে।তিশার গা জ্বলে যাচ্ছে।ঢং আমাকে বলে কোনো ছেলের আশেপাশে ও যাতে না যাই।আর নিজে মেয়েদের মাঝে বসে রংতামাসা করছে।(তিশা মনে মনে জিসানের চৌদ্দ গুষ্টি কে বকছে)
"
"
-জিসান আড় চোখ দিয়ে সব দেখছে,আর হাসছে।
"
"
-তিশা রেগে গিয়ে সীমার পাশেগিয়ে বসলো,সবাই হলুদ দেয়া আরম্ভ করলো।
"
"
-আর জিসান শুধু তিশার দিকেই তাকিয়ে আছে।এই মেয়েটা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।আজ ওকে পরীর মতো লাগছে।এভাবে চলতে থাকলে নিজেকে ওর কাছ থেকে দূরে রাখা কস্ট হয়ে পড়বে।এ মেয়েটা কি এখনো বুঝতে পেরেছে আমি ওকে কতো ভালোবাসি।এক নাম্বারের গর্দভ, আমি খুব ভালো করেই জানি.....ও হয়তো এখনো বুঝেনি।😐
(খুব কস্ট করে লিখি,প্লিস কমেন্ট করে জানাবেন কেমন সাজাতে পারছি।)
.
ভাইয়ের বন্ধু যখন বর😍
🙄🙄
part -6
-জিসান তিশার দিকেই তাকিয়ে আছে।এই মেয়েটা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।আজ ওকে পরীর মতো লাগছে।এভাবে চলতে থাকলে নিজেকে ওর কাছ থেকে দূরে রাখতে কষ্ট হয়ে পরবে।আচ্ছা তিশা কি এখনো বুঝতে পেরেছে আমি ওকে কতো ভালোবাসি।এক নাম্বারের গর্দভ, আমি খুব ভালো করেই জানি.....ও হয়তো এখনো বুঝেনি।😐
কিভাবে ওকে বুঝাবো।আমাকে দেখলেই এরিয়ে চলে।মনে হয় আমি কোন জঙ্গল এর বাঘ ওকে গিলে খেয়ে ফেলবো।ওওও আল্লাহ এ মেয়েটাকে একটু বুদ্ধিদেও।তা না হলে আমার জীবন তেজপাতা করে তুলবে।
(জিসান তিশার দিকে এক নযরে তাকিয়ে মনে মনে কথাগুলো বলছে আর হাসছে)😊
-সীমা তোকো অনেক সুন্দর লাগছে,জিজু দেখলে পাগল হয়ে যাবে।(তিশা)
-তাই তুমিও কোন দিক দিয়ে কম লাগছো না।দেখনা... বউ আমি আর সবাই তোমার দিকে তাকিয়ে আছে।কতো জনকে আজ ঘায়েল করে দিচ্ছো কে জানে।(সীমা)
-তাইনি জেলাস ফিল করছো গো....(তিশা মুখটা একটু ভেঙ্গছিয়ে সীমা কে বললো।
-চারদিক নজর করতে গিয়ে হঠাৎ জিসান এর চোখ পড়লো সকালের ছেলে তিনটার দিকে।ষ্টেজ এর পাশে একটা গাছে দাঁড়িয়ে কথা বলছে আর তিশার দিকে তাকাচ্ছে।ওরা তিশাকে নিয়ে কিছু একটা বলছে এটা জিসানের বুজতে আর বাকি রইলো না।তাই সে তাড়াতাড়ি রায়হানের কাছে গেলো,আর সব খুলে বললো।রায়হানকে ছেলেগুলোকে দেখিয়ে বললো,এদের কে এখানে ইনভাইট করছে।
-মামা দেখোতো এদের চিনেননি,মামা তাকিয়ে দেখলো এরা এই এলাকার মেম্বার এর ছেলে আর তার বন্ধু।রায়হান মামাকে সব খুলে বললো, সকালে কি কি হলো,আর এখনও ওরা তিশাকে ইশারা করে কি জেনো বলছে।(রায়হান মামার সাথে)
-হে আল্লাহ কি বলস।আমাকে আগে বলস নাই কেনো।এরা একবার যার দিকে নযর দেয় তার জীবন নস্ট করে দেয়।এই এলাকার অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে।মেম্বার এর ছেলে বলে কেউ কিছু করতে পারে না।দেখ তোরা তিশার দিকে একটু নযর রাখিস।ওকে একা কোথাও যেতে মানা করিস।টিক আছে।আল্লাহ... আল্লাহ করে দুদিন ভালোয়ভালো গেলেই হলো।তার পর এক মিনিটও তোদের এখানে থাকার দরকার নাই।(তিশার মামা)
-জিসান ও রায়হান টেনশনে পরে গেলো।তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলো জিসান যেহেতু মেহমানদের বেশির ভাগকেই জানে না তাই জিসান শুধু তিশার দিকে নযর রাগবে,আর রায়হান মেহমানদের আপ্যায়ন করবে।
-জিসান তিশাকো কিছু বলিস না,অর মনটা খারাপ হয়ে যাবে।টেনশন ও করবে।(রায়হান)
-হুমমম টিক বলেছিস। ওকে বুজতে দেয়া যাবেনা,অর আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে।
-রায়হান চলে গেলো,কারন মামার একার পক্ষে এতো কিছু করা সম্ভব না।আর জিসান দূর থেকে তিশাকে পাহারা দিচ্ছে।
-একজন একজন করে সীমাকে সবাইকে গায়ে হলুদ দিলো,রায়হান ব্যস্ত বলে জিসানকে ভাই হয়ে হলুদ দিতে বললে সবাই।জিসান সীমার কপালে একটু হলুদ দিয়ে একটু মিস্টি খাইয়ে দিলো।হঠাৎ তিশা বলে উঠলো এতো মিস্টি খাইস না.... বিয়ের আগেই মুটকি হয়ে যাবি।
-তিশার কথা শুনে জিসানের খুব হাসি পেলো।একটু হলুদ নিয়ে তিশার নাকে লাগিয়ে দিলো।সীমার কথা না ভেবে তুই নিজেকে দেখ দিন দিন কোলবালিশ হয়ে পড়ছিস।তোর জামাইয়ের কোলবালিস কেনা আর লাগবে না,তোকে পেলেই হবে।
-জিসানের কথা শুনে তিশার মাথা নস্ট হয়ে গেলো।কিকিকি।আমি কোলবালিস? কোন দিক দিয়ে। আপনার চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।ঢাকায় গিয়ে চোখের ডাক্তার দেখাবেন। আর আপনে আমাকে হলুদ দিয়েছেন কেনো।বিয়ে কি আমার।🤨
-না তোর না,তবে শুনেছি বউয়ের হলুদ কুমারী মেয়েদের দিলে তার বিয়ে নাকি তারাতারি হয়।তাই আর কি তোকে দিয়ে দিলাম যাতে করে তোকেও আমরা তারাতারি বিদায় করতে পারি।😜
-তিশাতো রেগে গিয়ে চলে যেতে চাইলে সীমা বাধা দেয়।আরে কই জাস,জিসান ভাইয়া তোর সাথে দুষ্টুমি করছে।দেখস না মিটমিটিয়ে হাসছে।তিশা খেয়াল করলো সত্যিই জিসান হাসছে অর দিকে তাকিয়ে।
-তিশা মনে মনে যতো গালি ছিলো সব জিসান কে দিলো।🤬
-অনুষ্ঠানের গান বাজনাও শুরু হয়ে গেলো।সবাই অনেক আনন্দ করছে।ছেলে পক্ষ আর মেয়ে পক্ষের মধ্যে অনেক খেলা চলছে,গিফট আদান প্রদান।কেউ ভাঙ্গা গলায় গান করছে,আবার কেউ নাচছে।যে যেটা পারছে করছে।হঠাৎ তিশার দিকে খেয়াল করলো,একটা ছোট মেয়ে তিশাকে শরবত এনে দিলো,তিশা মেয়েটার সাথে কথা বলছে আর শরবতটা খাচ্ছে।জিসান ভাবলো হয়তো তিশার পিপাসা পেয়েছে তাই মেয়েটা কে দিয়ে আনিয়েছে।
-আরে এটা কার জন্য,ছোট মেয়েটি এটা তোমার জন্য।আমার জন্য কে দিয়েছে।ভাইয়া দিয়েছে মেয়েটি বলে দৌড় দিলো।তিশা ভাবলো হয়তো রায়হান ভাই তিশার জন্য শরবতটা পাটাইছে তাই অন্য কিছু চিন্তা না করে খেয়ে ফেললো।আরে এটার টেস্টটা এমন কেনো।কোমন জানি।হয়তো গ্রামের পানি দিয়ে বানিয়েছে বলে এমন হইছে।তিশা আবার গায়ে হলুদ এর অনুষ্ঠানের।দিকে মন দিলো হঠাৎ মনে হলো তিশার মাথাটা একটু ঘুরাচ্ছে।তিশা ভাবলো হয়তো ক্লান্ত লাগছে বলে এমন হচ্ছে তাই সীমা কে বলে বাড়ীর ভেতরে যাবার জন্য হাটতে লাগলো।মাথাটা খুব বেশি ঘুরাচ্ছে। হাটতেও কস্ট হচ্ছে।
-জিসান এতো ক্ষন একটু সাইড গিয়ে রায়হানের সাথে ফোনে কথা বলছিলো, তাই খেয়ালি করেনি তিশা কখন উঠে চলে গেছে।ফোনটা পকেটে রেখে দেখলো তিশা নাই।আরে তিশা কই গেলো। জিসান সীমাকে জিঙ্গেস করলো,সীমা তিশা কই,তোমার সাথে না ছিলো।
-ভাইয়া ওর নাকি মাথা ঘুরাচ্ছে তাই বাড়ির ভেতরে চলে গেছে।
-মাথা ঘুরাচ্ছে কেনো হঠাৎ। জিসান ও বাড়ির ভেতরে দৌড় দিলো, কিন্তু বাড়ীর ভেতরে তিশাকে পেলো না,আসে পাশে খুঁজতে গেলে হঠাৎ জিসান দেখলো তিশার স্যান্ডেল পরে আছে বাড়ীর পেছনে। জিসান বুঝতে পারলো কিছু একটা হয়েছে। রায়হানকে ও অনেক কল করলো কিন্তু এতো শব্দে ফোনের রিং রায়হান শুনতে পাইনাই।জিসান আর কিছু চিন্তা না করে বাড়ীর পেছনের দিক হাটতে লাগলো।পেছনের দিকটা একটু জঙ্গলের মতো আর কিছুটা দূরে তিশার মামাদের একটা পরিতেক্ত বাড়ী আছে,যেটা এখন স্টোর রুম বানিয়ে।আসলে আগে ওখানেই তিশার মামারা থাকতো পরে এখানে নতুন বাড়ীকরে ওটাকে স্টোর রুম বানিয়ে রাখছে।জিসান সোজা ওই বাড়ীর দিকে হাটা ধরলো।দেখলো স্টোর রুমের দরজা খোলা, জিসানের মনে একটু খটকা লাগলো, তাই ফোনের লাইটটা ওন করে ভেতরে ঢুকলো।ভেতরে গিয়ে দেখে তিশা অঙ্গান হয়ে পরে আছে মাটিতে।জিসান দৌড়ে গিয়ে তিশাকে জরিয়ে ধরে,আর তিশা তিশা বলে ডাকতে থাকে।হঠাৎ জিসানের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে কেউ বারি মারে আর জিসানও সেখানে অঙ্গান হয়ে যায়।
(এখান থেকে জিসান ও তিশার জীবন পাল্টে যাবে,যা হয়তো ওরা কখনো কল্পনাও করেনি।যদি জানতো এমন কিছু হবে তাহলে হয়তো এখানে আসতো না ওরা কেউ।সাথে থাকুন জানার জন্য পরে কি হবে।)

No comments