ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 ---------(season 2) part_7🍁
"পুরো বাড়ী নিস্তব্ধ, বিয়ে বাড়ী শোক বাড়ীর মতো মনে হচ্ছে। ড্রয়িং রুমে ভিড় জমিয়েছে তিশা ও জিসানের বাবা মা সহ সবাই।তিশা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।ভয়ে না,তবে লজ্জায়।"
----বাড়ীর পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে কোন আদালত ঘটন করা হয়েছে, যেখানের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে অপরাধি তিশা।
আর বাড়ীর মেহমানদের এক এক প্রশ্নে তিশার চোখ দিয়ে নিরবে পানি পড়ছে।
"কিন্তু তিশা কিছুই বলতে পাড়ছে না,কি বা বলবে,যেখানে নিজের বাবা মা আর সব বড়দের সামনে তাকে কাল রাতের কথা জিঙ্গেস করছে সবাই।"
__হুম কাল রাত!কাল পুরো রাত জিসানের সাথেই ছিলো তিশা।হয়তো সবাই যা মনে করছে তেমন কিছুই না তবু কেউ বিশ্বাস করতে রাজি না।তিশার কথার কোনও দামই দিলো না কেউ।
"কাল রাতে তিশা ও জিসান ছাদেই ছিলো।তিশা ঘুমিয়ে পড়লেও জিসান ঘুমায়নি। সারা রাতই জেগে কাটিয়ে দিলো।
ভোর রাতে জিসান তিশাকে কোলে করে ওর রুমে রেখে আসলো।আর এসবই স্বচক্ষে দেখেছে একজন, সে হলো মিসেস সেলিনা(আশার মা)।তাই সকাল হতে না হতেই তার আহাজারি শুনে সবাই ড্রয়িংরুম এ হাজির হলো।"
---জিসানকে প্রথম দেখায় তারও ভালো লেগেছিলো।একতো ছেলে হ্যান্ডসাম, তার উপর রিচ।এতো সোনায় সোহাগা ………।
তার উপর নিজের মেয়ের মতিগতি দেখে বুঝতে পেরেছিলো।আশা জিসানকে পছন্দ করে।কিন্তু জিসানের তিশার সাথে এতো মেলামেশা একদমই চোখে সহ্য হচ্ছিলো না।
"-মিসেস সেলিনা ছলে বলে কৌশলে অনেক ভাবে জিসানের মাকে আশা আর জিসানের রিলেশনের কথা বলতে চেয়েও বলতে পারেনি।তার উপর কালকের ঘটনা।
তিশাকে বাঁচাবার জন্য জিসানের এমন ছটফটানিতে তার খুব বিরক্ত লাগলো।কিন্ত তিশা নিশ্বাস নিতে পারছিলো না বলে জিসান নিজেই তিশার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে নিশ্বাস দেওয়ার ঘটনায় উনি যেনো তেলে বেগুনে জ্বলো উঠলেন আরো।"
__ওখানে ওর বাবা মা,ভাই,বন্ধুবী সবাই ছিলো,তাদের থেকে বেশি এই ছেলের এতো কিসের দরদ।তা বুঝে উঠতে পারছে না মিসেস সেলিনা।এখন তিশার পানিতে পড়ার ঘটনাও তার ঢং মনে হচ্ছে।
"মিসেস সেলিনা রুপকের মাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,আপা তোকে বলছিলাম না, এই মেয়ের চালচলন আমার একদম ঠিক মনে হচ্ছে না,তুইতো তখন আমার কথা কানেই নিলি না।এখন দেখ।"
__আগে যদি জানতাম,তোমাদের অনুষ্ঠানে এধরনের মেয়ে আসবে, তাহলে আমার মেয়েকে নিয়ে কখনো আসতামই না আমি।
"এসব কি বলছেন আপনে,কারো সম্পর্কে না জেনে কিছু বলা একদম ঠিক না।"(জিসানের মা)
---দেখুন আপা,আমি না যেনে কিছুই বলি না।এই মেয়েকে আমি নিজে বহুবার আপনার ছেলের সাথে ইটিসপিটিস করতে দেখেছি।আপনেই বলুন বড় ভাইয়ের বন্ধুর সাথে কিসের এতো মেলামেশা।
'তার উপর একটা যুবক ছেলে আর একটা যুবতী মেয়ে সারারাত বাহিরে কাটিয়ে আসবে।আর এসে বলবে আমরা তো শুধু চন্দ্রবিলাস করতে গিয়েছি আর কিছু না।এসব কথা কি বিশ্বাসের যোগ্য বলুন।কি সম্পর্ক এদের।দেখেতো ভাই বোনের সম্পর্ক মনে হচ্ছে না,তাহলে!!!
---মিসেস সেলিনার কথা গুলো এতোক্ষন তিশার বাবা মা চুপ করে শুনছিলো, কিছু বলেনি।কিন্তু আর চুপ থাকতে পাড়লো না।উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি দরজার সামনে জিসানের কথায় থেমে গেলো।
"জিসান তিশাকে রুমে রেখেই ফ্রেস হয়ে রায়হান ও রুপককে নিয়ে বাহিরে গিয়েছিলো।কালকের পর সবাই চলে যাবে।এখানে আসার পর গ্রামটা দেখা হয়নি জিসানের।তাই ওদের নিয়ে গ্রাম দেখার জন্য সকাল সকালই বের হয়ে গেলো।কিন্তু নিশির ফোনে বাড়ীর দিকে রওনা দিলো আবার।"
__নিশি জিসানকে ফোন দিয়ে ফোনটা ওন করে রেখে দিলো।আর ফোনের ওপর পাশ থেকে জিসান এতোক্ষন কি কি হলো সব শুনতে পাচ্ছিলো।
||
||
"জিসান ও রায়হান দরজায় দাঁড়িয়ে আছে।ভাইকে দেখে তিশা দৌঁড়ে জড়িয়ে ধরলো।এতোক্ষনের চাপা কান্নাটা এখন আর আটকে রাখতে পারলো না।কান্না করতে করতে হিচকি উঠে গেলো তিশার।"
___রায়হান বোনের মাথায় হাত রেখে সান্তনা দিতে লাগলো।রাগে রায়হানের চোখমুখ লাল হয়ে গেলো।কিন্তু জিসান! জিসান ভাবনাহিন।
'জিসান ডাইনিং টেবিলের সামনের বেসিনে গিয়ে মুখটাতে পানির ঝাপটা দিতে লাগলো।কালরাত না ঘুমানোর কারনে,মাথাটা এখন ম্যাথা করছে।জিসান মনে মনে ভাবছে,তার ঘুমানো দরকার।মিনিমাম ২ ঘন্টা।"
---তিশার ওড়নাটা দিয়ে মুখটা মুছতে লাগলো।এটা দেখে তিশা সহ উপস্থিত সবাই হা হয়ে তাকিয়ে থাকলো।
'আর মিসেস সেলিনা,আবারও জরে জরে চেচামেচি করতে লাগলো,দেখলেন দুলাভাই(রুপকের বাবা)।কতোটা বেহায়া এ ছেলে।বড় ছোট কিছু মানে না।'
---মুখ মুছতে মুছতে জিসান বলে উঠলো,কেনো আন্টি এখানে বেহায়ার কি দেখলেন।আমি তো জাস্ট মুখটাই মুছলাম।কিস তো করেনি।নাকি জড়িয়ে ধরেছি।
"জিসান".......(জিসানের বাবা)।
"সরি বাবা".......।শুরু কিন্তু উনিই করছে।
'আর তাওহিদ মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।এর পর এখানে কি হবে তা ওর ভালো করে জানা আছে।ভাইয়ের রগে রগে চেনে ও।তাই নিরব দর্শক হিসেবে বসে আছে নেক্সট সিন দেখার জন্য।'
---জিসানের বাবা উঠে চলে যাওয়ার সময় মিসেস সেলিনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,আপনার যা জানার আমার ছেলের থেকে যেনে নিন।ও আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেবে আসা করি।
"তার পিছে পিছে জিসানের মা,ও তিশার বাবা মা ও চলে গেলেন।মিসেস সেলিনা সহ ড্রয়িংরুম এ উপস্থিত সবাই খুব অবাক হলো।তারা ভাবছে এ কেমন পরিবার।তাদের ছেলে মেয়ে এমন একটা কাজ করলো অথচ শাসন করা তো দূরে থাক কিছুই বললো না।
---আর তারাই বা কি বলবে,এতোদিন যেটা কাউকে জানতে দেয়া হয়নি,এখন সবাই যেনে যাবে।কিন্তু ভাবার বিষয়,জিসান কিভাবে এটা তুলে ধরবে,কারন জিসানের স্বভাব সম্পর্কে ওর ফ্যামিলির ধারনা আছে,বরং এখানে তারা উপস্থিত থাকলে তাদেরই লজ্জা পেতে হবে।
কারন তাদের ছেলে যে____তিশার সময় অনেকটা বেহায়া হয়ে যায়।তাই যে যার যার কাজে চলে গেলো।তাদের জানার কোনও ইচ্ছা নেই তাদের ছেলে মেয়ে রাতভর কি করেছে।
"-এদিক দিয়ে জিসান তিশাকে...কিরে এতো চোখের পানি কোথায় পাস বলতো,তোকে তো মরুভূমিতে ছেড়ে দিলে সেখানে ছোটখাটো একটা সমুদ্র বানিয়ে ফেলতে পারবি।"
---জিসান, জাস্ট শেট আপ।দেখতে পাসনা ওর অবস্থা।(রায়হান)
'আমি কি দেখবো,তুই দেখ ও কিভাবে গঙ্গা, যমুনা ছাড়ছে।মনে হয় জামাই মারা গিয়েছে।আরে আমি মারা গেলেও ও এতো কান্না করবে না।
যতোটা এখন কাঁদছে।
---এই ছেলে এই......।তুমি মারা গেলে ও কেনো কাঁদবে, কি সম্পর্ক তোমাদের।এমন ভনিতা না করে তারাতারি বলো।
বন্ধুর বোনের সাথে এমন অবাধ্য চলাফেরা করতে লজ্জা করে না।তোমার বোনের সাথে রায়হান যদি এমন করতো তাহলে....।(মিসেস সেলিনা)
"এবার জিসান একটু রেগে গেলো।তিশার হাতটা ধরে মিসেস সেলিনার সামনে এসে দাঁড় করালো,কি বললেন আপনে রায়হান কেনো আমার বোনের সাথে এমন করবে।আর আমারি বা কেনো লজ্জা পাওয়া দরকার বলে মনে করছেন।
ও আমার বউ, আর আমার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে আমি কি করবো না করবো,এখন কি আপনাকে ও বলতে হবে।নাকি লাইভ দেখাতে হবে।
তিশার কোমড়টা আকড়ে ধরে নিজের সাথে চেপে ধরে কথাটা বললো জিসান।আর তিশা সেতো এখনো চুপ।তিশা খুব ভালো করেই বুঝে ফেলেছে,আজ আর জিসানকে সত্য বলতে কেউ আটকাতে পারবে না।"
---জিসানের মুখে এ কথা শুনে মিসেস সেলিনা, রুপকের বাবা-মা সহ সবাই অবাক।কি বলছে এসব।রুপকের বাবা-মা রায়হানের দিকে তাকায়,রায়হান চোখের ইশারায় বুঝায়,কথাটা সত্য।
'কি যা তা বলছো,নিজের পাপ লুকাবার জন্য এখন বিয়ের ঢোল বাজাচ্ছো।তোমার সাথে ওর আবার কবে বিয়ে হলো,তুমিতো আসলেই ২দিন আগে,তাহলে বিয়ে কখন হলো।'
---রায়হান গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে বললো,চার বছর আগে।মানে জিসান যেদিন প্যারিস যাবে,সেদিনই ওদের বিয়ে হয়।সম্পর্কে এখন ওরা হ্যাসবেন্ড ওয়াইফ।কি বুঝলেন আন্টি।আর কোনও প্রশ্ন আছে আপনার।
"মিসেস সেলিনা সহ সবার মুখ এখন বন্ধ হয়ে গেলো।এখন বুঝতে পারলো সবাই, কেনো জিসান ও তিশার পরিবার ওদেরকে কিছু বললো না।"
---তিশার চাচা রায়হানের কাছে এসে,তাহলে এ কথা আমাদের কেনো বলিস নি।আমরা কি এতোটাই পর তোদের।
" না চাচা,আসলে তখন পরিস্থিতিই এমন ছিলো।আর তিশার শর্ত ছিলো এই বিয়ের কথা আপাততো কাউকে না বলতে।
তিশা তখন ছোট ছিলো,আর আমরাও ভেবে দেখলাম এটাই ঠিক।তাই কাউকে কিছুই বলেনি।আমরা চেয়েছিলাম জিসান আসলে একেবারে ধুমধাম আয়োজন করে তোমাদের সবার আশির্বাদে আবার ওদের বিয়ে দেবো।তাই.....।
আর কিছুই না।আজও বলতে চাইনি,কিন্ত আজও পরিস্থিতি এমন হলো যে না বলে উপায় নেই।বিনা কারনে আমার বোনের সম্পর্কে আর কোনও আজেবাজে কথা আমি মোটেও টলেরেট করবো না।এর পর কিছু হলে আমাকে দোষ দিতে পারবেন না চাচা।রায়হান পানিটা খেয়ে চলে গেলো।"
||
||
"জিসানকে তিশার সব কাজিনরা গিড়ে ধরেছে।আরে জিজু।আপনে এতোদিন কই ছিলেন।আগে কেনো বললেন না।আপনে আমাদের জিজু হন।"
---কেনো বললে কি হতো,তিশার দিকে আর চোখে তাকিয়ে,ঠোঁটের কিনারায় বাকা হাসি নিয়ে।
' আবার জিগায়,এতোদিন জামাই আদর থেকে বঞ্চিত হতে হতো না আপনার।আর এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমও করতে হতো না নিজের বউয়ের সাথে,আমরাই সুযোগ করে দিতাম।'
"তিশার কাজিনদের কথা শুনে জিসান হেসে উঠলো।কিন্তু তিশা!তিশার মাথাটা গরম হয়ে যাচ্ছে।এতোক্ষন মিসেস সেলিনার কথায়ও এতো মেঝাজ গরম হয়নি,যতোটা জিসানের ঐ বাকা হাসির পেছনে কারনটার জন্য হচ্ছে।
এতোক্ষন ধরে এতো কিছু সহ্য করে কি লাভ হলো।সত্যটা বলবে না বলেইতো চুপ ছিলাম।কিন্তু এই জিসান এসে সব আশা আমার ভেনিস করে ফেললো।"
---জিসান থেকে বাঁচা এখন সহয হবে না।আগে উনার আমার রিলেশনের কথা কেউ জানতো বলে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতো।কিন্ত এখনতো মনে হয় গ্রিনকার্ড পেয়ে গিয়েছে। সব বেহায়াপনার লিমিট ক্রশ করে দেবে।আর ভুগতে হবে আমাকে উনার অত্যাচারে।আল্লাহ বাঁচাও আমায়।কেনো এই লোকটাকে আমার গলায় ঝুলিয়ে দিলা।
'জিসান ভালো করেই বুঝতে পারছে তিশা মনে মনে কি ভাবছে,তিশার কাজিনদের উদ্দেশ্য করে বলে,
সমস্যা নেই আমার কিউটি শালীরা।তখন দিতে পারনি তো কি হয়েছে এখন দিবে।'
---জিসানের কথায় তিশার কাজিনরা বিস্ময় একটা হাসি দিলো,আর তিশা আবাক হলো।
"শোনও এখন তোমরা আমার একটা উপকার করো,আমি ঘুমাবো।মিনিমাম ২ ঘন্টা,তোমরা জাস্ট খেয়াল রেখো,এই দু'ঘন্টায় আমাকে যাতে কেউ ডিস্টার্ব না করে ওকে।তাহলে আমি প্রমেজ করছি কাল তোমাদের আইস্ক্রিম পার্টি দেবো।
সবাই একাধারে চিল্লিয়ে উঠলো।ইয়া হুহুহু......বলে।বেস্ট জিজু আমাদের।"
---জিসান ওদের সবার সামনে থেকে তিশার হাতটা ধরে তিশার কাজিনদের চোখ টিপ মেরে সিঁড়ি দিয়ে উপরে চলে গেলো।সবাই ওওওওও করে পিনছ মাড়লো।
আর এদিক দিয়ে তিশা জিসানের কাছ থেকে নিজের হাতটা ছুটাতে ব্যস্ত।
'আরেরেরে আমাকে এমন আটার বস্তার মতো কেনো টানছেন।কেউ দেখলে কি মনে করবে।'
__কেউ কিছুই ভাববে না,সবার মুখে সুপার গ্লু মেরে দেয়া হয়েছে।আর আমার বউকে আমি যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে যাবো কার বাপের কি যায়।আর কি বললি তুই।
"জিসান তিশাকে রুমের ভেতর এনে দরজাটা লক করে দিলো।পেছনে গুড়ে সিরিয়াসলি! তুই কি আটার বস্তা। আয়তো দেখি,এটা বলেই তিশাকে কোলে তুলে নিলো।"
'আআআআ করছেন কি, নামান আমাকে।'
কেনো?একটা ভ্রু উঁচু করে এমন ভাবে জিঙ্গেস করলো,মনে হয় কিছু বুঝে না জিসান।নিরীহ প্রাণী সে।
---কেনো মানে কি,নামান আমাকে,এভাবে কোলে তুলার কারন কি।
'দেখতে হবে না আমি আমার বউটার ভার সামলাতে পারিনি।তাই চেক করছি।'
মানে কি?আমি কিন্তু একদমই মোটা না।
---তাইতো দেখছি,না খেয়ে,না খেয়ে যে ফিগার বানিয়েছিস, উফ!এতে তো আমি আরো পাগল হয়ে যাবো।জিসান তিশাকে এক চোখ টিপ মেরে।
-----জিসানের এমন পিনছ মারা কথায় তিশার গা জ্বলে যাচ্ছে।তিশা জিসানের কোলেই ছটফটাতে লাগলো নামার জন্য।তিশার এসব দেখে এবার জিসান রেগে গেলো।
'আর একবার যদি এমন ব্যাঙ এর মতো লাফালাফি করবি,তাহলে সোজা বারিন্দা দিয়ে নিচে ফেলে দেবো।তখন কিন্তু হাত পা ভেঙ্গে বিছানায় পরে থাকতে হবে,আমার অবশ্য সমস্যা নেই।আমি তখন কোলে করে তকে সব জায়গায় নিয়ে যাবো।কি বলিস ফেলবো।'
"জিসানের কথা শুনে তিশা ভয়ে জিসানের গলাটা জরিয়ে ধরে মাথা নেড়ে না বললো।"
---জিসান তিশাকে বিছানায় বসিয়ে দিতে দিতে বললো,আমি একটু কনফিউজড এ আছি।জানিস!
'তিশা ভ্রুটা কুঁচকিয়ে, বিশাল এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন আনলো মুখে।"
---জিসান তিশার একদম মুখের সামনে এসে জিঙ্গেস করলো,তুই কি আমার ভার নিতে পারবি।আমি খুব চিন্তিতো এটা নিয়ে।জিসান তিশার দিকে একবার ভালো করে তাকিয়ে,তিশার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।তোকে বেশি করে খেয়েদেয়ে আরো একটি গোলুমলু করে তুলবো,তখন হয়তো সমস্যা হবে না, কি বলিস।
জিসান তিশার দিকে তাকিয়ে দেখলো,তিশার মুখে এখনো সেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন।
"জিসান দীর্ঘ একটা শ্বাস ছেড়ে বললো,তোকে বুঝানো আর কলা গাছে দড়ি দিয়ে মরা একই কথা।বাদ দে"
---শোন আমি ঘুমাবো,আমার মাথাটা টিপতে থাক।আর একটা কথা (দাঁতেদাঁত চেপে)খবরদার এখান থেকে এক পাও নড়বি না। আর উঠে তোকে না পেলে,খুন করে ফেলবো আমি।বুঝলি।
'জিসানের এধরনের কথায়।তিশার চোখ বড় বড় হয়ে যায়।'
"জিসান তিশার কলে মাথাটা রেখে কোমড়টা জরিয়ে পেটের মধ্যে একটা কিস করে______এতে তিশা কিছুটা নড়েচড়ে আসলে,জিসান আরো একটু টাইট করে ধরে।
তিশা মনে মনে ভাবছে,শুরু হয়ে....গিয়েছে।"
----আর এদিক দিয়ে তিশা জিসানের মাথা টিপতে টিপতে চার বছর আগের ভাবনায় ডুব দিলো।
No comments