Update Story
📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাত_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৬    📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাতো_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৫    

ভাইয়ের_বন্ধ_যখন_বর😍 ---------(season 2) part_11🍁



"জিসান পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু ইট হাতে নিয়ে একটা একটা করে ঢিল মারছে পুকুরে, আর কিছু হয়তো চিন্তা করছে।"
তাওহিদ পাশে এসে দাঁড়ালো। কিন্তু জিসানের কোন রিয়েকশন নেই।ভাইয়ের এমন ভাবনাহীন মনোভাব তাওহিদ এর ভালো মনে হলো না।"

---যে খেলায় মেতে উঠেছিস,কি মনে করছিস,জিত্তে পারবি।(আসলে তাওহিদ খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে জিসান এসব ইচ্ছা করেই করেছে।)

"হারার জন্য আমি কিছু করিনা ভাইয়া।"

---কিন্তু কি দরকার ছিলো।ওকে একটু সময় দিতি।আর কয়েটা বছর কি তুই ওয়েট করতে পারলি না।
বাধ্য করে সম্পর্ক গড়েছিস, কিন্তু ভালোবাসা জোড় করে হয়না জিসান।

"তোমার কি মনে হয় আমি জোড় করেছি ওকে, কখনো না।ওকে আমি কখনো আমাকে ভালোবাসতে জোড় করবো না।কিন্তু আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পারমিশন ও দেবো না।ও চাউক বা না চাউক আমার সাথেই থাকতে হবে।"

---কিন্তু এভাবে!আর ওতো তোকে ছাড়ার কথা বলেনি,তাহলে এমন কেনো করছিস।আর তুই যে শর্ত সব ভেঙ্গে ফেলছিস তার পরিণাম কি হবে।তিশা যদি এসব মেনে না নেয়।

"জিসান একটু বাকা হাসে.......।তাওহিদ জিসানের এই হাসির রহস্য বুঝতে পারেনা।তুই অনেক চেন্জ হয়ে গিয়েছিস জিসান।তোর সব কিছু কেমন রহস্যময়ী লাগে আমার কাছে।"

---রিলেক্স ভাই,তোমাকে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।শুধু এতোটুকু মনে রেখো আমার অপেক্ষার পাল্লা শেষ।তাই আমি আর ওয়েট করতে পারবো না।
ওকে এখন আমার কাছে ধরা দিতে হবে।সেটা যে ভাবেই হোক।আর আমি যা করছি ভেবেই করছি।একদিন বুঝতে পারবে।

||
||

"আজ রুপকের বিয়ে, তাই সবাই যথা সময়ে সেন্টারে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠতে লাগলো।তিশাও নিশি,নিলু ও তার কাজিনরা সে গাড়ীতে বসেছে, সে গাড়ীর দিকে পা বাড়ালো।
কিন্তু ব্যাচারী আর সামনে এগোতে পারলো না।কেউ পেছন থেকে ওর হাতটা ধরে ফেললো।তিশার আর বুঝতে বাকি রইলো না কে সে।"

'-জিসান তিশার হাতটা ধরে এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, যে কিছুই হয়নি।তিশার ওড়না দিয়ে হাতটা ঢাকা বলে কেউ কিছু দেখতেও পারে নি।'

"এ সময় নিশি ইশারা দিলো গাড়ীতে উঠতে,তিশাও চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিলো----তোর হিটলার ভাই ছাড়লে না আসবো।"

---নিশি একটা বিশ্বজয় হাসি দিলো।মানে ও বুঝতে পারলো,শুরু হয়ে গেছে আমার ভাইয়ের রোমান্টিক অত্যাচার।বেচারী তিশা!

"আর তিশা রেগেমেগে জিসানের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আছে।"

--সেন্টারে পৌছে তিশা গাড়ী থেকে বের হতে নিলে দেখে, দরজা লক করা।
দরজা খুলুন।জিসানের দিকে তাকিয়ে।

"জিসান তিশার দিকে তাকিয়ে বললো,খুলবো না কি করবি।"

---খুলবেন না, মানে কি?এখানে বসে থেকে কি করবো।

'জিসান তিশার দিকে তাকিয়ে ---রোমাঞ্চ করবো।'

---ক ককি যা তা বলছেন।তিশা একটা শুকনো ঢোক গিলে।

"হুম...।কেনো কোনও খারাপ কিছু বলেছি।বিয়ে হয়তো চার বছর আগে হয়ে গিয়েছে।কিন্তু প্রেমতো করতে পারিনি।আমার তো তোর সাথে প্রেম করার ইচ্ছা অনেকদিন থেকে।
তাহলে এখন যখন সুযোগ পেয়েছি,তাহলে একটু আকটু প্রেমতো করতেই পারি।তার সাথে(তিশার কানের কাছে এসে) একটু আকটু রোমান্স। কি বলিস।"

'তিশা জিসানের এসব কথা শুনে পারেনা কেঁদে দেয়।কাঁদাকাঁদা ফেস নিয়ে বলে,দরজা খুলুন প্লিজ।
আমি বাহিরে যাবো।সবাই হয়তো খুঁজছে আমাকে।'

---তিশাকে এভাবে দেখে জিসানের পেট ফেটে হাসি আসে তবু নিজেকে সামলিয়ে বলে,
"ওকে,তাহলে.. "কিস মি"।তিশার এক হাত ধরে টেনে সামনে এনে।"

                            ---জিসানের কথা শুনে তিশা কাশতে লাগলো।কাশতে কাশতে দম যায় যায় অবস্থা।জিসান পানির বোতলটা দিলে,ঢক ঢক করে একবোতল পানি খেয়ে ফেলে।মনে হয় এক সাগর পানি খেলেও আজ তিশার তৃষ্ণা নিবারন হবে না।

"এসি গাড়ীতে বসেও তিশা ঘেমে যাচ্ছে,কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গিয়েছে।
জিসান রুমাল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বললো,কি রে এতো হিট কোথা থেকে পাস।এতো ঠাণ্ডা আবহাওয়া ও তুই ঘামছিস।"

---তিশাকে চুপ থাকতে দেখে____নিজের ঠোঁট কামড়িয়ে ধরে বলে,আচ্ছা ঠিক আছে এখন কিস করতে হবে না,এটা আমি পরে নিয়ে নেবো।কিন্তু এখন আমার কিছু কথা কান খুলে শুনে রাখ।

"সেন্টারে একা একা কোথাও যাবি না,সব সময় নিশি বা নিলুর সাথে থাকবি।অথবা আন্টির সাথে।তোকে আমি একা কোথায়ও যেনো না দেখি,কি বললাম বুঝলি।"

'তিশা মনে মনে ভাবছে,এসব না মানলে,আমাকে এখান থেকে যেতেই দিবে না।আর উনার এখানে থাকা মানে মহা বিপদ।তার চেয়ে ভালো যা বলে শুনে নিই।তিশা মাথা নেড়ে হ্যা বললো।'

---গুড গার্ল,যা এখন।গেটটা খুলার সাথে সাথে তিশা তো দৌঁড়।তা দেখে জিসান হেসে দিলো।

||
||

"কিছুক্ষণ পর বিয়ের পর্ব শুরু হবে।কাজী এসে সব লিখালিখি করছে।এরি মাঝে জিসান খেয়াল করলো বিয়ের বাড়ীর বেশ কিছু ছেলেই তিশার পিছে গুড়গুড়  করছে, তা দেখে জিসানের মেঝাজ খারাপ হয়ে যায়।
এদের কি আর কারো নযরে পড়ে না,আমারটাকে নিয়ে কেনো এতো টানাটানি।আর এই মেয়েটা!
একটা থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিতে মন চাইছে,এতো সেজেগুজে আসার কি দরকার ছিলো।একবার এখান থেকে যেয়ে নি তার পর ওর ভিমরিতি আমি ছুটাবো।"

'তিশা সবার সাথে দেখা করে,এবার সুরভির কাছে এলো।'

---ও ভাবি তোমাকে যা লাগছে,আজ তো ভাইয়া কয়বার হার্ট এট্যাক করে আল্লাহই জানে।

'তাই নাকি,তোমাকেও অনেক মিস্টি লাগছে।আজ কতো জনকে ঘায়েল করলা।'

---কি যে বলো।সিংহ নিয়ে যদি গুড়ি, তাহলে কি কেউ কাছে আসার সাহস পাবে,তার গর্জনেই ভয়ে পালাবে।

"তা তোমার সিংহ টা কই।"

---একটু চোখবুলাও আসেপাসে,আমি তাকে না দেখতে পেলেও,তার চোখ দু'টো কিন্তু আমার দিকে চেয়ে আছে।

"সুরভি সত্যিই চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখতে পেলো,ডার্কব্লু কালারের ব্লেজার পড়া,সাথে ব্লাক সার্ট।চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা একটি ছেলে রুপকের ফ্রেন্ডসদের সাথে কথা বলছে আর আড়চোখ দিয়ে এদিকে তাকাচ্ছে।এটা আর কেউ না জিসান।"

---সত্যি বলেছো।আর দেখো তোমার ডেসিং বয়কে কিন্তু আজ একটু বেশি ডেসিং লাগছে।দেখো না আশেপাশে কুমারী মেয়েগুলো চোখদিয়ে গিলে খাচ্ছে কিভাবে।সাবধান! 

'তিশা তাকিয়ে দেখলো ঠিকই তো।এসব মেয়েগুলোর কি আর কোনও কাজ নেই।অন্যের হ্যাসবেন্ড এর দিকে তাকায়।লুচু কোথাকার।'

"তিশা মনে মনে কথাটা বলেই ঠোঁট কামড়ে ধরলো,একি বললাম আমি, হ্যাসবেন্ড!
তার মানে কি?আমিও কি এই সম্পর্ক টাকে মেনে নিচ্ছি এতো সহযে।"

---রুপক ও সুরভির বিয়ে হয়ে গেলো,সবাই খুশিতে একে ওপরকে মিস্টি খাওয়াতে লাগলো।জিসান খেয়াল করলো তিশা নেই।তিশাকে খুঁজতে লাগলো।

'এমন সময় একটি মহিলা এসে জিসানকে জিঙ্গেস করলো।আচ্ছা তুমি তো ছেলের বাড়ীর মেহমান তাই না।জিসান মাথা নেড়ে হা বললো।'

"তাহলেতো তুমি ছেলে বাড়ীর সকলকে চিনো।"

___সবাইকে না,কিন্তু অনেকেই চিনি।সমস্যা কি বলুনতো।আপনে কাউকে খুঁজছেন।

"একদম ঠিক ধরছো,দাঁড়াও।ঐ যে ঐ মেয়েটাকে দেখছো।বউয়ের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।গোলাপি রং এর লেহেঙ্গা পড়া।ওকে চিনো তুমি।তিশাকে দেখিয়ে।"

---হুম, চিনি আমি। আপনে ওকে কেনো খুঁজছেন। 

'আমার না ওর সব ডিটেলস দরকার।'

---জিসান কপাল কুঁচকে জিঙ্গেস করলো কেনো?

'কেনো আবার আমার ছেলের জন্য সমন্ধ পাঠাবো।মেয়েটাকে আমার ছেলের ভীষন পছন্দ হয়েছে।ও তো জিদ করে বসে আছে,বিয়ে করলে এই মেয়েকেই করবে।
আমি আসার সময় দেখেছিলাম তোমার গাড়ী থেকে নামতে,তাই ভাবলাম হয়তো তোমার বোনটোন হবে।'

---জিসানের রাগে মাথার চুলগুলো ছিঁড়ে ফেলতে মন চাইছে,আমার বউয়ের জন্য প্রস্তাব আসে,তা আবার আমার কাছেই।এদিনটাই শুধু দেখার বাকি ছিলো।

"জিসান নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে--দেখুন আন্টি,ও আমার বোন না,আমার ওয়াইফ। সো আপনার ছেলেকে বলুন অন্য কোথাও চান্স মারতে,আমার বউয়ের আশেপাশে ও জাতে না দেখি।
তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না বলে দিলাম।"

---ওমা কি বলছো,এতোটুকু মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।আর তোমার লজ্জা করেনা এতোটুকু একটা পিচ্ছি মেয়েকে বিয়ে করতে।এ কথা বলে মহিলাটি চলে গেলো।

"আর জিসান  অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,কারন কিছুক্ষণ আগে নিজেই এই পিচ্ছি মেয়েকে নিজের ছেলের জন্য নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলো।আর এখন!আশ্চর্য!

"জিসান তিশার দিকে যেতে নিলে দেখে,তিশা আবার নেই।উফ! এই মেয়েটা কি শান্তিমতো এক জায়গায় বসতে পারেনা।"

তিশার মা ও জিসানের মা একসাথে বসে বাকি মহিলাদের সাথে গল্প করছিলো।জিসান এসে,

---মা, আন্টি,তিশা কে দেখেছো।

"জিসান বাবা,আন্টি ছাড়ো মা ডাকার অভ্যাস করো।"

---জিসান মাথাটা চুলকানো শুরু করলো,আসলে লজ্জা পেলো।আচ্ছা ঠিক আছে মা, আপনার পাগল মেয়েটা কে দেখছেন।

"নাতো কেনো কি হয়েছে।"

---আমি ওকে বার বার বলে দিয়েছি।নিশি বা নিলুর সাথে থাকতে, অথবা আপনার সাথে।কিন্তু দেখুন 
ওতো কথাই শুনে না।কোথায়ও আছে খুঁজে পাচ্ছি না।

"আআ.. জিসান। তিশাকি ছোট বাচ্চা,যে মায়ের কোলে কোলে থাকবে।আছে হয়তো এখানে কোথাও এতো টেনশড নিও না।"

---টেনশন নিবো নাতো কি করবো মা,কিছুক্ষণ আগে ঐ পাগল মেয়েটার জন্য প্রস্তাব এসেছে,আমার কাছে।

"একথা শুনে দুজন মা-ই হেসে দিলো।"

---সিরিয়াসলি তোমরা হাসছো।

'তো কি করবো আমরা বল,অবশেষে নিজের বউয়ের ঘোটকালি করবি তুই,এটা বলে আবার হেসে দিলো।'

---জিসান এসব মানতে না পেরে চলে গেলো,আবার তিশাকে খুঁজতে। তিশা নিশি ও নিলুর সাথে সেলফি তুলতে ব্যস্ত তা দেখে জিসানও রিলেক্স হলো।

নতুন বউকে নিয়ে বাসায় পৌছাতে বেশ রাত হয়ে গেলো।কাল আবার বৌভাতের অনুষ্ঠান আছে বলে সবাই যার যার রুমে বিশ্রাম নিতে চলে গেলো।

||
||

"আজ বৌভাতের অনুষ্ঠান। সবাই রেডি হতে শুরু করেছে।কাল রাতে দেরি করে ঘুমানোর কারনে,ঘুম থেকে আজ উঠতেও দেরি হয়েছে সবার।সবাই যেখানে সাজতে ব্যস্ত,সেখানে ঘুমকাতুর তিশা ঘুমাতে ব্যস্ত।"

---জিসান সকাল থেকে নিজের বউকে খুঁজছে। জিসানের মনে হচ্ছে হারানোর একটা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া উচিৎ। আমার অর্ধেক সময়তো এই মেয়েকে খুঁজতেই চলে যায়।কোথায় গিয়ে যে লুকিয়ে থাকে আল্লাহই জানে।
নিলুকে দেখতে পেয়ে____এই যে শালী সাহেবা,আমার মহারানী কোথায়।আপনারা সব এখানে তাহলে ও কোথায়।

"নিলু জিসানের কথায় হেসে কুটিকুটি, ভাইজান আপনার মহারানি এখনো নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। ডাক দিতে গেলেই ঘোড়ার মতো লাথি মারে,তাই কেউ ভয়েও ডাকদিতে যায়নি।"

---তাই নাকি,আচ্ছা আমি দেখছি।জিসান রুমে গিয়ে দেখে সত্যি তিশা ঘুমিয়ে আছে,মুখটা হা করা।মুখ দিয়ে কিছুটা লালা পরছে।তা দেখে জিসান হেসে দিলো।এতোবড় মেয়ের নাকি এখনো লোল পড়ে।জিসান থুতনি ধরে মুখটা বন্ধ করে দিলো।
টিসু দিয়ে মুখটা মুছে দিলো।তিশার সাথে ঘেষে শুয়ে পড়লো।পায়ের উপর পা তুলে চিন্তা করতে লাগলো,কিভাবে জ্বালানো যায়।

"হঠাৎ চোখে পড়লো,সামনের ফুলদানিতে কিছু ময়ূর পাখনা রাখা আছে।তা দেখে জিসান শয়তানি হাসি হাসলো।জিসান ওখান থেকে একটা পাখনা নিয়ে তিশার গলায়, ঘাড়ে,কানে শুড়শুড়ি দিতে লাগলো।তিশা সহ্য করতে না পেরে পেছনে গুরে দেখে জিসান ওর সাথেই শুয়ে আছে একদম কাছে।"

---হায় জান,গুডমর্নিং। 

"আপনে এখানে কি করছেন।"

'উম,তাইতো,আমি এখানে কি করছি।ও মনে পরেছে গুড মর্নিং কিস নিতে এসেছি।'

---জিসানের কথা শুনে,তিশা লাফ দিয়ে উঠে যেতে নিলে,জিসান কোমড় জরিয়ে তিশাকে নিজের উপরে উঠিয়ে ফেলে।এতে তিশার চুলগুলো জিসানের মুখের দু'পাশে পরে।চুলগুলো সরালে আবার এসে পরে।

"দু'জনের প্রতিটি নিশ্বাস দুজনের মুখের উপর পড়ছে।মনে হচ্ছে একজন নিশ্বাস ছাড়ছে আরেক জন পরম স্বাদে তা গ্রহন করছে।আর তিশার চুলগুলো যেনো তাদের ঘন নিশ্বাস গুলো আড়াল করে রেখেছে পর্দার মতো।
জিসান ঘোড় লাগা চোখে চেয়ে আছে তিশার দিকে,আর আজ তিশাও জিসানের দিক থেকে চোখ যেনো সরাতেই পারছে না।এক অজানা ভালো লাগার অনুভূতি ফিল করছে তিশা।কিন্তু কেনো?"

---মন বলছে,তিশা তুইতো দেখি বেহায়া হয়ে যাচ্ছিস।কিন্তু চোখ দু'টো যে মানছে না।কোনও যাদু জানে কি।এমন কেনো লাগছে।তিশা নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করছে।

"তিশার এভাবে চেয়ে থাকা দেখে জিসান একটু বাকা হাসে,তিশার চুলগুলো কানের পিছনে গুঁজে দিয়ে ঘোর লাগা কন্ঠে বলে____জান এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকলে,নিজেকে কিন্তু আমি আর কন্ট্রোল করতে পারবো না।জিসানের কথায় তিশার ধ্যান ভাঙ্গে, ভয়ে তিশা জিসানের উপর থেকে উঠেই ওয়াস রুমের দিকে দৌঁড় দিলো।"

---জিসানও হেসে চলে যাওয়ার সময় আবার বেক করে ওয়াস রুমের দরজায় নক করে বললো____তাড়াতাড়ি নিচে আস,আমি কিন্তু এখনো নাস্তা করিনি।লেট হলে সেকেন্ড চ্যাপটারে চলে যাবো।সো হারি আপ।

'তিশা তখনো ওয়াসরুমের দরজার সামনে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো।জিসানের কথায় হেসে দিলো।মনে মনে বলে উঠলো হিটলার কোথাকার।'

                     ----রায়হান পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে সিগেরেট টানছে,আর কারো সাথে কথা বলছে।দেখে মনে হচ্ছে খুব সিরিয়াস। 

"নিশি দূর থেকে রায়হানকে দেখে সামনে আসলো।"

"এতোক্ষনে রায়হানের কথাও শেষ,তাই ফোনটা রেখে দিলো।'

---হ্যালো ভাইয়া কি করেন।

"রায়হান একবার নিশির দিকে তাকিয়ে,গানজা খাই, খাবি।"

---নিশির হাসি মুখটা মিনিটেই চুপছে গেলো।ফাজলামি করেন আপনে আমার সাথে।

"কেনো। তোর এমন মনে হলো কেনো।আর তুই কি আমার বেয়াইন লাগিস, যে তোর সাথে ফাইজলামি করবো।"

---তাহলে এসব কি,আমি তো দেখলাম আপনে কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছেন,আর সিগেরেট টেনে বায়ু দূষিত করছেন।আর আমাদের মরণ ব্যাধি রোগের ব্যবস্থা করছেন।

"আচ্ছা তুই আবার দেখতেও পারিস।আমিতো ভাবলাম তুই আবার দিনকানা হয়ে যাসনি তো।আন্টিকে বলতে হবে তোকে ছোট ছোট মাছ যেনো রেঁধে খাওয়ায়।শুনেছি এতে চোখের জ্যোতি বারে।"

"মানে কি।"

----সব কিছু দেখেও এমন প্রশ্ন করা মানে,এক হয়তো তুই কানা,না হলে গর্দভ। এখন তুই চিন্তা করে বল তুই কি।
রায়হান সিগেরেটা ফেলে দিয়ে ওখান থেকো চলে গেলো।নিশি রায়হানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।ফাজিল ব্যাটা,ভালো কথা তো মনে হয় শিখেই নেই।

                --- নিলু ছাদে বসে একটা নম্বরে বার বার কল করে যাচ্ছে।অথচ ফোনের অপর পাশ থেকে একটা মেয়ে বার বার বলো উঠছে ____আপনে যাকে কল করেছেন,তাকে এই মুহূর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়।
মেয়েটার কন্ঠ ভারী মিস্টি হলেও,নিলুর কাছে বিষাদময় লাগছে।
হতাশ হয়ে ফোনটা কেটে দিলো।ফোনের স্কিনে তার ছবিটা দেখে অজান্তেই একফোটা চোখের জল বেয়ে পড়লো।

"পৃথিবীতে সবথেকে কষ্টকর জিনিষ হলো,একতরফা ভালোবাসা গুলো।ভালোবাসার মানুষটি তার কোনও দিন হবে না যেনেও,তাকে ভালোবাসা।
এতে থাকে না কোনও অধিকার,থাকেনা কোনও চায়িদা।তবু নিজের মতো তাকে ভালোবেসে যায়।"

---এই একতরফা ভালোবাসা গুলোতে অদ্ভুত একটা শক্তি থাকে।

"সে ভালোবাসুক বা নাই বাসুক।কাছে আসুক বা নাই আসুক।তাতে কি।আমিতো ভালোবাসি।তার এই পরিপূর্ণ জীবনে আমি না হয় অপূর্ণ রয়ে গেলাম।"

চলবে......।


No comments