ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 ----------(season 2) [🖤] part_16🍁
"কখন ধরে তিশাদের বাড়ীর কলিংবেল বেজে চলছে।কেউ খুলছে না।দরজার ওপাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিটাও এখন অনেকটা বিরক্তবোধ করছে।কিছুক্ষণ পর তিশা এসে দরজাটা খুলে দিলো।
সামনে দাঁড়ানো মানুষটিকে দেখে অবাক হলো না।বরং হাসি মুখে জিঙ্গেস করলো, কেমন আছো আপু।"
___এইতো আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো।আন্টি নেই বাসায়।
"আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপু। আম্মুও আছে।তুমি ভেতরে আসো আগে।আম্মু তোমাকে দেখলে ভীষন খুশি হবে।কোথায় ছিলে এতোদিন।"
___খুলনায় ছিলাম।আমার বড় মামা অসুস্থ ছিলো।আজই ফিরলাম।ভাবলাম তোমাদের সাথে একটু দেখা করে যাই।তাই চলে আসলাম।
"ভালোই করেছো।আমারও খুব বোর লাগছিলো জানো।চলও তোমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করবো।তুমি বসো আমি আম্মুকে বলে আসছি।"
'রুহি তিশাদের পাশের বাসায় থাকে।রুহির মায়ের সাথে তিশার মায়ের খুব ভাব বান্ধবীর মতো। সেই সুবাদে রুহিও এই বাসায় আসা যাওয়ার ভিসা পেয়ে গেছে।কিন্তু রুহি তিশা বা ওর মায়ের জন্য এই বাসায় আসে না।
আসে তো অন্য কারণে।রুহি,তিশা আর রেনু বেগম বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলো।এর পর তিনি চলে গেলেন রাতের ডিনার রেডি করতে।তিশা চায়ের কাপগুলো রাখতে কিচেনের দিকে পা বাড়াতেই,কলিংবেল আবার বেজে উঠে।
তিশা ব্যস্ত বলে রুহি দরজা খুলে।দরজারটা খুলেই রুহির মুখে এক অদ্ভুত হাসি ফুটে উঠে।আর আসবেই না কেনো,যাকে এক নযর দেখার জন্য,২ ঘন্টা ধরে বসে আছে তাকে দেখে খুশির ঝলক তো ফুটবেই।'
---রায়হান কখন ধরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ভেতরে ডুকতে পারছে না।রুহি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে বলে।এবার রায়হান মুখে একটু বিরক্তিপ্রকাশ করে বললো।
রুহি ম্যাম যদি একটু সাইড দিতেন,তাহলে আমি একটু ভেতরে ডুকতে পারতাম।
"রায়হানের কথায় রুহি একটু লজ্জা পেয়ে দরজা থেকে সরে ধারালো।রায়হান ভেতরে ডুকে নিজের রুমে চলে গেলো।আজ আর বের হবে না।
রুহি নামক আপদ যে পর্যন্ত না যায় বাসা থেকে।মেয়েটাকে রায়হানের একদম সহ্য হয়না। দেখলেই মেঝাজ গরম হয়ে যায়।রায়হানের কোনও সারা না পেয়ে রুহিও বাধ্য হয়ে চলে গেলো।"
----রাতে সবাই ডিনার করে যে যার রুমে চলে গেলো।তিশা বিরক্তবোধ করছে বলে একটু ফেসবুকে উকি মারলো।ভালো কিছু না পেয়ে চলে যেতে নিলে হঠাৎ একটা ম্যাসেজ আছে তিশার নাম্বারে,তিশা দেখলো নাম্বারটা প্রাইভেট নাম্বার।ম্যাসেজ টা চেক করে তিশা---
💀
"""প্রকৃতি নিজেই সব কিছুর বদলা নেয়,তাহলে তুমি কি করে ভাবলে আমি নেবো না।কিছুই ভুলিনি আমি,না ভুলতে দেবো কাউকে।আমার হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ তুমি শুরু করেছো, আর এর খতম আমি করবো।কাঁদবে তুমি,ছটফট করবে।কিন্তু এবার বাঁচাতে কেউ আসবে না।আমি কোনও পথ খোলাই রাখবো না।আমার ছোবল দেবো তোমাকে,তবুও মারতে দেবো না।বি রেডি ---আমি আসছি।তোমার ছায়াকে তোমার থেকে কেড়ে নিতে।""
💀
---ম্যাসেজটা পড়ে তিশা শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসলো। ঘমতে লাগলো।ভয়ে হাতপা কাপতে লাগলো।এটা জিসান না,তাহলে কে।আর কিসের বদলার কথা বলছে।আমি কার আবার এমন ক্ষতি করলাম।উফ!মাথাটা ফেটে যাবে।আর চিন্তা করতে পারছি না।
"হঠাৎ বারিন্দায় কিছু পরার শব্দ শুনতে পেলো তিশা।কি দেখার জন্য তিশা সামনে বারতে লাগলো।ভয়ে যেনো হাত পা চলছে না। সামনে একটি ছায়া দেখে তিশা ভয় পেয়ে গেলো, চিৎকার করতে যাবে,তখনি ছায়াটি এসে মুখ চেপে ধরলো।"
---কি করছিস।সবাইকে কি জানানো খুব দরকার আমি আসছি।
"তিশা এতোক্ষন ভয় পেলেও জিসানের কন্ঠ শুনে কিছুটা রিলেক্স হলো।মুখ থেকে জিসানের হাতটা সরিয়ে জিসানকে টাইট করে জরিয়ে ধরে।
তিশার এমন কান্ডে জিসান কিছুটা অবাক হয়।জিসান তিশার মাথায় হাত বুলিয়ে -কি হয়েছে জান,কোনও সমস্যা। তিশা মাথা নাড়ায় না।তাহলে ভয় পেয়েছিস,তিশা এবার হ্যা বলে।"
---তাইনি আমার পাগলিটা ভয়ও পেতে পারে।তো ম্যাডাম কে আপনাকে এতো ভয় দেখালো তার ঠিকানটা আমাকেও দিন।তাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে আসি।তার কারনেই তো আজ আপনে নিজের থেকে আমার কাছে এসেছেন।এতো খুশি আমি কোথায় রাখবো বলেন তো।আমি আবার আজ খুশিতে মরে না যাই।
"জিসানের কথায় একটু বিরক্ত হয়ে সরে যেতে নিলে,উনি আমাকে আরো জড়ে আকড়ে ধরে।ম্যাডাম আসছেন আপনার মর্জিতে কিন্তু যেতে হবে আমার মর্জিতে। চাই চেস্টা করেও লাভ নেই।যেমন আছেন তেমনি থাকেন।"
---জিসান আমার মাথায় একটা চুমো দিয়ে চুলের ঘ্রান নিতে ব্যস্ত আর আমি উনার হ্রদপিন্ডের প্রতিটি স্পন্দন খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছি।
উনার হ্রদপিন্ডের প্রতিটি ধুপধুপ শব্দ আমার অস্তিত্বকে জানান দিচ্ছে।এখানে মনে হয় আমারি বসবাস,তাইতো এই জায়গায় মাথাটা রাখলে সব চিন্তা নিমিষে দূর হয়ে যায়।
"হঠাৎ আমার খেয়াল হলো উনি ফর্মাল ড্রেসআপে।তার মানে উনি অফিস থেকে সোজা এখানে চলে এসেছেন।আমি উনার থেকে সরে,আপনে বাসায় যাননি।"
---জিসান আমার সামনের চুলগুলো কানের পিছে গুঁজে দিয়ে____না!
আমি অফিস থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি।তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো।সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছিলাম না।মনটা ছটফট করছিলো।মনে হচ্ছে দম আটকে মরে যাবো,যদি এখনি আমার জানটাকে না দেখি।তাই চলে আসলাম।
"তার মানে আপনে ডিনারও করেনি, ঠিক তো।"
---হুম,বাসায় গিয়ে কিছু খেয়ে নিবো নি।চিন্তা করিস না।তোকে এখন একটু মন ভরে দেখতে দে।
"জিসানকে খুব টায়ার্ড লাগছে,আমি খুব ভালো করেই জানি সে বাসায় গিয়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পরবে।আপনে বসুন এখানে আমি আসছি।"
---কোথায় যাস।আমার হাতটা ধরে।
"আমি আসছি।"
'-আমি জিসানকে বিছানায় বসিয়ে রুম থেকে বের হলাম খাবার আনতে।কি আশ্চর্য!
আজ কিছুই নেই।বলে না প্রয়োজনের সময় কিছু পাওয়া যায় না।আমি তারাতারি করে চাওমিন রান্না করে ফেললাম।আমার হাতের চাওমিন জিসানের খুব পছন্দ। আমি রান্না করে প্লেটে নিয়ে পাকের ঘর পরিস্কার করে চললাম রুমের দিকে।
গিয়ে দেখি সাহেব আমার বিছানায় হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।ক্লান্তি তার চেহারায় ফুটে উঠেছে।তবুও খেতে তো হবেই।'
---আমি খুব আস্তে করে তাকে ডেকে তুললাম।ঘুম ঘুম অবস্থায় আমি খাইয়ে দিলাম।উনিও চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিলেন।আমি পানি খাইয়ে প্লেটটা রেখে এসে দেখি,জিসান বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি মেরে শুইয়ে আছে।আমিও দরজা লাগিয়ে বাতিটা নিভিয়ে জিসানের পাশে শুয়ে পড়লাম।
কিছুক্ষণ পর জিসান হঠাৎ আমার দিকে ফিরে আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরলো।আমি কিছুটা অবাক হলাম।কারন আমি মনে করেছিলাম উনি ঘুমিয়ে গিয়েছে।
নিজের অজান্তে আমার হাতটা উনার মাথায় চলে গেলো।আমি তার সিল্কি চুলগুলোতে হাত বুলাতে লাগলাম।আর উনি আমাকে নিজের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।কেনো জানি খুব শান্তি লাগছে।
মনে মনে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।উনার মতো একটা পাগল আমার প্রেমে যে কিভাবে পড়লো,আমি আজও বুঝতে পারলাম না।তবুও উনি পাশে থাকলে নিজেকে কেনো জানি পরিপূর্ণ লাগে।
"তিশা জিসানকে পেয়ে,আননোন নাম্বার থেকে আসা ম্যাসেজটির কথা ভুলেই গিয়ছে।"
||
||
"রায়হানের ফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বেজে চলছে।ঘুমকাতুর রায়হান খুব ভালো করে জানে, ফোনটা না ধরা পর্যন্ত ফোনটির মালিক শান্তি মতো না নিজে ঘুমাবে না ওকে ঘুমাতে দেবে।তাই রায়হান ফোনটা ধরে,
---হ্যা লোওও
"নিশ্চুপ"
---কথাতো বলবেন না তাহলে ফোন কেনো করেন বলেন তো।না নিজে ঘুমান না আমাকে শান্তি মতো ঘুমাতে দেন।আচ্ছা বলেনতো সমস্যা কি।
"নিশ্চুপ।"
---ও আমিতো ভুলে গিয়েছি,আপনিতো আবার কথা বলতে পারেন না।
আচ্ছা তাহলে আমার কথা শুনুন,আপনার ঠিকানাটা পাঠিয়ে দিন।আপনার বাসায় বাবা মা কে পাঠাবো বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে।
আপনার মা বাবাকে ও জানানো দরকার তাদের মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে।আর আমি বা কতো দিন একা থাকবো বলেন।বয়সতো কম হয়নি।বাবা মা বুঝে না পোলা বড় হয়ে গিয়েছে।তাই নিজের বিয়ের ঢোল নিজেই বাজাতে হবে এখন।
"ভাবছি এবার বিয়েটা করে বাসরটাও সেরে ফেলি তারাতারি।আর কতো রাত একা কাটাবো।এবার কোলবালিশ কে আউট করার সময় হয়ে গিয়েছে।কোলবালিশ এর জায়গায় একটা মিস্টি বউ লাগবে।যাকে মন চাইলেই যেনো আদর করতে পারি।
কি বলেন!ঠিক বলছি।"
---আমারতো মনে হয় আপনারও তর সইছে না বাসর করার জন্য।তাইতো শুধু রাতেই আমার কথা মনে করে ফোন করেন।কখনো কখনো দিনেও স্মরণ কইরেন এই অভাগারে।
আর আমার প্রস্তাবে রাজি থাকলে ঠিকানা পাঠিয়ে দিয়েন।আপনার ঠিকানা পেলে হানিমুনের টিকেট আমি আগেই কেটে ফেলবো।হানিমুনেই আমরা ফ্যামিলি প্লানিং করে ফেলবো।আমার কিন্তু আপনার মতো একটা মিস্টি মেয়েই লাগবে।ছেলে হলে চলবে না।মেয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি কিন্তু আপনাকে রেস্ট নিতে দিবো না।তাই ভালো করে চিন্তা করুন আমার ইচ্ছাগুলোর।
'ফোনের অপর পাশের ব্যক্তিটি ফোনটা টুস করে কেটে দিলো।'
---ফোনটা কেটে যাওয়ায় রায়হান ফোনটা বুকের উপর রেখে হাসতে থাকে।ম্যাডাম আজ রাত ঘুমাতে পারবে না।
আমার জোনাকি পোকা।
"ফোনের অপর পাশের মানুষটি___
অসভ্য লোক।একটা অপরিচিত মানুষের সাথে হানিমুনের আলোচনা করে।ফ্যামিলি প্লানিং ও করে ফেলছে।শয়তান,খাটাইশ,লুচু কোথাকার।দেখে নিবো আমি আপনাকে।একবার শুধু হাতে পেয়ে নি।হানিমুন করার শখ আমি মিটিয়ে দেবো।"
-হুম!ফোনটা নিশিই করেছিলো।শুধু আজ না,গত ২বছর ধরে ফোন করছে।ফোন করে কিন্তু কোনও কথা বলে না।শুধু রায়হানের একটু কন্ঠ শুনতে এতো কিছু।তবে রায়হান প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও এখন ওরও খুব ভালো লাগে।রাতে ফোনটার জন্য অপেক্ষা করে।কারন রায়হান জানে ফোনটা আর কেউ না ওর প্রিয়তমা করেছে।
'প্রিয়তমা!হুম রায়হানের প্রিয়তমা।নিশিকে খুব ভালোবাসে রায়হান।কিন্তু ভালোবাসাটা প্রকাশ করতে চায় না।যেভাবে চলছে চলুক না।দু'জন দু'জনকে ভালোবাসার পরও নিজের ভালোবাসা লুকিয়ে রাখার প্রাণপ্রণ চেস্টা চলছে দু'জনের মাঝে।দেখাযাক কার ধৈর্য আগে ভাঙ্গে।'
উফফ নিশি.....নেশা লাগিলো... রে
----------------বাকা দুনয়নে নেশা তোর লাগিলো...রে.....।
রায়হান গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ঘুমের দেশে তলিয়ে পড়লো।
||
||
"সকালে তিশা ঘুম থেকে উঠে দেখে জিসান নেই।টেবিলে একটা চিরকুট লিখা।
'গুড মর্নিং সুইটহার্ট।সকাল হয়ে গিয়েছে,তাই চলে যেতে হলো, ঘুমিয়ে ছিলি বলে তোকে ডাকিনি, তোর ঘুমটা ভাঙ্গতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না।সরি না বলে যাওয়ার জন্য।
তবে একটু পর আমি আবার আসছি।তুইও কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নে।'
❤লাভ জিসান।
তিশা চিরকুটটা পরে খুব যত্ন করে রেখে দিলো।আজকাল জিসানের সব কিছুই যেনো ভালো লাগে তিশার।এর পর নিজেও রেডি হতে চলে গেলো,কিছুক্ষণ পর জিসান আসলো তিশাকে পিক করতে।তার পর নিশি ও তিশাকে কলেজে পৌছে দিয়ে জিসান চলে গেলো অফিসে।"
-আজকাল অফিসে কাজের চাপটা বেশি।প্যারিস থেকে এখানে সব সেটেল করে,কাজ শুরু করছে।নতুন জায়গা,নতুন লোক তাই জিসানকেও বেশ টাইম দিতে হচ্ছে সব কিছু বুঝিয়ে নিতে।
"আজ কলেজ ছুটির পর তিশা নিলুর বাসায় গেলো।প্রায় এক ঘন্টা ধরে নিলুকে আটকে রেখেছে তিশা।সমস্যা কি জানার জন্য।কিন্তু নিলু বার বার কথা কাটিয়ে দিচ্ছে।তার নাকি কোনও সমস্যা নেই।
কিন্তু তিশা খুব ভালো করেই জানে কিছু একটা চলছে নিলুর মনে যা কাউকে শেয়ার করতে চাইছে না।তাইতো নিলু না কলেজে আসে ঠিকমতো,না কোচিং এ।এমনকি তিশার সাথেও তেমন কথা বলে না।"
---নিলুও জানে তিশা না যেনে যাবে না,তাই তিশাকে এড়ানোর জন্য,তিশা বস আমি তোর জন্য পুডিং নিয়ে আসছি,তুইতো আম্মুর হাতের পুডিং খুব পছন্দ করিস।আমি নিয়ে আসছি।
'তিশাও বুঝতে পারছে,নিলু ওকে এড়ানোর জন্যই পুডিং এর বাহানা করছে।তিশা ভাবছে কি করবে।হঠাৎ কি মনে করে নিলুর পড়ার টেবিলটা দেখতে লাগলো।ওখানে নীল কালারের কাভার দেওয়া একটা ডাইরি পরে আছে।তিশা ডাইরি টা নিয়ে পরতে লাগলো।ডাইরিটা পড়ে তিশার সব প্রশ্নের উত্তর তিশা পেয়ে গেলো।"
---অন্যকারো ডায়রি তার পারমিশন ছাড়া পড়া মোটেও ভালো না,এটাকে অভদ্রতা বলে তিশা জানে।কিন্তু বান্ধবীর মনের কস্ট দূর করার জন্য একটু অভদ্র হলেও চলে।
তিশা ডাইরিটা পরে যথাস্থানে আবার রেখে দিলো।নিলু পুডিং নিয়ে আসলে খেয়ে নিলুর সাথে টুকটাক কথা বলে চলে গেলো।
নিলু অবাক হলো,কারন তিশা যা জানার জন্য এসেছে তা না যেনে চলে গেলো।ও কি আবার আমার ডাইরিটা পরেনিতো।নিলু চেক করলো ডায়রিটা ঠিক জায়গায় আছে কিনা।ডায়রি তো ঠিকই আছে তাহলে তিশা!
||
||
"শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।কিছুক্ষণ আগে প্যারিস থেকে আসা একটা বিমান অবতরণ করলো দেশের মাটিতে।আর সেই বিমান থেকে নেমে আসলো একটি সুন্দরী মেয়ে।"
---মেয়েটিকে দেখে আসেপাসের মানুষগুলোও কেমন হুমড়ি খাচ্ছে।সুটবুটে বিদেশি মনে হলেও জন্মগত ভাবে সে দেশি।তবে অনেক বছর ধরে ফ্যামিলির সাথে বিদেশের মাটিতে থাকতে থাকতে বেশভূষায় অনেকটা বিদেশী হয়ে গিয়েছে।
"বিজনেস জগতে হাজারো পুরুষের মাঝে নিজের যোগ্যতায় আজ টপ বিজনেস ওমেনের মাঝে নিজের নামি লিখেছে।সে আর কেউ না মিস লাবনী মেহের।
ফর্সা গায়ের রং,গ্রে কালার হেয়ার,মুখে লেগে থাকা হাসি।সব মিলিয়ে কোনও হিরোইন থেকে কম নয়।আজ এতো বছর পর নিজ দেশে ফিরেছে।তাও অন্য কারো জন্য।"
-এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে নিজের ব্লাক মার্সিডিজ এ চড়ে বসে সামনের ড্রাইভার কে উদ্দেশ্য করে বললো।
আহমেদ ভিলায় আগে চলো।কারো সাথে দেখা করা খুব প্রয়োজন।।
চলবে....
No comments