গল্পঃসিনিয়র_খালাতো_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০২
তুমি খেয়েছো?
তোকে ছাড়া খেয়েছি কখনো।
তুমি না খেয়ে এভাবে কান্না করছো কেমনটা লাগে বলতো'' চলো খাবে,, একথা বলেন আমি তাকে কোলে তুলে নিলাম,, সে তার হাত দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরলো আর বলতে লাগলো,,, কি করছিস খালামণি দেখবে তো।
আম্মু দেখলে দেখুক আমার বউকে আমি কোলে নিবো কার কি,।
আমি ঈশিতাকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচতলায় নামছি,, এমন সময় আম্মু হুট করে কোথায় থেকে যেন এসে পড়লো।।। আমার সিনিয়র বউ আম্মুকে দেখে আমার কোল থেকে নামার জন্য ছটফট করতে শুরু করলো,,, আমি একটু রাগী লুক নিয়ে তার চোখের দিকে তাকালাম,,, সে সাথে সাথে চুপটি মেরে গেল,,,
আম্মু বলতে লাগলো কি হয়েছে ঈশিতার,, এতক্ষণ রুমে বসে কান্না করছিল,,, এখন তুই কোলে নিয়ে নিচে নামছিস কোন সমস্যা হয়েছে নাকি,,,
আমার সিনিয়র বউ আম্মুর কথা শুনে লজ্জায় মুখ লাল করে আমার বুকের দিকে মুখ ঘুরালো,,,
আমি থমথমে গলায় বললাম,, আসলে ঈশিতার অনেকক্ষণ ধরে নাকি কি জন্য পায়ে ব্যথা করছিল,, তাইলে নিচে নেমে খাবার খেতে পারেনি?
আমার কথা শুনে আম্মু বলতে লাগল বোকা মেয়ে এমন বোকা মেয়ে তো দেখি নাই,, পায়ে ব্যথা করলে আমাকে বলবি না,,, না খেয়ে দরজা বন্ধ করে কান্না করলে পায়ের ব্যথা যাবে,,যা ওকে নিয়ে উপরে যা তারপর পায়ে ব্যথার মলম লাগিয়ে দে,,, আমি তোদের দুজনের জন্য খাবার নিয়ে আসছি
আমি আমার সিনিয়র বউকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম সে সাথে সাথে আমার কল থেকে নেমে পড়লো,, তারপর বলতে লাগলো,,, আমি বলছিনা খালামণি দেখে ফেলবে।।
আরে আম্মু দেখেছে তো কি হয়েছে।
যাহ খালামণির সামনে বুঝি আমার লজ্জা করে নাই,, খালামণি এখন কি ভাববে,,।
আরে আমার লজ্জাপতি সিনিয়র বউ আম্মু কিছু ভাববে না,,, ছেলে তার ছেলের বউকে করে নিয়েছে তাতে কি ভাবার আছে,,
একটা বারি দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে ফেলবো।
ওমাহ আমি আবার কি করলাম মাথা ফাটাবে কেন।।
সিনিয়র বউ বলিস কেন,, শুধু বউ বলতে পারিস না ।
আচ্ছা ঠিক আছে সিনিয়র বউ বলবো না সিনিয়র শাকচুন্নি বলবো,,
কি বললি?
না কিছু না?
কিছু না মানে তুই সিনিয়র শাকচুন্নি বললি কেন,,,
সরি মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছে।
মুখ ফসকে বের হইনি তুই ইচ্ছেকৃতভাবে বলেছিস,, আজকে খাইছি তোরে আমি।
আরে কি করছো ছাড়ো আমাকে,,তোমার না পায়ে ব্যাথা,
কিসের ব্যথা?
ওমা আম্মুকে না বললাম তোমার পায়ে ব্যাথা, এখন আম্মু যদি এসে দেখে তুমি ব্যথা নিয়ে তার ছেলের গলা চেপে ধরে আছো, তাহলে আম্মু ও বুঝে ফেলবে যে তোমার পায়ে খুব ব্যথা নাই,, তোমাকে আমি এমনি এমনি কূলে নিয়েছিলাম।
ও হ্যা তাই তো?
এখন চুপচাপ সোফায় বসে পড়ো,, আমি তোমার পায়ে মলম লাগিয়ে দেয়।
মলম লাগাবি কেন আমার পায়ে তো ব্যাথা নাই,,,
আরে আম্মু না বলল তোমার পায়ে মলম লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।
আচ্ছা ঠিক আছে?
আমি আমার সিনিয়র বউয়ের পায়ে মলম লাগিয়ে দিচ্ছি, এমন সময় আম্মু খাবার নিয়ে রুমে আসলো,, দুজনে হাত মুখ ধুয়ে এসে খাবার খেতে বসলাম,,, কিন্তু আমার শাকচুন্নি নাকি খেতে পারবে না,,, আমি তো জানি শাকচুন্নি কি জন্য বললো খেতে পারবে না,,, আমি নিজের হাতে শাকচুন্নি কে খাইয়ে দিলাম। শাকচুন্নির ছোট বাচ্চার মত ভাত চিবানো দেখলে আৃার যে কি ভাল লাগে,,,তা বলে বুঝাতে পারবোনা।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ছাদে দুজনে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম,,,
আমার যাওয়ার আর দুদিন বাকি আছে,, কিছু শপিং করতে হবে,,, তাই বিকালে বাসা থেকে বের হলাম শপিং করার জন্য,,, কিন্তু শাকচুন্নি আমার সাথে শপিং যাবে না,,, শপিং করতে নাকি ওর ভালো লাগেনা।
শপিং করে রাতে বাড়ি ফিরলাম,,, রাতের খাবার খেয়ে খুব ক্লান্ত লাগছে,, রুমে গিয়ে বিছানায় গা টা এলিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পরে আমার শাকচুন্নি রুমে আসলো,,, এসে দেখে আমি বিছানায় শুয়ে আছি তাই জিজ্ঞাসা করল,, তোমার কি শরীর খারাপ,, আমি মাথা ঝাকিয়ে দিয়ে না বললাম,,,,, আমার মাথা ঝাকি দেখে রেগে বললো,, মুখে কি কোন কিছু ঢুকছে নাকি ইদুর বিড়াল টিড়াল,, মুখে বলা যায় নাহ।
আমি তার কথা কোন উত্তরই দিলাম না বালিশের নিচ থেকে মোবাইলটা বের করে,, টিপতে লাগলাম,, সে রাগ করে আমার পাশেই শুয়ে পরল,,, আমি মোবাইল টিপছি আড়চোখে তার দিকে তাকাচ্ছি,,, সে এপাশ ওপাশ করছে,, কি যেন বলবে মনে হয়,,, কিন্তু আমার এ অবস্থা থেকে রাগে কিছু বলতে পারছে না,, আমি দিব্য মোবাইল টিপেই যাচ্ছি,,
সে অনেকক্ষণ নড়াচড়া করে আমার কাছে ঘেষতে লাগলো,,, তারপরও আমি একনাগারে মোবাইল টিপেই যাচ্ছি,, সে এবার আর চুপ থাকতে পারিনি,,বলতে শুরু করলো,, কি আছে মোবাইলে,,,এভাবে মোবাইল টিপছো,, ওখানে গিয়ে যদি এভাবে মোবাইল টিপো তাহলে লেখাপড়া তো কারে উঠবে,,,
আমি তার কোন কথার জবাব দিচ্ছি না,,, সে এবার আমার বুকে চলে আসলো,, এবং আমার হাত থেকে মোবাইলটা ছো মেরে নিয়ে নিল,,, কি করছো,, আমার উপরে আসলা কেন।
ওপরে আসলাম মানে।
দুপুরে আমি তোমাকে কথা দিয়েছি তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে টাচ করব না।
তুমি আমাকে কথা দিয়েছো টাচ করবা না
কিন্তু আমি তো কথা দেইনি,, আমি আমার স্বামীর উপরে আসবো না আসবো তাতে তোমার কি হ্যাহ।
মানে তুমি আমার ওপরে আসবা আর আমার কিছু না।।
না তোমার কিছু না,,, দুপুরের জন্য এখনো মৃার উপর রাগ করে আছো,,,আচ্ছা ঠিক আছে দুপুরের জন্য আমি সরি,, আমি ইচ্ছে করে এ মনটা করে নি,,, খুব লেগেছিল না?
আমি কোন কথা বললাম না?
কি হলো কথা বলবা না,, আচ্ছা ঠিক আছে আমি আদর করে দিচ্ছি,, একথা বলে আমার কপালে কয়েকটা চুমু দিল,, তারপর বলল এখন ঠিক আছে তো,, এখন তো রাগ কমেছে নিশ্চয়ই,,,
নাহ এখন ও রাগ কমেনি,,,
কি বলো তুমি,, এখনো রাগ কমেনি,, তাহলে কি করলে রাগ কমবে তোমার,, এক কাজ কর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো,, তাহলে তোমার রাগ কমে যাবে।
(((কি লজিক শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে রাগ কমে যাবে)))
কি হলো ধরো না কেন?
না ধরবো না?
না ধরলে দুপরে যে জায়গায় ব্যথা পেয়েছ সে জায়গায় দিব একটা,,,
কি দিবা,,
বাঁশ দিয়া বারি,,,
কিহহ?
না কিছু না
কিছু মানে তুমি যে বললা বাঁশ দিয়ে বারি৷ দিবা
না বাবু আমি বাঁশ দিয়া বারির কথা বলি নাই,,আমি চুমুর কথা বলছি,,, এই যে আর একটা চুমু দিচ্ছি,,, এবার তো জড়িয়ে ধরো প্লিজ।
আমি কিছু না বলে পাগলীটাকে জড়িয়ে ধরলাম,, সে আমার বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লো,,,
হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম সে ঘুমাচ্ছে না নড়াচড়া করছে,,, আর বারবার আমার বুক থেকে মাথা তুলে আমাকে দেখছে,,, আগে তো এরকম করে নি,, আমার বুকে শুয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ করে আমাকে বলতে লাগল।
এই
কি?
এই?
কি?
একটা কথা বলব?
হ্যা বল?
আমি না?
হ্যা বল?
আমি না?
কি তুমি না?
আমি না?
আরে কি আমি না আমি শুরু করছো?
আমি মুখে বলতে পারব না কানে কানে বলবো?
আচ্ছা ঠিক আছে বল,,, আমার সিনিয়র বউ কানে কানে যে কথা বলল,,, তা শুনে আমার চোখ চাড়কগাছ হয়ে গিয়েছে,,, সে নাকি আমার আদর পেতে চাই আমার ভালোবাসা পেতে চাই আমার স্পর্শ চাই,, কিন্তু মাগার বেবী টেবির প্লান করা যাবে না,,, সমস্যা নাই,,, আমিতো এর সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিলাম।
সে আমার কানে কানে এ কথা বলে লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকালো,,, আমি তার মাথাটা আমার বুক থেকে তুললাম,,, তারপর তার দিকে তাকালাম,, সে চোখ বন্ধ করে আছে,,, আর আমি এই সুযোগে আমার ঠোট তার ঠোঁটের কাছে কাছে নিতে লাগলাম,,, তার শ্বাস প্রশ্বাস আমার মুখের উপরে পড়ছে,,, তার বুক দ্রুত ওঠানামা করছে আমি বুঝতে পারছি। একসময় তার ঠোটের সাথে আমার ঠোঁট এক হয়ে যায়,, সে নিজেকে সামলাতে পারছেনা,, আমার প্রতিটি ছোঁয়ায় সে কেপে উঠছে,,, এক সময় দুজন দুজনার মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলাম।।
দুটা দিন খুব ভালোভাবে কেটেছে,,, এই দুইটা দিন হিসাব করলে জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন ধরা যেতে পারে়।।।
আজকের বিকাল 5 টা বাজে আমার ফ্লাইট,,, যতা সময় বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ীতে উঠলাম,,,আমার খুব খারাপ লাগছে,,, বন্ধুবান্ধব সবাইকে ছেড়ে এত দূরে চলে যাচ্ছি,,, ভাবতেই কেমন যেন একটা কষ্ট লাগছে,, বন্ধু বান্ধবের সাথে কত আড্ডা উড্ডা দিলাম,, হাসির রং তামাশায় খেলাধুলায় জীবনটাকে মাতিয়ে তুলেছিলাম,, আর হয়তো সেই সোনালী দিনগুলো জীবনে ফিরে আসবে না। শত ইচ্ছে করলেও সব বন্ধু বান্ধব এক হয়ে আর আড্ডা দিতে পারব না,,, কারন ততদিনে হয়তো সবাই যার যার কর্ম জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে,,,
গাড়িতে বসে আছি,,, গাড়ির ভিতরে কারো মুখের দিকে তাকাতে পারছি না,,, সবার মুখ কালো হয়ে আছে। হয়তো আপন জন দূরে চলে গেলে,, যে একটা কষ্ট বুকে জমা হয় সে কষ্ট থেকে আপনা আপনিই মুখ কালো হয়ে যায়।
গাড়ি এয়ারপোর্টে গিয়ে পৌঁছালো,,, এখন সবাই থেকে বিদায় নিয়ে ভিতরে ঢুকার পালা,,, মা বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম,,, চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে,,, মা-বাবাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি না,,, বিদায় টা এত কষ্টের হয় কেন,, মা বাবার সামনে দাঁড়াতেই টপ টপ করে চোখ থেকে পানি পড়তে লাগলো,,, আমার মা আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ মাউ করে কেঁদে দিলেও সাথে বাবা ও,,, আমিও তাদের কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম,,, ঈশিতার দিকে তাকিয়ে দেখি বার বার ওড়না দিয়ে মুখ মুচছে চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।
মামা এসে আব্বু আম্মুকে বলতে লাগলো,, ওকে জড়িয়ে ধরে যদি এভাবে কান্না করতে থাকো তাহলে ও যাবে কিভাবে,, ফ্লাইট মিস করবে তো। আব্বু আম্মু নিজেদেরকে সামলে নিল,,, তারপর আম্মু আমাকে কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগলো।
বাবা সাবধানে থাকবি,,, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবি,,, বেশি রাত জাগবি না,,, তোর তো আবার রাত জাগার অভ্যাস আছে,,, ঠিক মত পড়ালেখা করবি,,, কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করবিনা,, খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকবি,, খারাপ কোন জিনিস খাবি না,,, সময় পেলেই আমাকে ফোন দিবি,,,, আরো নানান উপদেশ দিতে লাগল,,, হঠাৎ করে বলতে লাগল,,, ওই দেখ ঈশিতা মেয়েটা কিভাবে কান্না করছে,,, যা মেয়েটাকে কিছু বলে আই???
আমি আস্তে আস্তে আমার শাকচুন্নির কাছে গিয়ে দাড়ালাম,,, সাথে সাথে শাকচুন্নি আমাকে জড়িয়ে ধরে,,,ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করে দিল,, আমি তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,, আরে পাগলী এভাবে কাঁদলে আমি যাব কিভাবে,,, আমার যে ফ্লাইটের টাইম হয়ে গেছে,,, যাবার সময় এভাবে কাঁদলে আমি যেতে পারব,,, কিন্তু আমার শাকচুন্নি আমার কোন কথাই শুনছে না,,, কেঁদেই চলছে,,
আমি তাকে কি বলে সান্তনা দিবো ভাষা খুজে পাচ্ছিনা,, কিছুক্ষণ পরে আমি তার মাথাটা আমার বুক থেকে তুলে তার চোখে পানি মুছে দিয়ে বললাম যে ভাবে কান্না করছো,,, মনে হচ্ছে আমি তোমাকে ছেড়ে,, আজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি,,, এভাবে কান্না করলে আমি যেতে পারবো,,,আমি তোমার সেই মিষ্টি হাসি মাখা মুখটা দেখে যেতে চাই,,,কি দিবানা সেই হাসি মাখা মুখে বিদায়,,আমার কথা শুনে মাথা ঝাকি দিয়ে বললো হ্যা দিবো,,,তাহলে চোখের পানি মুছো,,,আর তাকাও আমি দিকে,,, আমি তার কাঁধের উপর দুহাত দিয়ে বললাম,,একদম টেনশন করবা না আমাকে নিয়ে,,,আমি তোমাকে প্রতি মিনিটে ফোন দিবো,,ঠিকটাক মত খাওয়া দাওয়া করবে হ্যা,,আর আব্বু আম্মুর খেয়াল রেখো,,,বাসা থেকে ভার্সিটি ছাড়া বাহিরে যাওয়ার দরকার নাই,,এখন তুমি কোন মেয়ে না- কারো -স্ত্রী কারো বাড়ির বউ সাবধানে চলা ফিরা করবা,, যদি পারো যে বোকরাটা পড়ে আমার সাথে বাজার গিয়েছিলা সেই বোকরাটা পড়ে বাহিরে বের হবা,,,কেউ যেন আমার রেখে যাওয়া আনামতের দিকে নজর দিতে না পারে,,,কি হল কথা বলোনা কেন,,,
(ইশিতা))তুমি যে ভাবে বলবা আমি সেই ভাবেই চলবো,,,কেউ তোমার আনামতের দিকে নজর দিতে পারবে না,,,
আমি আমার সিনিয়র বউয়ের কপালে একটা চুমু দিয়ে বললাম,, তাহলে এখন একটু হাসো,,আমার যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে,,ইশিতা একটা মুছকি হাসি দিল কিন্তু সেই হাসিতে কোন প্রাণ নেই আসলে প্রিয় এবং কাছের মানুষ যদি দূরে কেথাও চলে যায়,,,সেই কাছে মানুষকে বিদায় দেওয়াটা যে কতটা কস্টর মুহূর্ত শুধু তারাই অনুভব করতে পারবে যারা কাছের এবং প্রিয় মানুষকে দূরে কোথাও যাবার সময় বিদায় দিয়েছে ,,,আমি বললাম তাহলে আসি,,,এই কথা বলার সাথে সাথে ইশিতা আমার বুকে যাপিয়ে পড়লো,,,আর বলতে লাগলো
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না,,,
পাগলি মেয়ে আমি তো আজীবনের জন্য চলে যাচ্ছি না মাএ তো কয়েকটা বছর তারপরে তো আবার তোমার কাছে ফিরে আসব,,, এভাবে কান্না করলে আমি তো যেতে পারবোনা ,,,,প্রিয় মানুষ গুলো কে হাসি মুখে বিদায় দিতে হয়,,ইশিতা একটু স্বাভাবিক হয় নাক টানতে টানতে বলতে লাগলো,, যে ভাবে যাচ্ছো সে ভাবে ফিরে আসবা,,,
হ্যা আসব
আর ঐ জায়গায় কিন্তু অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েরা আছে,,দেখতে সেম বান্দরের মত ওদের সুন্দরের লোভে পড়বানা,,,,ঐ লাল চামড়ার মেয়েদের থেকে ১০০হাত দূরে থাকবা,,,কি হল আমি কি বলছি বোঝতে পারছোনি,,,
হ্যা বোঝতে পারছি,,,(,আমি)
আর ঠিকটাক মত খাওয়া দাওয়া করবা,,,শরিলের যত্ন নিবা,,,ঐ জায়গায় একদম অগোছালো ছেলেদের মত থাকবেনা,,,বাহিরে ঘোরাঘুরির দরকার নাই,, ভার্সিটি টু হোস্টেল,,, হোস্টেল টু ভার্সিটি,,,এর বাহিরে কোন জায়গায় যাবা না,,মন দিয়ে পড়বা,,,মোবাইলে খারাপ কোন ভিডিও দেখতে পারবা না,,বলে দিলাম,,, প্রতিদিন আমার সাথে মোবাইলে কথা বলতে হবে,,,তা না হলে কিন্তু আমি না খেয়ে থাকবো,,,আর ঐ জায়গায় যদি উল্টো পাল্টা কিছু কর,,তাহলে কিন্তু আমাকে হারাবা,,,
((আমি))তোমাকে হারাবো মানে ""
((ইশিতা))আমি ইস্টেট মারা,,,
কথাটা শেষ করতে দেয়নাই তার আগেই তার মুখে হাত দিয়ে চেপে দরলাম
চুপ একদম একথা বলোনা,,,,,,তুমি যে ভাবে বলবা সে ভাবেই ঐ জায়গায় চলবো,,,তুমি একদম আমাকে নিয়ে টেনশন করবানা,,আমি তোমারি আছি তোমারি থাকবো,,,,বোঝতে পেরেছো,,,ইশিতা মাথা ঝাকি দিয়ে বললো হ্যা
এখন তাহলে আমি যায়৷, ,,
আচ্ছা ঠিক আছে,,,যায় বলিনা বলো আসি,,,
আচ্ছা আসি তাহলে,, সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢুকবো,,এয়ারপোর্টের টারমিলানালের বাহিরে শেষ কদমটা রাখার আগে পিছনে একবার ঘুরে দাঁড়ালাম,,, দেখি আব্বু আম্মু নিরভাক হয়ে দাড়িয়ে আম্মু চোখের জল মুছার ব্যর্থ চেষ্টা করতেছে,,,কিন্তু পারছে না,,,কোন বাবা মা প্রিয় সন্তানকে দূরে কোথাও পাঠানোর সময় স্বাভাবিক থাকতে পারে না,,,ইশিতার দিকে একবার তাকালাম ছাতক পাখির নয়ন জোড়ার মত তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে আমার যাবার পথের দিকে তাকিয়ে আছে,,
আমি খেয়াল করে দেখলাম আমার চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে আসছে,,চোখের কোণে কয়েক ফোটা নোনা জল এসে জোড়ো হয়েছে,,আর পিছনে না তাকিয়ে সোজা ভিতরে চলে গেলাম,, বিমান লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার কিছু মুহূর্ত আগে বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আমার সোনার দেশের মাটির ঘ্রাণ নিলাম,, আব্বু আম্মুর আর ইশিতার বলা কথা গুলো মনের গোপন সিন্দুক কোটায় জমা করে রাখলাম যেন সেখান থেকে বের করে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পারি,, চলে আসলাম সেই জীবন স্বপ্ন পূরণের ভার্সিটিতে,,দুদিন হোস্টেলে থাকলাম,,,দুদিনে অনেক জায়গা ঘুরা হয়ে গিয়েছে,,,ইশিতা ঠিকিই বলছে,,এখানের মেয়েরা অনেক সুন্দর,,,কিন্তু আমাদের দেশের মেয়েদের চেয়ে না,,,এদের হাসি কেমন যেন,,,এদের চোখ নাইকেলের ভিতরের আভারনের মত,,নাক গুলো লম্পা,,,কেমন যে বিশ্রী বিশ্রী লাগে শুধু চামড়ার সুন্দর হলে সুন্দরী হওয়া যায়না,,,কালো হক আর ফর্সা হক,,,, তার হাসি সুন্দর থাকতে হবে,,,তার চোখে মায়া থাকতে হবে,,যে চোখের দিকে তাকালে সেই চোখের অতল সাগরে যে কোন ব্যক্তি সেকেন্ডের ভিতর নিজেকে ভাসাতে পারবে,,, কন্ঠস্বর খুব মিশ্রণ হতে হবে,,,এগুলো যার মধ্যে থাকবে,,,হক সে কালো কুচ কুচে সে যে কোন চামরা সুন্দরীকে হার মানাবে,,,আর এগুলো শুধু বাংলী নারীদের মধ্যেই আছে,,
তার পর থেকে নিয়মিতো ক্লাস করতে শুরু করলাম,,,নতুন পরিবেশে নতুন জায়গা,,,নতুন ভার্সিটি কিছু দিনের ভিতরে বন্ধু বান্ধব হয়ে গিয়েছে,,, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে পরিচিত হয়ে গেছি,,,চলতে শুরু করলাম আমার সপ্ন পূরণ বাস্তবায়ন করার পথে,, সময় পেলেই আব্বু আম্মু আর ইশিতার সাথে কথা বলি,, কথা বলার পর কোন কিছু ঐ ভাল লাগেনা,,,আব্বু আম্মু আর ইশিতার চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠে,,খুব মিস করি বন্ধুদের আড্ডার মজা,,,জানি যত দিন থাকবো এই দূর দেশে,,,ত তো দিন থাকবে প্রিয় মানুষদের সাথে কাটানো সময় গুলো আমার স্মৃতির ফ্রেমে,,,দিন চলতে লাগলো,এক এক করে ৪টা বছর চলে গেল,,,, বি বি এ ফাইনাল এক্সাম দিয়েছি,,,১৫ দিন পরে রেজাল্ট জানাবে,,, উপস্থিত হলাম রেজাল্ট এর দিন ভার্সিটিতে,,,,, বছরের 10 জন সেরা ছাত্র এর ভিতর আমি ৩ নাম্বার হয়েছি,,,,বিদায় অনুষ্ঠানে ওই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বছরের সেরা ছাত্র পরিষ্কার তুলে দিলেন,,, এবং আমার হাতে সরকারি সিলমোহর দিয়ে বিবিএ ডিগ্রিধারী সার্টিফিকেট তুলে দিলেন,,,,,
,,, আজ আমি অনেক খুসি,,,আমার সপ্ন পূরন করতে পেরেছি,,, ইচ্ছে করলে এখন এই মুহূর্তে দেশে যেতে পারি,,,, কিন্তু না আরো কয়েকটা দিন সুন্দর এই শহর লন্ডন কে দেখবো,,,
একটা দিন ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গায় দেখেছি,,,কিন্তু না কিছুতে ভাল লাগছেনা,,,,মনটা শুধু ছটফট করছে আব্বু আম্মু আর ঈশিতাকে দেখার জন্য,,,রাতে টিকেট কেটে আব্বু আম্মু কে ফোন দিয়ে বললাম ১৫ দিন পরে দেশে আসছি,,
একথা শুনে আব্বু আম্মু যে কতটা খুশি হয়েছে তা আমি মন দিয়ে অনুভব করতেপারছি,,,ইশিতাকে ফোন দিয়ে জানালাম,,ইশিতা তো বিশ্বাস ওই করতে পারছে না,,,,,আমি আগামিকালের জন্য টিকেট কেটেছি কেউ জানেনা,,,,সবাইকে সারপ্রাইজ দেবো,,,আর হ্যা এই চার বছরে অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে,,ইশিতা অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করে মামার অফিসে চাকরি করছে,,,আমি অনেক বার বলেছি চাকরি করার দরকার নাই,,, কিন্তু ইশিতা বলে তাহলে লেখা পড়া করিছি কেন,,, তুমি আসলে চাকরি ছেড়ে দিবো,,বন্ধু বান্ধব অনেকেই চাকরি করছে,,
এর পরের দিন ভোর ৬টায় বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,,বাড়ির গেইটের কাছে এসে দেখি বর দুপুর বেলা দারোয়ান চাচা ঘুমাচ্ছে,, চাচাকে ডাক দিলাম,,,চাচা ঘুম থেকে উঠে বললো কে তুমি,,,
চাচা আমাকে চিনতে পারছোনা আমি ফারাবী,,, তুমি ফারাবী তুমি তো অনেক সুন্দর এবং স্মার্ট হয়ে গিয়েছো,,,আমি চাচার কথা শুনে হাসতে লাগলাম,,,গেইট দিয়ে আসতে আসতে ভিতরে ঢুকছি,,,দেখি আম্মু মটরের পাইপ দিয়ে ফুল গাছে পানি দিচ্ছে,,,,পিছন থেকে মার চোখে হাত জোড়া রাখলাম,,, সাথে সাথে আম্মু তার হাত দিয়ে আমার হাত জোড়া চেপে ধরলো,,আর বলতে লাগলো,,,কে এভাবে আমার চোখ ধরেছে,,,আমার ফারাবী ছাড়া তো কেউ এভাবে চোখ ধরেনা,,,কে তুমি,,, আমি মার চোখ জোড়া ছেড়ে মাকে কুলে তুলে নিলাম,,,আম্মু সাথে সাথে ঘুরে আমাকে দেখে কান্না শুরু করে দিলো,,,ফারাবী তুই আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না,,,হ্যা আম্মু আমি তোমার ফারাবী,,,সাথে সাথে আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল,,আর বলতে লাগলো কেন যে আমার মন বলছিল তুই আসবি,,,
তুই না বলছিলি আরো ১৫দিন পরে আসবি,,,তোমাদের সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ওই দিন মিথ্যা কথা বলেছিলাম,,,এখন এভাবে কান্না করোনা আমি তো আর তোমাদের কে ছেড়ে কখনো যাবো না,,,,,আব্বু কোথায়
তোর আব্বু অফিসে,,,তোর আব্বু কে এখনি ফোন দিয়ে জানাচ্ছি,, চল বাসার ভিতরে চল,,,,বাসার ভিতরে গেলাম ব্যাগ ট্যাগ রেখে সোফায় বসলাম,,,আম্মু আব্বুকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে,,,আম্মু তারাতারি সরবত এনে দিল,,,চার বছর পর মায়ের হাতে কোন খাবা খাচ্ছি,,, সরবতটা শেষ করে এদিক ওদিক তাকিয়ে এক জোড়া চোখকে খুঁজছি,,,,আম্মু আমি কাকে খুজছি তা মানের বোঝে ফেলেছে,,,ইশিতা কে খুজছিস,,,ইশিতা সকালে ওদের বাড়িতে গিয়েছে,,,বললো আজকে অফিস নাই বিকালে চলে আসবে,,,,তুই যেয়ে তোর রুমে রেস্ট কর আমি ইশিতা কে ফোন দিয়ে বলছি,,,,না আম্মু তুমি আগে ফোন দিবানা,,,আমি ওদের বাসায় গিয়ে ওকে সারপ্রাইজ দেব,,,
আম্মু)) আচ্ছা ঠিক আছে,, তুই এখন গিয়ে একটু রেস্ট কর,,তার পর ওদের বাড়িতে যাবি,,,
আমি আমার রুমে এসে দেখি,,রুম খুবিই পরিপাটি,,এবং খুব সুন্দর করে গোছানো,,,আমার বই পত্র কাপর চুপর খুব যত্ন করে রাখা,,, ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই দুচোখে ক্লান্তির ঘুম এসে জড়ো হয়েছে,,,দুপুরে আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙলো,,,ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখি আব্বু দাঁড়িয়ে আছে,,,আমি আব্বু কে সালাম করলাম,,,আব্বু আমাকে জড়িয়ে ধরলো,,,,ইশিতাটা কে এখন অব্দি দেখি নাই,,, দুপুরের মায়ের হাতে রান্না করা খাবার খুব তৃপ্তি সহ করে পেট ভরে খেলাম,,,দুপুর পেড়িয়ে বিকালের মধু লগ্ন সময়ে আমি ইশিতাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল চাপতে লাগলাম,, আর যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন দরজা খুলবে ,, আর আমার সিনিয়র শাঁকচুন্নিকে দেখবো,,,এক মিনিট পরে খালামনি এসে দরজা খুলে দিলো,, হঠাৎ করে আমাকে দেখে খালামনি চমকে উঠলো যেন বিদ্যুতের শক খেয়েছে
ফারাবী তুই,,,, আমি খালামনিকে সালাম করলাম,,,তুই না বললি,,১৫দিন পড়ে আসবি,,,
হ্যা বলছিলাম,,
কিন্তু তোমাদেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আজকে চলে আসছি,,, হঠাৎ করে রক্ষা করে দেখি,,, ড্রইংরুমের এক সাইডে কয়েক জোড়া ছেলেদের জুতা রাখা আমি খালামনিকে জিজ্ঞেসা করলাম,,,বাসার ভিতরে ছেলেদের জুতো কেন,,,খালামনি বললো,,এগুলো সাকিবের জুতা,,,
সাকিব কোন সাকিব,, সাকিবের জুতা এখানে কেন,,
((খালামনি))আরে তোর মামাতো ভাই,,সাকিবের জুতা,,,সাকিব এখানেই থাকে,,ওদের অফিস এখান থেকে কাছে,,,তাই যাতায়াতের সুবিধার জন্য এখানেই থাকে৷৷,,গত ২ মাস ধরে,,আর ইশিতা তো সাকিবদের অফিসেই চাকরি করে,,,৷৷ (আমি))কয় ইশিতা তো আমাকে একথা বলে নাই,,,যে সাকিব ভাইদের অফিসে চাকরি করে,, ((খালামনি))হয়তো তোকে বলতে মনে নাই,,,
এখন আপনাদের কে সাকিবের কথা একটু বলি,,সাকিব আমার বড় মামার ছেলে,,আমার চেয়ে দের বছরের বড়,,, মাস্টার্স কমপ্লিট করে তাদের অফিসে দেখা শুনা করছে
(খালামনি)আচ্ছা বাদ দে,,,তুই ইশিতাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে চলে আসলি,,, আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না,, ইশিতা জানলে কতটা খুশি হবে,,,তুই জানিস,,,, তোর আসার ১৫ দিন বাকি আছে সেই কথা শুনে,,মেয়েটা যে কতটা খুশি হয়েছিল,, আমার কান তো একবারে ঝালা ফালা করে ফেলেছে,,, সারাক্ষণ খালি আমাকে বলে,,,আম্মু ফারাবী আসার আর ১৫ দিন বাকি আছে,,,ফারাবী আগে ফারাবী থাকবে তো,,নাকি পরিবর্তন হয়ে যাবে,,, ও মনে হয় বিদেশে থেকে অনেক সুন্দর হয়ে আসবে,,,আমি ওকে এয়ারপোর্টে থেকে রিসিভ করে আনবো,,আরো নানান কথা,, তুই দাঁড়া আমি এখনি ইশিতাকে ফোন দিয়ে বলছি,,,,
((আমি))ইশিতা কোথায় গিয়েছে,,,,
((খালামনি))ইশিতা সাকিবের সাথে একটু মার্কেটে গিয়েছে,, এক্ষুনি চলে আসবে,,,
(আমি)না তোমার ফোন দেওয়ার দরকার নাই,তাহলে সারপ্রাইজ দিতে পারব না,,,
খালামনি))আচ্ছা ঠিক আছে ফোন দিবো না,,,তুই ইশিতাী রুমে গিয়ে বস,,,ইশিতা আসলে এমন ভাবে বলবো,,, ও চমকিয়ে উঠবে,,,
আমি()আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি,,, ইশিতা আসলে বলবা যে একটা নিল শাড়ি পড়ে ওর রুমে আসতে,,
খালা))আচ্ছা আচ্ছা বলবো,,,এমন ভাবে বলবো ও না চমকিয়ে পারবে না,,
আমি ইশিতার রুমে চলে গেলাম,,,ওর রুমটা খুব গোছানো,,,ওর টেবিলে উপর দুটা ছবি রাখা দুনো টা ছবিই আমার,,,দেওয়ালে আমার আর ইশিতার একটা বড় ফ্রেমের ছবি লাগানো,,,ইশিতাকে ছবিটার মধ্যে খুব সুন্দর লাগছে,,,,
অনেকক্ষণ হয়ে গেল হয়ে গেল ইশিতার আসার কোন খরব নাই,,,আমি যেন আর ধৈর্য ধরতে পারছি না,,কখন দেখা হবে আমার ইশিতার সাথে,,,ঘুড়ির কাটা যেন এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে আছে,,,সময় যেন চলতে চাচ্ছে না,, এই অপেক্ষা টা যেন একটা ছটফট অনুভূতির অপেক্ষা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,১০ মিনিট পরে খালামনি এক কাপ আমার পছন্দের জ্যামলি কফি এনে দিল,,,কফির মগটা হাতে নিয়ে দুতলা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম,,, শেষ বিকালের লাল রক্তিম সূর্য অস্তয় যায় যায় অবস্থা,,হালকা সো সো শব্দ করা প্রবলা বাতাস,,সিমাহিন নিল আকাশ,,দল বেধে শুন্য আকাশে ভেসে বেরানো পাখির কিচিমিচি ব্যস্ত শহরের কোলাহল মানুষ গুলো যার যার নীড়ে ফিরে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছে,, আর আমি উদাসীন হয়ে বহমান অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি,,,আমার সিনিয়র পয়শিকে দেখবো বলে,,৪বছর পর যখন তার সাথে দেখা হবে,, তখন এর সিচুয়েশন কেমন হবে,, কত টুকু আবেগ এসে জমা হবে,,সে কথা ভাবতেই মনে ভিতরে একটা অন্য রকম ভাললাগা কাছে করতে লাগলো,, হঠাৎ করে নিচে খেয়াল করে দেখি সাকিব মোটরসাইকেল খুব স্পিডে এনে গেটের সামনে থামালো আর তার পিছনে একটি মেয়ে বসা ছিলো,, মেয়েটা তাল সামলাতে না পেরে সাকিবের সাথে ল্যাপটে গেল,,,হাসতে হাসতে মেয়েটি গাড়ি থেকে নামলো,,আমি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছি,, হঠাৎ করে মেয়েটার দিকে খেয়াল করে দেখি এত আমার ঈশিতা,,আমার বুক বুক ডুগ ডুগ করতে শুরু করল বকের কোন এক গোপন জায়গা চিন চিন ব্যাথা অনুভব করতে লাগলাম,,, সারপ্রাইজ দিতে এসে আবার নি আমিই সারপ্রাইজ হয়ে যাই কে জানে তাপরেই তো..............
চলবে............
No comments