ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 (season 2) part_6🍁
"আজ রুপকদার গায়ে হলুদ।সকাল থেকেই সবাই ব্যস্ত। বাড়ীর উঠানে বিশাল জায়গা নিয়ে গায়ে হলুদের সব আয়োজন করা হয়েছে।তাজাফুল,কাগজ আর ছোট ছোট বাল্ব ব্যবহার করা হয়ছে ডেকোরেশনে।"
__এর পুরো কেডিট রায়হান ভাইয়ের।খুবই অল্প সময় পুরো বাড়ীর নকশা পাল্টিয়ে ফেলেছে।তাইতো আজ সবার মুখে মুখে রায়হান ভাইয়ের সুনামের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।আহা!
"-হলুদের জন্য আমরা মেয়েরা সবাই কলাপাতা কালারের শাড়ী পরেছি,এর সাথে খোপায় বেলি ফুলের মালা,শাড়ীর লাল পাড়ের সাথে মেচিং করে চুড়ি,ব্লাউজ আর কপালে লাল টিপ পড়েছি তার সাথে সাজসজ্জা তো আছেই।
সবাইকেই খুব সুন্দর লাগছে।আর ছেলেরা কাচা হলুদ কালারের পান্জাবী পড়েছে।"
'এর মধ্যে জিসানের চোখ আটকে গেলো একটা রমণীর দিকে।'
---শাড়ীতে কাউকে এতো সুন্দর লাগে তাতো জিসানের জানাই ছিলো না।আজ প্রথম তিশাকে শাড়ীতে দেখলো জিসান।তিশার থেকে আজ চোখই সরাতে পারছে না জিসান।
বুকের ভেতর মনে হয় চিন চিন ব্যথা করছে,অজান্তেই হাতটা বুকের বাপাশে চলে গেলো।জিসানের চোখে আজ তিশাকে ভয়ংকর সুন্দর লাগছে।এতোটাই সুন্দর যে,এই সৌন্দর্যের বর্ণনা করতে গেলে,জিসানকে হয়তো আজ কবি হতে হবে।
'তাই মনের অজান্তেই বিরবির করে বলে ফেললো-- সুন্দরী তোর ভয়ংকর সৌন্দর্যে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো একদিন।দেখিস!
---তিশা নিচে আসতেই চায়নি, সকালের ঘটনায় ভীষন ভাবে ভয় পেয়ে গিয়েছে।কিছুতেই ভুলতে পারছে না,মনে পরলে এখনো হাত পা কাপে।ভাগ্য ভালো ছিলো বলে,এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছে।
---------সকালে
"নিশির চিৎকারে জিসান সহ বাড়ীর সবাই পুকুর পাড়ে দৌঁড়ে আসে।জিসানকে আসতে দেখে নিশি কান্না গলায় হাত দিয়ে ইশারা করে বলে__
ভাইয়া তিশা পুকুরে পড়ে গিয়েছে,এ কথা শুনে জিসান এক সেকেন্ড ও অপেক্ষা করেনি পুকুরে ঝাপ দিয়েছে।"
---'পুকুর গভীর ছিলো,পড়ার সাথে সাথে হাত পা চালিয়ে ও কিছুই করতে পারছিলাম না,নিশ্বাস ঠিকমতো নিতে না পাড়ার কারনে চোখে যেনো অন্ধকার নেমে আসছিলো। মনে হলো কোনও এক অদৃশ্য শক্তি আমাকে নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আমি হারিয়ে ফেলছি আমার সব আপন মানুষদের।চোখের সামনে ভেসে আসছে,মায়ের কান্না মাখা মুখ খানি,বাবার মলিন চেয়ারা, রায়হান ভাই,নিশি,নিলু আর সবশেষে জিসান।আমার চোখ বুঝে গেলো।'
'জ্ঞান ফিরার পর জানতে পারলাম__'
"তখন জিসানের সাথে সাথে রায়হান ভাই ও পুকুরে ঝাপ দেয়।পুকুরটা বড় আর গভীর ছিলো।আমি পুকুরের নিচে তলিয়ে যাবার আগেই জিসান আকড়ে ধরে আমাকে।আস্থে আস্থে জিসান ও রায়হান ভাই মিলে আমাকে উপরে উঠায়।কিন্তু আমি তখনো নিস্তেজ হয়ে পরেছিলাম।পেট চেপে পানি বের করা হয়।কিন্তু নিশ্বাস তখনো আমার চলছিলো না।
জিসান মুখ দিয়ে নিশ্বাস দেওয়ার কিছুক্ষন পর আমি লম্বা একটা নিশ্বাস ছাড়ি।কিন্ত শরীর খুব ক্লান্ত আর ভয়ে আমি নিজের জ্ঞান আবার হারিয়ে ফেলি।আর যখন জ্ঞান ফিরে আসে,চোখ খুলে দেখি মা বসে কান্না করছে,বাবা মাথার সামনে বসে আছে,ঘর ভর্তি মানুষ।সবার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে কোনও ছোটখাটো টর্নেডো এসেছিলো।যার কবল থেকে খুব কস্টে বেঁচে ফিরেছে।
||
||
"রুপকদাকে সবাই এক এক করে হলুদ ছোঁয়াচ্ছে। আমার সব কাজিনরা দুষ্টুমি করে রুপকদার পুরো মুখে হলুদ লাগিয়ে ভূত বানিয়ে দিয়েছে।সবাই এতো পরিমান মিস্টি খাওয়ালো যে,এখন রুপকদা মিস্টি দেখলেই নাক মুখ ছিটকিয়ে ফেলছে।
ব্যাচারা মনে হয় নিজের বিয়ের মিস্টিটাও এখন আর খাবে না।"
__কখন ধরে রুপকদার ফোন বেজে চলছে।সুরভি ভাবি কল করছে,কিন্তু এতো মানুষের মাঝে ফোন তুলতে পারছিলো না। অবশেষে টিকতে না পেরে ফোনটা রিসিভ করেই ফেললো।
কি কথা হলো আল্লাহই জানে রুপকদার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।কিছুক্ষন পর রায়হান ভাইকে ডেকে কানে কানে যেনো কি বললো,রায়হান ভাই চোখমুখ কুচকিয়ে একটা বিরক্ত লুক নিয়ে রুপকদার দিকে তাকালো।আর রুপকদা একটা হ্যাবলার মতো একটা হাসি দিলো।
"আমি নিশি আর নিলু এক সাইডে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম।হলুদের আয়োজন মোটামোটি শেষ। ব্যাক গ্রাউন্ড এ গান চলছে----
"একটা সময় তোরে আমার সবই ভাবিতাম,
তোরে মন পিঞ্জরে যতন করে আগলাইয়া রাখতাম।
তোর হাসি মুখের ছবি দেইখা দুঃখ পুষাইতাম,
তুই কানলে পরে কেমন করে হারাইয়া যাইতাম।
ওরে মনের খাঁচায় যতন কইরা দিলাম তোরে ঠাঁই,
এখন তোর মনেতেই আমার জন্য কোনো জায়গা নাই।
ওরে আদর কইরা পিঞ্জরাতে পুষলাম পাখিরে,
তুই যারে যা উইড়া যারে অন্য খাঁচাতে।
ও মাইয়ারে,মাইয়ারে তুই, অপরাধী রে ,
আমার যত্নে গড়া ভালোবাসা দে ফিরাইয়া দে।
আমার অনুভূতির সাথে খেলার অধিকার দিলো কে?
মাইয়া তুই বড় অপরাধী , তোর ক্ষমা নাই রে।"
আমি ভিষন অবাক গায়ে হলুদে এ গান কে ছাড়লো,অথচ নিশি ও নিলুকে দেখে মনে হচ্ছে গানটা বেশ ভালোই লাগছে তাদের। আমি এদিক ওদিক তাকাতেই দেখলাম এক জোড়া চোখ শুধু আমাকেই দেখছে।"
----মাঝে মাঝে মনে হয়, এই চোখদুটোতে আমি যেনো বিশাল এক সমুদ্র দেখতে পাই।যার ঢেউ এর মিস্টি তরঙ্গ গুলো ক্ষনে ক্ষনে বেজে উঠে,আর আমি হারিয়ে যাই তার মাঝে।আমি বেশিক্ষণ সেই চোখদুটোর দিকে তাকাতে পারলাম। নামিয়ে ফেললাম সাথে সাথে।কেনো বুঝে না এই লোকটি___
'আমি যে দেখতে পাই তার চোখে আমারি সর্বনাশ।'
---নিলু তুই তিশার সাথে থাক আমি একটু গলা ভিজিয়ে আসি।আরে নিশি আমার জন্য ও একটা সপ্ট ড্রিংক নিয়ে আসিস।
"তুই ওকে কেনো অর্ডার দিচ্ছিস।তুইও যা, যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে আস।
আর কখন ধরে দেখে আসছি তোরা দুজন কেমন চুইঙ্গাম এর মতো লেগে আছিস আমার সাথে, বলতো সমস্যা কি?
---নিলু ও নিশু দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুখটা মলিন করে ফেললো।
সাধে কি আমরা চিপকু হয়েছি। আমাদের দুজনের জন্য ফরমান জাড়ি করেছে তোর ওই ম্যাডনেস হিরো।সকালের দূর্ঘটনাটার জন্য তোকে এক সেকেন্ড একা যাতে না করি।
'তুইতো বেহুশ ছিলি,আর এ দিক দিয়ে জিসান ভাই আমাদের এমন ধোয়া ধুইছে। কাপড় ধোয়াতে বসালে তখন ভাই মনে হয় সাবান ছাড়াই কাপড় পরিষ্কার করে ফেলতো।'
এবার বুঝলাম_____আমাকে কেউ ধাক্কা দিয়েছে,এটা শুনেই জিসান টেনশনে পরে গিয়েছিলো।তাই হয়তো এ দুটো পাবলিককে আজ আমার বিনা বেতনে বডিগার্ড বানিয়ে ফেলছে।আজব মানুষ।
||
||
"পুরো বাড়ী এখন ভূতরি বাড়ী মনে হচ্ছে।পানির জগ নিয়ে আমি বের হলাম উদ্দেশ্য কিচেনের দিকে।কিছুক্ষন আগেও কতো শোরগোল শোনা যাচ্ছিলো। আর এখন সব নিরব,নিস্তব্ধ।ক্লান্তিতে সবাই ঘুমিয়ে ও পরেছে।"
---পানি নিয়ে আসার সময় কিছু একটার ছায়া দেখতে পেলাম।আমি ভয়ে চিৎকার দিতে চাইলে কেউ একজন এসে আমার মুখটা চেপে ধরে।
'আমার সামনে তিন বান্দরে দাঁড়িয়ে আছে,রায়হান ভাই,রুপকদা আর জিসান।
এতো রাতে তোমরা কোথা থেকে আসলে।'
___আমার কথা শুনে রুপকদা একটু লজ্জা পেলো।আ...মতা,আম...তা করে বললো,তোর ভাবির সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।
"ওও....তাই নাকি।তাহলে এই দুজন কার সাথে দেখা করতে গিয়েছে,তোমার শালিদের সাথে।
আমি হেসে উঠলাম।
__রায়হান ভাই আমাকে একটা ধমক দিলো,বেশি কথা বলিস তুই।আগে বল এতো রাতে এখানে কি করিস।তোকে না বলেছি একলা কোথাও যাবি না।কথা শুনিস না কেনো তুই,যা রুমে যা এখন।
আমিতো পানি নিতে বের হয়েছিলাম।"
__একলা কেনো আসলি,নিলু বা নিশিকে সাথে করে বের হতে পারলি না।আমরা না হয়ে অন্য কেউ হলে তখন কি করতি।আর এভাবে কখনো বের হবি না।ঠিক আছে।
রায়হান ভাই ও রুপকদা চলে গেলো।
"আমার মেঝাজ খারাপ হয়ে গেলো।আমিও চলে যেতে নিলে,জিসান সামনে দাঁড়ায়। আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বলে পাঁচ মিনিট তোর কাছে আছে।রুমে জগটা রেখে ছাদে আস।"
---আমি ভয়ে ভয়ে জিঙ্গেস করলাম কে.....নো।
"তোকে আসতে বলছি আসবি, এতো প্রশ্ন করতে বলেনি।"
---ছাদে এতো রাতে,ভূ....ত আছে।আমি যাবো না।
"তোর লাইফের ভূততো আমি,তাই এখন ছাদে না আসলে ঘাড় মটকে ফেলবো।বুঝলি।(জিসান দাঁতেদাঁত চেপে)"
||
||
"ছাদের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছি।ভয়ে ভীষন ঘাম ছুটছে।উফফ! কেনো যে বের হলাম,আর এর সামনেই বা কেনো পড়লাম।
ছাদের ভেতরে ডুকে দেখি কেউ নেই,যাক বাঁচলাম বলেই, চলে যেতে নিলে কেউ আমার হাতটা টান দেয়।এটা আর অন্য কেউ না জিসানই।আমি গিয়ে জিসানের বুকের উপর গিয়ে পড়লাম।
আমার কোমড়কে আকড়ে ধরে,তার বাহুডোর এ আবদ্ধ করে ফেললো।তার স্থির দৃষ্টি আমার মুখের দিকে।আর আমার চোখদুটো তার পান্জাবীর বোতাম খোলা উন্মুক্ত বুকের দিকে।"
---পৃথিবী ধ্বংস কার জন্য হবে জানিনা।কিন্তু আমাকে ধ্বংস তুই করবি।মনে রাখিস।জিসানে কন্ঠ...
"আমি অবাক দৃষ্টিতে এবার তার দিকে তাকালাম।কি সব বলছে।পাগল হয়ে যায়নি তো।আমি তাকে কিভাবে ধ্বংস করবো।মনে মনে।"
---হঠাৎ আমাকে টেনে ছাদের গ্রিলের সাথে চেপে ধরলো।জিসানের চোখ আজ যেনো অন্য কথা বলছে।জিসান আজ আমার কাছে কেমন রহস্যময় লাগছে।কেমন এক গম্ভীরতা ভেসে উঠছে কথায়।
"আমার কাধের কাছে মুখটা এনে______প্রমিকার কিছু কিছু জিনিষ নাকি প্রেমিকের কাছে ভালো লাগে,আমার কাছে তোর সব কিছুই কেনো এতো ভালো লাগে বলতো।"
'কাধে জিসানের গরম নিশ্বাস পড়ছে।আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে,আমি একটু নাড়াচাড়া করায়।হাত দুটো আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।
---কাধ থেকে উঠে গলায় টুকরো টুকরো কিস করতে লাগলো,আমি চোখদুটো বন্ধ করে ফেললাম।
"তোর ভয়ার্ত মুখের প্রেমে আমি বার বার পড়ি,জানিস!ভয়ে যখন তুই চোখ দুটো বার বার বন্ধ করিস আর খুলিস,সেটা দেখে আমার তোর আরো কাছে আসতে মন চায়।কেনো বলতো!"
'নিজের গাল দিয়ে আমার গালের সাথে স্লাইড করে
___একটু ভালোবাসা দিবি আমায়,যে ভালোবাসা পেয়ে আমি ভুলে যাবো তোকে না পাওয়ার বেদনায় কাটানো রাত গুলোর কথা।যে ভালোবাসায় থাকবে সীমাহীন ভালোবাসা,অনুভূতি। যা দিয়ে আমি পার করতে পারবো সারাটা জীবন।'
--আমার হাতদুটো ছেড়ে দিয়ে,আমার কোমড়টা ধরে নিজের সাথে চেপে ধরে।আমার চুলগুলো মুঠো করে মুখটা তুলে ধরে___কি নিষ্ঠুর তুই!
কেমন করে পাড়িস আমাকে ভুলে যেতে,আমি কেনো পারিনা।
তাহলে তো এই দহনে এতো বছর জ্বলতে হতো না।
---আমার কপালে নিজের কপাল রেখে__কি নেশা আছে তোর মাঝে বলনা,মদের নেশাও এর কাছে কিছুই না।তোকে পাওয়ার নেশা যে এতো তীব্র হবে জানা ছিলো না।কিন্তু এই নেশায় আমি ডুব দিতে চাই।আর ভাসাতে চাই নিজেকে দূর থেকে দূরান্তে।
"জিসানের ঠোঁট আমার ঠোঁটে ছুঁই ছুঁই করছে।তার এই মাতাল করা ছোঁয়ায় আমার শরীরের শিরায় শিরায় এক অদ্ভুত শিহরণ জেগে উঠছে।
জিসানের হাতের প্রতিটি স্পর্শে আমার শরীরে বিদ্যুৎ খেলে গেলো।মনের মধ্যে সমুদ্রের ঠেউ এর মতো তোরপাড় শুরু হয়ে গেলো।
তার দিকে তাকাতেই আমার ঠোঁটদু'টো কেপে উঠলো।"
'আর জিসান আমার দিকে নেশা ভরা চোখে একদৃষ্টিতে এখনো তাকিয়ে আছে।'
--আমার আর সহ্য হচ্ছিলো না,মনে হলো,আমি মনে হয় আজ নিজেও জিসানের নেশায় পড়ে যাচ্ছি।
এখান থেকে না গেলে নিজ ইচ্ছায় বিষ খেয়ে ফেলবো।আর এই বিষের তীব্রতা অনেক তুখোড়। আমাকে মারবে না,তবে বাঁচতেও দেবে না।
তাই নিজেকে জিসান থেকে ছুটানোর বৃথা চেস্টা করতে লাগলাম।কাপা কাপা গলায় বলেই ফেললাম, আ.....মি নিচে যাবো।
___জিসান আমার কানের কাছে নিজের মুখটা এনে ফিসফিসিয়ে বললো,চিন্তা করিস না,আমি এতো তারাতারি আমার বিষ তোকে দেবো না।
কিন্তু যেদিন দেবো,তুই নিজ ইচ্ছাই পান করবি।আজতো তোকে নিয়ে শুধু জ্যোৎস্না স্নান করবো।
আমি অবাক দৃষ্টিতে জিসানের দিকে তাকালাম।আর উনার ঠোঁটে ফুটে উঠলো বাকা হাসি।
"ছাদেই জিসানের হাতের উপর মাথা রেখে চাঁদ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরেছি।খুব ক্লান্ত লাগছিলো।
জিসান আগে থেকেই একটা মাদুর বিছিয়ে রেখেছিলো আজ সারারাত ছাদেই কাটাবে বলে।অনেক চেস্টা করেও আমি যেতে পারিনি।"
'জিসান ঘুমান্ত তিশার দিকে তাকিয়ে আছে __
বার বার ফিরে আসি আমি তোকে পাওয়ার লোভে,কোনও এক জ্যোৎস্নাময় রাতে তুই আমার হবি এই আশ্বাস নিয়ে।
ঘুম আসে না আমার চোখে ঘোর লেগেছে মনে।তোর সুভাস ছড়িয়ে পরেছে এই যুবকের বনে।'
---জিসান তিশার কপালে একটা চুমো দিয়ে,খোলা আকাশের সেই চাঁদের দিকে তাকায়।
জিসানের মুখে এক রহস্যময় হাসি।
"আমার চাঁদটাও মেঘের আড়ালে লুকিয়ে ছিলো,আস্থে আস্থে আমি মেঘগুলো সরিয়ে চাঁদকে আমার নিজের করে ফেলবো।আমি বলছিলাম না এখন আর কোনও কিছু আমাকে আটকাতে পারবে না।
চার বছর আগে আমার জিদের কারনে সবাই তোর কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে ফেলছে,তখন আমি নিরুপায় ছিলাম, কিন্ত এখন না.....আমি আমার কোনও বোকামি কাজ দিয়ে তোকে হারাতে চাই না।
তোকে পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত ছিলো,সেই শর্তের মধ্যে একটা শর্ত আমি কাল ভেঙ্গে দেবো।যার শুরু আমি আজ সকাল থেকেই করে দিয়েছি।
----হুম আজ সকালে তিশাকে জিসানেই ধাক্কা দিয়েছে।
আমি তোকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম,আরও একটা কারন আছে যা কাল সকালে বুঝতে পারবি।কিন্তু একটু ক্যালকুলেশনে ভুল হয়ে গেছে জান।আমি জানতাম না পুকুরটা এতো গভীর হবে।সরি জান,জানলে এতোটা রিক্স নিতাম না।তিশার দিকে তাকিয়ে।'
---কিন্তু আমি যা করছি তোর জন্য,তোকে পাওয়ার জন্য,এখন তুই আমার হওয়া শর্তেও আমার না।তাই তোকে পুরো পাওয়ার জন্য যা যা করতে হবে,তা আগেও করেছি এখনও করবো।
তুই কি কখনো ভেবেছিস,আমি যাওয়ার পর থেকে কেনো ছেলে তোকে আজ পর্যন্ত কেনো প্রপোজ করেনি।
বিস্ময়কর হাসি দিয়ে জিসান____তোর আশেপাশে আমি কোনও ছেলেকে কখনো এলাউ করেনি।আমি দূরে থাকলেও আমার জিনিস কিভাবে সুরক্ষিত করতে হয় আমি জানি জান।
আর এখন তোকে কিভাবে আমার করতে হবে তাও জানি।
জিসানের মুখে এখনও সেই রহস্যময় হাসি।জিসান গুন গুন করে গান করছে।আর ভাবছে এখন শুধু সকাল হবার পালা_______
চলবে………
[নেক্সট পার্টের সময় হলে দিয়ে দেবো।ওয়েট করুন।ধন্যবাদ]
No comments