ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 --------(season 2) [🖤] part_13🍁
"বেলা ১২ টা বাজে,জিসান মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।কাল রাতে ফ্রেন্ডসরা জোড় করায় ড্রিংকস্ টা একটু বেশি করে ফেলেছে।তার উপর তিশার প্রতি রাগটাও তখন কন্ট্রোল করার চেস্টা করতে গিয়ে এ অবস্থা। যার কারনে এখন মাথাটা ঝিমঝিম করছে এখন।
হঠাৎ বেডের পাশে রাখা টেবিলে চোখ পড়লো জিসানের।লেবু শরবত রাখা, সাথে একটা চিরকুট ও।"
---চিরকুট টা হাতে নিয়ে দেখলো....."
কাল নাকি তুমি অনেক বেশি ড্রিংক করে এসেছো ভাইয়া।এগুলো একদম ঠিক না।নিশ্চয়ই এখন মাথায় পেইন করছে।তাই লেবু শরবত তোমার জন্য রেখে গেলাম।আমার তরফ থেকে না।তোমার ডার্লিং সকালে ফোন করে বলেছে।তাই তার তরফ থেকে আমি রেখে গেলাম।পারলে আমার ভাবিকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে দিও।ওকে"
"চিরকুট টা পড়ে জিসানের মুখে একটা তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।কারন তার পিচ্ছি বউ তার খেয়াল রাখতে শুরু করেছে।শরবতটা মুখে দিয়ে জিসান তিশার কথা ভাবতে ভাবতে ঘড়িতে টাইমটা দেখে নিলো।এক ঘন্টা পর তিশাদের কলেজ ছুটি হবে।তাই জিসান ফ্রেস হতে ওয়াস রুমের দিকে চলে গেলো।আজ নিজে যাবে কলেজে। "
---আমাদের কলেজ ছুটি হয়ে গিয়েছে।আমি ও নিশু কথা বলতে বলতে বাহিরে আসছিলাম।নিলুকে দেখে আমি কয়েকবার ডাক দিলাম, কিন্তু নিলু কোনও রিস্পনস করলো না,চলে গেলো।
তা দেখে আমি ও নিশি দু'জনেই কিছুটা অবাক হলাম।আজ নিলু ক্লাশেও নিশির সাথে টুকটাক কথা বললেও কেনো জানি আমার সাথে তেমন কথা বলেনি।
"কলেজের গেট থেকে বাহির হয়েই আমার মুখ এক হাত হা হয়ে গেলো সামনে থাকা ব্যক্তিটাকে দেখে।কি মারাত্মক ডেসিং লুক নিয়ে গাড়ীতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জিসান।
আচ্ছা এই লোকটা এতো হ্যান্ডশাম কেনো।একটু কম হলে কি হতো,তাহলে আমাকে এভাবে বেহায়ার মতো তাকিয়ে থাকতে হতো না তার দিকে।"
---আমাকে এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিশি মুখের সামনে একটা তুরি বাজালো।সাথে সাথে মনে হলো আমি স্বপ্ন থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম।
'কি রে সমস্যা কি,যেভাবে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছিস মনে তো হচ্ছে গিলে খাবি।'
---আমি নিশুকে একটা চাপট মেরে বললাম,কি যা তা বলছিস, আর এটা বল এই তিতা করলা এখানে কেনো।তুই বলেছিস আসতে।
'আরে আমি কেনো বলবো।চল গিয়ে তোর আশিক কে জিঙ্গেস করি।'
---নিশি একটা দিবো কিন্তু,কিসব বলছিস।
'সত্যি বলছি....হা হা হা।এবার চল।না হলে করলা তার তিতা রস তোকে না খাইয়ে দেয় আবার।'
---ছিঃ নিশি কথার কি ছিঁড়ি তোর।তুইও দিন দিন বেহায়া হয়ে যাচ্ছিস।
||
||
"গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে।আমি পিছে নিশির সাথে বসতে নিলে,জিসান খপ করে আমার হাতটা ধরে ফেলে।
কলেজ গেটের সামনে তার এমন কান্ডে আমি সত্যিই অবাক হলাম।উনি আমাকে টেনে উনার পাশের সিটে বসিয়ে বলতে লাগলো,তোর সাথে কিছু হিসাব নিকাশ আছে আমার।"
---আমি তো যথারীতি অবাক,আমি আবার তার কাছ থেকে কবে টাকা পয়সা নিলাম,যে এখন তার হিসাব নিতে হবে।আশ্চর্য!
'গাড়ী একটা আইসক্রিম পার্লারের সামনে থামলো,আমি জিঙ্গেস করেই ফেললাম এখানে গাড়ি থামানোর কারন।'
---এই গরমে আইসক্রিম খেলে কেমন হবে নিশি।জিসানের কথায়,আমি আর নিশি দু'জনেই খুশি হয়ে গেলাম,ভাবলাম জিসান আমাদের আইসক্রিম এর ট্রিট দিতে এখানে নিয়ে আসছে।ওয়াও....!
"নিশি আগেই গাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়েছে,আমি বের হতে নিলেই জিসান আমার হাতটা ধরে ফেলে।কোথায় যাস।একদম নড়বি না।"
---জিসান উনার মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে নিশিকে দিয়ে বললো,তিনটা আইসক্রিম নিয়ে আসতে।পার্লারে মানুষের ভিড় তাই গাড়ীতে বসে খাওয়ার প্লান নাকি করেছে।
কিন্তু আমি শোকড! কারন নিজে না গিয়ে,নিশিকে কেনো পাঠালো।আমি ভাবতেই লাগলাম।
"হঠাৎ জিসান আমার হাতটা ধরে টান দিয়ে উনার একদম সামনে নিয়ে আসলো।আমি কিছুটা অবাক হলাম।"
---এবার বল তোর সমস্যা কি?জিসান দাঁতেদাঁত চেপে।
"আ আআমার আ বার ককি সমস্যা। "(ভয়ে)
---তাহলে কাল সারাদিন ফোন বন্ধ করে রেখেছিস কেনো।
"এ..এমনেই।"
---এমনেই মানে।তোকে না বলেছি ফোন কখনো বন্ধ করবি না।আর তুই কোন সাহসে সারাদিন ফোন বন্ধ করে বসে ছিলি।চিল্লিয়ে।
"তিশা মুখটা অন্যদিকে গুড়িয়ে, করেছি তো কি হয়েছে।এখনকি আপনাকে সব কিছুর জবাবদিহি দিতে হবে।"
---জিসান তিশার মুখটা একহাত দিয়ে চেপে ধরে আরো একটু সামনে নিয়ে আসে।এতে তিশা কিছুটা ব্যাথা পেতে শুরু করে কিন্তু জিসানের সেদিকে কোনও খেয়াল নেই।
"একদম মুখে মুখে তর্ক করবি না আমার সাথে।আর তোর এই তেজ অন্য কাউকে দেখাবি আমাকে না।
আর কি বললি তুই____জবাবদিহি,তা তো অবশ্যই করতে হবে।"
---মনে রাখবি তোর দিন শুরু হবে আমাকে দিয়ে,আর রাত নামবে তাও আমার সাথে।আমার পারমিশন ছাড়া তুই একটা হাচি দিলে সেটার কারণ ও আমাকে বলতে হবে।কারন তুই পুরোটা আমার।
আর তোর নিজের প্রতি নিজের কোনও অধিকার নেই এখন।তোর মাথার চুল হতে শুরু করে পায়ের নখ টাও আমার।তাই এর পর কোনও দিন এ কথা যেনো তোর মুখে না শুনতে পাই।মগজে ঢুকিয়ে রাখ ভালো করে।
'আর কোনও দিন যদি দেখি আমাকে ইগনোর করার জন্য ফোন বন্ধ করে রেখেছিস।মনে রাখিস সেদিন তোকে আমি চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো।আর আমাকে কিন্তু তার জবাবদিহিও কাউকে করতে হবে না।'
"আমি তার ব্যবহার দেখে স্তব্ধ হয়ে পরলাম।এই কি সেই জিসান,যার ভালোবাসার অনুভূতির কথা গুলো কালরাতে শুনে আমি যেনো তার প্রেমে পরে গিয়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য।
কালতো মুখে একদম মধুদিয়ে ভরা ছিলো।আজ তাহলে কথায় এতো তিক্ততা কেনো।একটা মানুষের এতোরুপ কি করে হয়।
জিসানের দিকে তাকিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে একফোটা পানি চোখ দিয়ে পড়লো,জিসান না বললে হয়তো জানতেই পারতাম না।"
---চোখের পানিটা গড়িয়ে পড়ার আগেই জিসান পানিটা শুষে নিলো,তোর চোখের পানিটাও আমার,তাই আমিই নিয়ে নিলাম আমার জিনিষ।
"নিশি আসায় জিসান তিশাকে ছেড়ে দেয়।নিশি তিশাকে আইসক্রিম দিলে সে খাবে না বলে দিলো।জিসান আইসক্রিম টার প্যাকেট খুলতে খুলতে নিশিকে বললো,নিশু ওকে খেতে বল,না হলে আজ বাড়ী যাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে বল।"
---তিশা আড়চোখে জিসানের দিকে তাকালো,শয়তান মানুষ।একটু আগে আমাকে বকে,এখন আইসক্রিম খাওয়াতে এসেছে।আরে এতো বকে তোর শান্তি না হলেও,আমার তো পেট মন দু'টোই ভরে গিয়েছে।কিন্তু এখন কিছু বললে লাভ নেই।তিশা বুঝতে পারলো,আইসক্রিম না খেলে,জিসান আজ তিশাকে বাসায়ও যেতে দিবে না,তাই খেতে ইচ্ছা না চাওয়া সত্যেও খেতে হলো।
||
||
"সেদিনের পর থেকে তিশা আর মোবাইল বন্ধ করার দুঃসাহস করতে পাড়লো না।তবে জিসানের ফোনের টর্চারিং একটু বেশি বেড়ে গেলো।সারাদিন প্রায় কয়েকবার কল করে,মাঝেমাঝে তিশার মন চায় ফোনটা একটা আছাড় মারতে।কিন্ত তিশা জানে ফোনকে আছাড় মাড়লে জিসান এসে তাকেও একটা আছাড় মারবে।"
---জিসান ইদানীং ফোনেও তিশাকে এটাসেটা নিয়ে বকতে থাকে।আর বকবে না কেনো,তিশার খাওয়া-দাওয়া,গোসল,ঘুম সব কিছুতেই লেট।টাইম মতো কিছুই করে না।তাই জিসানের মেজাজ গরম হয়ে যায় এসব অনিয়ম দেখে।তাইতো বকে।কিন্তু তিশার এসব কিছু অসহ্য লাগে।
"আজও কোচিং থেকে ফিরতে তিশার লেট হয়ে গিয়েছে।কেনো জানি সাব্বির স্যার আজ কাল তিশাদের ব্যাচটাকে একটু বেশি টাইম নিয়ে পড়ায়।তিশার এসব একদম ভালো লাগে না।এতো টাইম নিয়ে পড়িয়ে কি সবাইকে বিদ্যাসাগর বানানোর প্লানিং করছে স্যার, আল্লাহই জানে।
---বাসায় এসে তিশা দেখলো,ড্রয়িং রুমে কিছু গেস্ট বসে আছে।কিন্তু এদের মধ্যে তিশা কাউকে চিনে না।কিন্তু ভদ্রতার খাতিরে তিশা সবাইকে সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকলো।
"রান্নাঘরে তিশার মা নাস্তা রেডি করছিলো।তিশা গিয়ে মাকে জিঙ্গেস করলো কে উনারা।মা বললো প্রতিবেশি।প্রতিবেশি তাও আবার এতোজন,দেখেতো মনে হচ্ছে মেয়ে দেখতে এসেছে।তিশা অবাক হয়ে জিঙ্গেস করতে নিবে আর ঐ সময় তিশার ফোন বেজে উঠলো।"
---তিশা ফোন রিসিভ করে কিছু বলবে,তার আগেই তিশার মা তিশাকে বলতে শুরু করলো,
আমার মনে হয় কি তিশা, উনারা তোকে দেখতে এসেছে।যতোসম্ভব ঐ যে বসে আছে ছেলেটা ওর জন্যই সমন্ধ নিয়ে আসছে।
"তোমাকে কিছু বলছে উনারা।"
---আরে এখনো ঠিক মতো কথা হয়নি,মাত্রই তো আসলো।আগে নাস্তা দিয়েনি তার পর জানা যাবে কেনো এসেছে।তোর ভাই, বাবাও নেই যে সামলাবে।আয়তো মা আমাকে একটু সাহায্য কর।হাজার হলেও মেহমান,খালি মুখেতো বিদায় দিতে পারিনা।জলদি কর।
"আমিতো ভুলেই গিয়েছি আমি ফোন রিসিভ করে ওমনেই রেখে দিয়েছি।কে ফোন দিয়েছে তাও ঠিক মতো দেখিনি।"
---তিশার মা ড্রয়িং রুমে বসে মেহমানদের আপ্যায়ন করছে।অবশেষে তাদের সাথে আসা মহিলাটি বলে দিলো তাদের আসার আসল উদ্দেশ্য।
হুম,তারা তিশার জন্যই তাদের একমাত্র ছেলের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।তিশাকে প্রথম দেখাতেই তার ছেলের খুব পছন্দ হয়েছে।
'তিশার মা কিছু বলতে যাবে, ঠিক তখনি কলিংবেল বেজে উঠলো।'
"তিশার মা দরজা খুলে জিসানকে দেখে ভীষন অবাক।কারন এই সময়তো জিসান আসার কথা না,অফিস টাইম এখন।"
---আসসালামুআলাইকুম মা।কেমন আছেন।
'ওলাইকুমআসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ বাবা।তুমিতো এই বাড়ীর রাস্তাই ভুলে গিয়েছো।'
---সব কথা কি এখানে দাঁড়িয়েই বলবো।
'আরে কি সব বলছো,এটাতো তোমারি বাড়ী।সন্তান কি নিজ বাড়ীতে আসতে মায়ের কাছে পারমিশন নিতে হয়।'
---জিসান ভেতরে ডুকেই সোফায় বসে পড়লো।রং সময় আসছি আমি।বাসায় তো মেহমান মা।কিন্তু কে উনারা চিন্তে পারলাম নাতো।
"জিসান সবই জানে,তখন ফোনের ওপর পাশ থেকে তিশা আর তিশার মায়ের কথা সব শুনেছে।আর সাথে সাথে অফিস থেকে এখানে এসে পড়লো।"
---আসলে জিসান বাবা।তিশার মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই মেহমানদের মধ্যে একজন বলে উঠলো আসলে আমরা এই বাড়ীর মেয়েকে আমাদের ছেলের বউ করে নিতে চাই।কয়েকদিন আগেই মেয়েটাকে আমার ছেলে ছাদে দেখেই পছন্দ করে ফেলেছে।তাই আমরা দেরি না করে প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
"এসব শুনে জিসানের চোখগুলো লাল হয়ে গিয়েছে।বিয়ের সমন্ধ এখন বাসায় আসতেও শুরু করে দিয়েছে।এসবই হচ্ছে তিশার শর্তের কারনে।
বিয়ের কথা কাউকে ও জানাতে দেয়নি।তাইতো এখন এসব মানুষ আমার জিনিষের দিকে তাকানোর সাহস পায়।বিবাহিত জানলেতো আর আসতো না।আগে এদের বিদায় করি,তার পর তোর ব্যবস্থা করবো তিশা।"
---তুমি কি হও মেয়ের।(ছেলের বাবা)
"জিসান সামনের গ্লাসে রাখা পানিটা পুরো খেয়ে নিলো একদমে।তার পর খুব শান্তভাবে উত্তরদিলো,
যে মেয়ের জন্য প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন, তার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ স্বামী আমি।"
---মেহমানরা অবাক হয়ে গেলো।ছেলেটি বলে উঠলো,আমি খবর নিয়েই এসেছি।মেয়েটি অবিবাহিত। আর আপনে নিজেকে ওর স্বামী দাবি করছে।কেনো??
"ব্রো রিলেক্স!তুমি তাই জেনেছো যা কেউ জানে না।কিন্তু আমি তা বলছি যা সত্য।
তিশা,মানে যাকে তুমি দেখতে এসেছো সে আমার ওয়াইফ। আমাদের বিয়ে ঘরোয়া ভাবে হয়েছে।তাই কেউ জানে না।বিশ্বাস না হলে,এই তো বসে আছে আমার শ্বাশুরী মা উনাকে জিঙ্গেস করতে পারো।"
---তিশার মাও সবাইকে বুঝিয়ে বললো,মেহমান সব শুনে চলে গেলো।জিসান এবার উঠে দাঁড়ালো,তিশার রুমে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
||
||
"এদিক দিয়ে তিশা নিজের রুমে পায়চারি করতে থাকে।কারন কলিং বেলের শব্দ শুনে তিশা দেখতে গিয়েছিলো আবার কে এসেছে ।জিসানকে দেখে তিশা বুঝে গেছে আজ ওর কপালো শনি আছে।"
---জিসানকে নিজের রুমে দেখেই তিশা ভয়ে কাঁপতে থাকে।জিসানকে সামনে আসতে দেখেই তিশাও ভয়ে পিছাতে তাকে।
পিছাতে পিছাতে একদম দেয়ালের সাথে আটকে যায়।জিসান ও দু'পাশে হাত রেখে তিশাকে আটকে ফেলে।তিশা ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে।
"ছাদে কেনো গিয়েছিলি।"
---তিশা কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না,কারন মাঝেমাঝে মন ভালো না লাগলে এমনেই একটু হাটাহাটি করে ছাদে গিয়ে আরতো কিছু না।
"এ এম নেই, মন ভালো না থাকলে একটু ঘুরে আসি।"
---ছাদে গিয়ে নিজের জন্য বিয়ের সমন্ধ নিয়ে আসিস।আজকাল একটু বেশি সমন্ধ আসছে না তোর জন্য।
"আসতে ই পারে,আসাটা স্বাভাবিক।কিন্তু আমি নিজে আনি না।
---না আসতে পারে না।আর আসাটা স্বাভাবিক ও নয়।কারন তুই সিংগেল না।নিশির জন্য আসতে পারে,নিলুর জন্যও আসতে পারে কিন্তু তোর জন্য না।
"তবুও আসছে,জানিস কেনো।তোর সো কল্ড শর্তের জন্য।আমাদের বিয়ের কথা কাউকে না জানানোর জন্য।আর এ কারনে আমার জিনিষ এর উপর নযর দিতে সবাই সাহস পাচ্ছে।এটা তোর কারনে হচ্ছে।জিসানের চিল্লানিতে তিশা আরো ভয় পেতে লাগলো।"
---তিশার এমন অবস্থা দেখে জিসান চোখদু'টি বন্ধকরে নিজের রাগটা কন্ট্রোল করার চেস্টা করছে।নো জিসান,এভাবে রাগলে হবে না,এভাবে কথায় কথায় রাগলে তিশা তোর কাছে আসতে চাইবে না।সো কুল....নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দিচ্ছে জিসান।
জিসাম তিশার সামনের চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিয়ে,আজকের পর আর ছাদে যাবি না ঠিক আছে।
"তিশা শুধু মাথা নাড়লো।"
---মন ভালো না থাকলে আমাকে কল করবি।তোর মন ভালো করার দায়িত্ব আমি নিলাম।কোথায় যেতে মন চাইলে বলবি আমি তোকে নিয়ে যাবো।তবুও কোথায় একা যাবি না।
"জিসান তিশার আরো একটু কাছে এসে কোমড়টা ধরে তিশাকে নিজের সাথে চেপে ধরলো।জিসান এতো কাছে আসায় জিসানের মাতাল করা পারফিউম এর ঘ্রাণে তিশার নিজেরি হারিয়ে যেতে মন চাইছে।"
---তিশার কানের সামনে মুখটা নিয়ে, আমাকে জ্বলতে দেখে তোর খুব ভালো লাগে তাই না,কিন্তু আমার এ দহনে যে তোকেও পুড়তে হবে একদিন, তখন সহ্য করতে পারবি তো।
তিশার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে,কি আছে তোর মাঝে,যা আমাকে প্রতিনিয়ত কাছে টানে তোর।
---জিসান তিশার ঘাড়ে নাক দিয়ে ঘষতে থাকে,কেনো তোর ঘ্রাণ আমাকে মাতাল করে।
টুকরো টুকরো কিস করা শুরু করে দেয়।তিশা সহ্য করতে না পেরে জিসানের সামনে থাকা হাতদু'টো দিয়ে জিসানের শার্টটাকে খামচে ধরে।হয়তো জিসানের শরীরের কিছু অংশে তিশার নকের আছড় ও লেগেছে,কিন্তু জিসানের সে দিকে খবর নেই।
বলেছিলাম না,একবার ভালোবাসি বল।চুমোতে ভরে দেবো তোকে আমি।
জিসানের এ কথা শুনে তিশা শোকড!কারন সেদিন নেশা করে জিসান এসব বলেছে।তাহলে কি উনি.......উফ!
চলবে......।
No comments