Update Story
📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাত_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৬    📢 গল্পঃসিনিয়র_খালাতো_বোন_যখন_বউ পর্বঃ০৫    

ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 -------(season 2) [🖤] Part_24🍁




"সুখ নামের যে পাখিটি ধরতে আমরা সবাই ছুটি,সেই পাখিকে ধরা কি এতোই সহয।সুখের জন্য বাধা ঘড়টিতে এখনো কি আলো আসে,নাকি এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন।
কেনো সবাই ছুটি এমন জিনিসের পিছে,যা সবার কপালে জোটে না।কেনো সুখ পাখিটিকে নিজের ঘরে আবদ্ধ করতে পারেনা কেউ।কেনো ভালোবাসা নামক বস্তুটির পিছে সুখ খুঁজে সবাই।কেনো? কেনো?"

---তিশা ছাদে দাঁড়িয়ে খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,মনে আজ হাজারো প্রশ্ন উকি দিচ্ছে।আকাশে আজ চাঁদ তারা কিছু নেই,তবে আকাশ আজ ঘন কালো মেঘে ডাকা।ঠিক তিশার মনের মতো।
চারদিকে শনশন করে বাতাস বইছে।সে বাতাসে তিশার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে তিশার জীবনটার মতো।তিশা ভাবনাহিন ভাবে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।হঠাৎ চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো।মনের কস্টগুলো আর ভেতরে আটকে রাখতে পারলো না।কান্না করতে কারতে ছাদে বসে পড়লো।আকাশে বিজলি চমকিয়ে বৃষ্টি পড়তে লাগলো।বৃষ্টির পানির সাথে তিশার চোখের পানিও একসাথে মিশে গেলো।কাঁদতে কাঁদতে একসময় তিশা ছাদের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লো।কখন যে জ্ঞান হারালো নিজেও জানে না।

"রায়হান তিশাকে ঘরে খুঁজে না পেয়ে ছাদের দিকে এসে দেখে তিশা ফ্লোরে পরে আছে সেন্সলেস হয়ে।বৃষ্টির পানিতে অনেকক্ষণ ভিজার কারণে শরীর কেমন সাদাটে হয়ে গিয়েছে।তিশাকে ধরতে নিলে বুঝে, গায়ে ভীষন জ্বরও এসে পড়েছে।রায়হান তারাতারি করে বোনকে পাঁজাকোলে নিয়ে ঘরে ডুকেই রেনু বেগমকে ডাকতে লাগলো।
রেনু দৌঁড়ে তিশার রুমে ডুকে অবাক হয়ে যায়।রায়হান তিশার হাত গুলো ঢলতে ঢলতে মা ওকে তারাতারি চেন্জ করে দেও।বৃষ্টিতে ভিজার কারণে জ্বর এসে পরেছে।আমি দেখি কোথাও ডাক্তার পাইনি।"

---ঘড়িতে ১০টা ছুঁই ছুঁই।জিসান আধো শুয়ে লেপটপে কাজ করছিলো।হঠাৎ তাওহিদ তড়িৎ গতিতে রুমে প্রবেশ করে।
জিসান অবাক দৃষ্টিতে কি হয়েছে ভাই,সব ঠিক আছেতো। তোর ফোন কোথায়।আছে হয়তো কোথাও কেনো।
'রায়হান কতবার ফোন দিয়েছে জানিস।জিসান ফোনটা খুঁজে চেক করে দেখে ৩০+ মিস কল।জিসান ফোন দিতে নিলে,তাওহিদ থামিয়ে বলে।কথা বলার সময় নেই।এখনি যেতে হবে।জিসান ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কোথায়?'
কোথায় আবার রায়হানদের বাসায়,তিশার নাকি অনেক জ্বর।জ্বরে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। বাহিরে যে ঝড় হচ্ছে কোথাও কোনও ডাক্তার পাওয়া যাবে না।তবে আমি একজন লেডি ডাক্তার এর সাথে কথা বলে নিয়েছি।পথে উনাকে পিক করে নেবো।তাওহিদ বের হতে নিয়েও থেমে যায় কি হলো জিসান চল।এখনকার ফিভার একদম ভালো না।পরে আবার দেরি না হয়ে যায়।

"এতোক্ষন জিসান মনে হয়,কোন ধ্যানের মধ্যে ছিলো।তাওহিদ এর কথায় চমকিয়ে যায়।বাহিরে প্রচুর বৃষ্টি সাথে ঝড়ও।বৃষ্টি ভিজা এই রাতে ফুল স্প্রিড বাড়িয়ে গাড়ী চলছে তিশাদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে।গাড়ীটি শুধু একবার থেমেছে ডাক্তার ফারজানা কে নিতে।"

---ড্রয়িংরুমে জিসান, তাওহিদ আর রায়হান বসে আছে।অংকেল নেই রায়হান।
না ভাইয়া,বাবা দাদাীকে দেখতে গ্রামে গিয়েছে।
--ওওও!

"আর জিসান রাগি চোখে রায়হানের দিকে তাকিয়ে,বাড়ীতে এতোগুলো মানুষ থাকতে ওর এমন অবস্থা হলো কি করে রায়হান।
রায়হান করুন চোখে__আজকের ঘটনায় এমনেই খুব রেগে ছিলাম।কোনও খোঁজ ও নিনাই সারাদিন ঠিক মতো।আর আজ বাসাও লেট করে এসেছিলাম।তিশার রুমের দরজাটা খোলা দেখে চেক করে দেখি ও রুমে নেই।বাসায় তিশাকে না পেয়ে, খুঁজতে গিয়ে ওকে ছাদে পেলাম।অনেকক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজার কারণে গায়ে জ্বর এসে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে।আমারই দোষ ছিলো এতোটা কঠোর হওয়া ঠিক হয়নি।
'জিসানও চুপ হয়ে বসে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না।তাওহিদ হঠাৎ বলে উঠলো,সমস্যা কি বলতো।দেখ তোদের চেয়ারা বলে দিচ্ছে কিছু একটা হয়েছে।আমাকে সব খুলে বল।প্লিজ।
---এর পর জিসান সব বলে ভাইকে।

"আর ইউ মেড জিসান।তুই এমন আচরণ করলি কি করে মেয়েটার সাথে।ওকে কি তুই নতুন চিনিস।ছোট থেকে  দেখে আসছিস।প্রত্যেকটা সম্পর্ককে যথেস্ট রিসপেক্ট করে।এমনকি তুই যখন বিদেশ ছিলি তখনো ও তোর কথা চিন্তা করে অন্য কোনও রিলেশনে নিজেকে জড়ায় নি।আর আমিতো শুনেছি তুই নাকি ওর পিছে জাসুস লাগিয়ে রেখেছিলি।তাহলে ও এসব করলে কি তোর কানে একবারও যেতো না।নিজের জিদটা সবসময় এই বাচ্চা মেয়েটার উপর চাপিয়ে দিয়েছিস।একবার কি জানতে চেয়েছিস ও কি চায়।"
---জিসান আজ চুপ,ভাইয়ের কোনও কথার আজ জবাব নেই।সত্যিই তো,আমি কখনো জানতেই চাইনি তিশার থেকে, ও আমার সাথে আসলেই থাকতে চায় কিনা।ওর ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলো।

"ডাক্তার ফারজানাকে রুম থেকে বের হতে দেখে তিনজনেই দাঁড়িয়ে যায়।তাওহিদ কে উদ্দেশ্য করে বলে,স্যার ফিভারটা বেশি।মনে হয় অনেকক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজেছে।আর পেশেন্ট খুব দূর্বল মনে হয় সারাদিন পেটে কিছু যায়নি।
'একথা শুনে জিসান রায়হানের দিকে তাকালো,আর রায়হান বোনের প্রতি নিজের দায়িত্ব অবহেলার জন্য ভীষন অনুতপ্ত।'
আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।সারারাতও পেশেন্ট জাগবে না।কাল একবার হসপিটালে নিয়ে আসবেন।কিছু টেস্ট করে ফেলা ভালো।ওকে ডাক্তার এবং ধন্যবাদ এই সময় আসার জন্য।
"কি বলছেন স্যার,এটা তো আমার ডিউটি।আচ্ছা জিসান,আমি ডাক্তার কে পৌছে দিয়ে আসি।"

'ভাই তুমিও বাসায় চলে যাও।ভাবি আর তারিন একা।আমি এখানে সামলিয়ে নেবো।বাসায় এসে তোমার সাথে কথা হবে।'
তাওহিদ ও মাথা নেড়ে,ওকে।তাওহিদ চলে গেলো।

---রায়হান ও জিসান দাঁড়িয়ে আছে তিশার রুমে।তিশার মা মেয়ের মাথায় জল পট্টি দিতে ব্যস্ত। তিশাকে এই অবস্থায় দেখে এই দু'ব্যক্তির রুহ যেনো কেঁপে উঠছে।

'জিসান মনে আছে একবার তিশার ছোটবেলায় নিউমোনিয়া হয়েছিলো।'
---হুম,ওটা ভুলার মতো ছিলো না।ছোট্ট তিশার ছটফটানি দেখে তুইতো কেঁদেই দিয়েছিলি।(জিসান)
'তুইও কি কম করেছিস।পুরো হসপিটালকে মাথায় তুলে ফেলেছিলি।তোর অত্যাচারে রাত দিন ডাক্তার তিশার সেবা করতে লেগে পরেছিলো।আর যেদিন ডিসচার্জ হয়ে বাসায় আসছিলাম।(রায়হান) '
---হুম,পেছন থেকে ডাক্তারা বলে উঠল,আমাদের যাতে এই হসপিটালে কেউ দ্বিতীয় বার ডুকতে না দেয়।জিসান হালকা হেসে বললো।

"এর পরেই তো তোর জিদের কারণে আংকেল এতো বড় হসপিটাল খুলে ফেললো।সেদিনের পর থেকে তিশাকে কখনো এতো ঠান্ডা লাগতেই দেইনি।আগলে আগলে রেখেছি।আজ দেখ একটু চোখের আড়াল করায় বোনটি আমার কি অবস্থা করেছে নিজের।রায়হানের চোখ দুটো ছলছল করছে।আর একমিনিটও এখানে থাকা সম্ভব না ওর পক্ষে।তাই ও চলে গেলো।"

---তিশার হাতটি ধরে বসে আছে জিসান।জ্বর কিছুটা কমেছে।তবে ইনজেকশনের কারণে তিশা ঘুমিয়ে আছে।হাতের উল্ট পিঠে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো জিসান।
হাতটি শক্ত করে ধরে,এই মেয়ে তোর সাহস কি করে হলো,নিজেকে কষ্ট দেওয়ার।তুই কি জানিস না,তোর নিজের প্রতি কোনও অধিকার নেই।তোর সব আমার,তাহলে আমার তিশাকে কষ্ট দেওয়ার তুই কে?বল তুই কে?

'আমার তিশাকে কস্ট দিলে আমি কিন্তু তোকে আস্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো।শুনছিস আর কোনও দিন স্পর্ধা ও করবি না,এমন করার।
এই মেয়েটার মাঝে আমার হদ্রপিন্ডটা পড়ে আছে।ওর কিছু হলে ওটাও যে অকেজো হয়ে পড়বে।তা কি বুঝিস না।ওর ভেতরে আমার প্রাণটা লুকিয়ে আছে।তাহলে কেনো করলি।তুই কি ভেবেছিস আমি তোকে বিশ্বাস করিনা,ভুল বুঝেছি।
গর্দভ মেয়ে,আমার ভালোবাসা এতোটা ছোটনা যে সামান্য ঝড়ে উড়ে যাবে।আমি জানি,তুই এমন কিছুই করবি না,যেটাতে আমার কস্ট হবে।
আমার বিশ্বাসও কখনো তুই ভাঙ্গবিনা আমি জানি।জিসান হাতটিতে আরো একটা চুমো দিয়ে বুকের সাথে চেপে ধরলো।নিরবে কিছু চোখের জল তিশার হাতে পড়লো।'

||
||

"সারা রাত জিসাম তিশার হাতটি ধরে পাশেই বসে ছিলো।একটিবারের জন্যেও ছাড়েনি।ভোরে তিশার ঘুম ভাঙ্গে।মাথাটা প্রচণ্ড ভার।তাই চোখ দু'টো খুলতেও একটু কস্ট হচ্ছে।তিশার ঘুম ভাঙ্গতে দেখে জিসান উঠে রায়হান আর রেনু বেগমকে ডেকে আনলো।তিশা চোখ খুলে ভাই আর মাকে পাশে দেখতে পায়। "

---এটা কেনো করলি তুই।একবার আমাদের কথা চিন্তা করলি না।

'সরি ভাই,ইচ্ছা করে করিনি।সত্যিই!কখন যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছি বুঝতে পারিনি।'

---সারাদিন না খেলেতো এমন হবেই।রায়হান তুই বস আমি এখনি খাবার নিয়ে আসছি।রেনু বেগম চলে গেলো,খাবার আনতে।জিসান এখনো দরজার সামনেই   দাঁড়িয়ে ছিলো।

"তিশা ভাইয়ের সাহায্যে উঠে বসলো।রেনু বেগম খাবার নিয়ে রায়হানের হাতে দিয়ে সে চলে গেলো সকালের নাস্তা রেডি করতে।তিশা এখনো জিসানকে দেখেনি।তাই রায়হান কৌশলে জিসানকে ডাকলো।
জিসান তুই একটু খাইয়ে দে।আমি ওর মেডিসিন গুলো নিয়ে আসি।তিশা চকিতে দরজার দিকে তাকালো।রায়হানের মুখে কাল রাতের সব শুনে তিশা একটু আশ্চর্য হলো।কারণ তিশা জানে জিসান রেগে আছে ওর উপর। হয়তো বিশ্বাসও করেনা ওকে।তিশাতো ধরেই নিয়েছে,জিসান হয়তো ভুল বুঝে দূরে সরিয়ে দেবে।"

---জিসান কিছু একটা ভেবে খাবারটা তিশার মুখের সামনে ধরলো।কালকের ঘটনার পরও জিসানকে নিজের কাছে পেয়ে তিশার চোখ দু'টো ছলছল করে উঠলো।খাবারটা মুখে দেওয়ার সাথে সাথে চোখ বেয়ে জলগুলো গড়িয়ে পড়লো।
জিসান চোখ দুটো মুছে,আর একটা জলও যাতে না পড়ে।দাঁতেদাঁত চিপে।এখনো কিন্তু কিছু ভুলি নেই আমি।
তিশা ভয়ে চোখের পাপড়ি গুলো নেড়ে জল আটকাতে চেস্টা করছে।আজ তো জিসানের ধমকটার মাঝেও ভালোবাসা খুঁজে পাচ্ছে তিশা। 

"রায়হান মেডিসিন নিয়ে এসে তিশাকে খাইয়ে দেয়।রায়হান তুই ওকে হসপিটালে নিয়ে ফারজানা ম্যাডাম কে দেখিয়ে আসিস।আর টেস্টগুলো করে ফেলিস।তিশার দিকে একবার তাকিয়ে আমার এখন যেতে হবে।
---নাস্তা করে যা।
নারে দেরি হয়ে গিয়েছে।আরেক দিন।বায়।জিসান চলে গেলো।আর তিশা জিসানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লো।রায়হান বুঝতে পারে তিশার মনের অবস্থা। তাই তিশার মাথায় হাত দিয়ে সব ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করিস না।এখন একটু রেগে আছে,ওকে একটু সময় দে।

"বিকেলে নিশিও আসে তিশাকে দেখতে।তিশা এখন অনেকটাই সুস্থ।"
----তুই ভাইকে বলে দিস না কেনো।
তিশা অবাক হয়ে, কি বলবো।
---তিশার গাল দুটো টেনে,তুই যে ভাইয়ের প্রেমে পড়েছিস,তাও আবার গভীর ভাবে।
'কি সব বলছিস আজেবাজে। তোর ওই হিটলার ভাইকে ভালোবাসতে যাবে কে।যখন তখন হিটলারগিরি শুরু করে।রাগ তো নাকের উপর থাকেই,এখন শুধু একটা চাবুক দিলেই হয়ে যাবে।'
---আজকাল চাবুকের ট্রেন্ড আছে নি, ভাই নিলে চাবুক না পিস্তল নিবে।অবশ্য ভাইয়ের কিন্তু লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। 
'কি বলিস,তোর ভাই ওটা দিয়ে কি করে।'
----কি করে মানে যারা ভাইয়ের কথা শুনে না,তাদের শুট করে।
'তিশা ফ্যালফ্যালিয়ে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে।সত্যি কি জিসান এমন করে,তিশার ভয় তিশার চেহারায় ফুটে উঠেছে।
---তিশার ফেসটা দেখে নিশি হা হা করে হেসে দেয়।
'তিশা বুঝতে পারে ওকে বোকা বানানো হচ্ছে,তাই হাতের বালিশটা দিয়ে নিশিকে মারতে থাকে।'

____নিশি এবার সিরিয়াস হয়ে,দেখ তিশা,সত্যি বলছি।আমার এবার মনে হয় তোকে জিসান ভাইকে বলে দেওয়া উচিৎ। এভাবে আর কতোদিন। ভাই তোকে অনেক ভালোবাসে।আর কতোদিন ভাইকে কস্ট দিবি।নিজেও কস্ট পাচ্ছিস,সাথে আমার ভাইকেও কস্ট দিচ্ছিস।সময় থাকতে নিজের প্রিয় জিনিসটিকে গুছিয়ে নে,তা না হলে দেরি হয়ে যাবে।তখন আফসোস ছাড়া কিছুই জুটবে না কপালে।
"তিশা বিষণ্ণ মনে নিচের দিকে তাকিয়ে,সে আমার উপর রাগ,ভীষন রাগ।
---তাতে কি,যাকে আমরা সবথেকে বেশি ভালোবাসি তার উপর রাগ করার অধিকারও করি।আর একবার বলে দেখ,তার পর দেখি রাগ করে থাকে কিভাবে।
"নিশির কথায় তিশা যুক্তি পেলো,তিশার মনও এতে সায় দিলো।এর পরই তিশা পড়লো ভয়ানক বিপদে,কিভাবে হিটলারের সামনে দাঁড়িয়ে বলবে......

'এই যে মিস্টার আমি আপনাকে ভালোবাসি।আপনি কি আমার প্রোপজালটা একসেপ্ট করে নিজেকে ধন্য করবেন।আমি কিন্তু ওয়েট করতে পারবো না আপনার জন্য।তারাতারি একসেপ্ট করুন।তাহলে চুটিয়ে প্রেম করতে পারবো।কি বলেন মশাই।'

---কিন্তু তিশা চিন্তিত, কালকের ঘটনার পর থেকে তো উনি আমার সাথে কোনও কথা বলছে না।তাহলে কি কালকের মিথ্যাটাকে উনি সত্য মনে করেছে।আমার প্রতি কি উনার এখন আর কোনও বিশ্বাস নেই।ভাবতেই তিশার চোখ দু'টো দিয়ে জল বেয়ে পড়লো।তাহলে কি আমি কি তাকে পাওয়ার আগেই হারিয়ে ফেলেছি। 

||
||

ফ্লাশ ব্যাক

---জিসান অফিসে কাজ করছিলো।এমন সময় সোম এসে বললো,স্যার ভোরের আলো পত্রিকার সম্পাদক মিঃ মাহম্মুদ আপনার সাথে দেখা করতে চায়।
"জিসান কপাল কিঞ্চিত কুঁচকিয়ে কেনো।"
আমি জানিনা স্যার,তবে তার নাকি আপনার সাথে দেখা করা খুব ইম্পোরটেন্ট, সে আপনাকেই বলবে। "জিসান চেয়ারে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ ভেবে,ওকে পাঠিয়ে দেও।"

---সোম লোকটিকে নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করে।হ্যালো মিস্টার জিসান  আহমেদ।আমি তাসরিফ মাহম্মুদ।"
জিসান হ্যান্ডসেক করে,হ্যালো।বসুন,আর বলুন আপনার জন্য আমি কি করতে পারি।"
---আমি আমার জন্য না, আপনার জন্য এসেছি মিঃ জিসান।
"জিসান অবাক হয়ে আমার জন্য।"
---জি,হাতের একটা খাম জিসানের দিকে দিয়ে এটা আপনার জন্য।

"জিসান কিছু একটা ভেবে, ওটা হাতে নিলো।কারণ ভোরের আলো একটা নামকরা পত্রিকা এখন।আর সেই পত্রিকার সম্পাদক নিজে এখানে আসছে,নিশ্চয়ই কোনও ছোটখাটো বিষয় হবে না।"

___কিন্তু খামটি খুলে জিসান যা দেখলো এতে সাথে সাথে জিসানের মাথার পাশের রগ গুলো ফুলে যায়।চোয়াল শক্ত করে তাসরিফ মাহম্মুদ এর দিকে তাকিয়ে, এসব কি?

'আপনে যা দেখতে পাচ্ছেন মিঃ জিসান।'

---নিজেকে অনেকটা শান্ত দেখাতে ব্যস্ত জিসান।সামনে বসানো লোকটির মনের কথা বুঝতে চেস্টা করছে।কি চাই আপনার।

"এবার লোকটি একটা প্রশস্ত হাসি দিলো,আই লাইক ইট মিস্টার জিসান।সোজা ম্যান পয়েন্ট এ এসে পড়েছেন।একচুয়েলি কে এই ছবি পাঠিয়েছে আমি জানি না,তবে ছবিগুলোতে মেয়েটার পিক দেখে বুঝতে সময় লাগেনি,মেয়েটি যে বিজনেস টাইকুন মিস্টার জিসান আহমেদ এর নাবালিকা ওয়াইফ।ছবিগুলো সত্য কি মিথ্যা কেউ যাচাই করবে না।সকালের চায়ের সাথে পাবলিক এমন গরম খবর পেতে খুব পছন্দ করে।এতে আমার খবরের কাগজের চায়িদাও দ্বিগুন বেড়ে যেতো।কিন্তু আমি আমার ক্ষতি করে আপনার কথা চিন্তা করেছি।তাইতো আমার এখানে আসা।"

___জিসান তীক্ষ্ণা দৃষ্টিতে মাহম্মুদ এর দিকে তাকিয়ে কথা গুলো হজম করছে।এরপর পঞ্চাশ লাখ টাকার একটা চেক সাইন করে মিস্টার মাহম্মুদের দিকে দিলো।মি:মাহম্মুদ এর হাসিটা তখনকার থেকে বেশি প্রশস্ত হয়ে গেলো।চেকটা নিয়ে উঠতে নিবে তখনি জিসান বলে উঠলো।

"মিঃ মাহম্মুদ জানেন এই চেকটি কেনো দেওয়া হয়েছে।
--জিসানের কথা শুনে মিঃ মাহম্মুদ কনফিউজড হয়ে গেলো।
আপনে কি মনে করেছেন,ছবিগুলো পত্রিকায় না  দিয়ে আমার কাছে এনে আমাকে উপকৃত করেছেন।তাহলে শুনুন,আপনে এমনিও ছবিগুলো পাবলিস করতে পারতেন না।কারণ  আমার ওয়াইফের ছবি এবং তাকে নিয়ে কোনও কথা  মিডিয়া বা ওনলাইনে পাবলিস করা BAN করে রেখেছি আমি ।এর পরও ছবি পাবলিস হলে,তার অবস্থা কি হবে তা অবশ্যই আপনাকে বলতে হবেনা।জিসান চেয়ারে আরাম করে বসে পায়ের উপর পা তুলে।জানেন আপনাকে টাকা টা কেনো দেওয়া হয়েছে।
'মাহম্মুদ মাথা নাড়ায় না।'
আপনে যে ছবিগুলো আমাকে এসে এতো কস্ট করে দিয়ে গিয়েছেন তার জন্য।আর বুঝতেই পারছেন,ফেক হক বা আসল আমার ওয়াইফের সাথে জরিত সব কিছু আমার জন্য অনেক মূল্যবান।আশা করি আপনার ক্ষতি পূরণ হয়ে গিয়েছে।নাউ গেট আউট।"

___জিসান ছবিগুলোর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ছবিগুলোতে তিশা এবং তিশার সাথে আরো এক ব্যক্তি।যাকে তিশা জরিয়ে ধরে আছে,কোনও ছবিতে হাত ধরে বসে আছে।কোনও ছবিতে একজন আরেকজন কে খাইয়ে দিচ্ছে।জিসান ছবিগুলোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে সোমকে কল করলো।
"জি স্যার।"
"সোম খোঁজ নিয়ে দেখো আরও কোনও পত্রিকা অফিসে তিশার ছবি পাঠানো হয়েছে কিনা।ফেসবুক,টিউটার সব জায়গায় নযর রাখতে বলো আমাদের সাইবার টিমদের। কোথায়ও কোনও ত্রুটি যাতে না হয়।কিছুতেই এ ছবিগুলো যেনো পাবলিস না হয়।আর এটা কার কাজ সেটাও আমি জানতে চাই দ্রুতো। তুমি অবশ্যই জানো এখন তোমাকে কি করতে হবে।"
'ইয়েস স্যার আমি দেখে নিবো সব কিছু।আপনে টেনশন নিয়েন না।'

---সোমের সাথে কথা বলেই,জিসান অফিস থেকে বের হয়ে গেলো।পথে রায়হান কেও নিয়ে নিলো।
কি হয়েছে,জিসান।আমি খুব ইম্পোরটেন্ট মিটিং রেখে চলে এসেছি,এতো কি আর্জেন্ট বলতো।
"জিসান হলুদ রং এর খামটি রায়হানের দিকে এগিয়ে দিলো।খামটি খুলে রায়হান স্থব্ধ হয়ে গেলো।কোনও কথা যেনো মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।এটা কিভাবে হতে পারে।তিশা কখনো এমন করতে পারেনা জিসান।আমার বিশ্বাস হয়না।কে এই ছেলে,ওকে তো কখনো তিশার সাথে দেখিনি আমি।"

'আবির!আভ্রাম হোসেন আবির।'
---তুই চিনিস ছেলেটাকে।
"হুম,ইভেন তিশাও চিনে।
---ওয়াট!কি করে,আর কে?
"নিলার কাজিন।কয়েকমাস আগে এই ছেলেটার সাথে তিশা কাউকে কিছু না বলে একটা রেস্টুরেন্ট এ দেখা করতেও গিয়েছিলো।সেদিন কোইন্সিডেন্টলি আমিও ছিলাম ওখানে।সেদিনই দেখেছিলাম।কিন্তু তিশা বলছে,ওদের মধ্যে এমন কিছু নেই।"

---রায়হান রেগে,আমাকে আগে বলিস নি কেনো।আর কিছু না থাকলে,এসব কি।কথা বলতে বলতে গাড়ী রায়হানদের বাড়ীর সামনে এসে পড়েছে।
"সেটাতো তোর বোনই বলতে পারবে।কিন্তু একটা কথা মনে রাখিস এটা সত্য হলে তোর বোনকে আমার থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।"
---রায়হান এটারই ভয়ে ছিলো।এই ছবিগুলো তে বিন্দুমাত্র সত্যতা হলে,জিসান তিশাকে ছাড়বে না।আল্লাহ রহমত করো।

                       --- ড্রয়িংরুমের সোফাতে বসে তিশা গালে হাত দিয়ে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে। কারন একটু আগে রায়হান ঠাস করে তিশার গালে একটা চড় দেয়।ঘটনাটা  আকষ্মিক হওয়ায়,জিসানও হতোবম্ভ হয়ে যায়।রায়হানের এমন কান্ডে,রেনু বেগমের মেঝাজ গরম হয়ে গেলো।রাহানকে সে কখন ধরে বকতে লাগলো।

"মা তুমি জানো না তোমার আদরের মেয়ে কি করেছে।
--কি করেছে।
"রায়হান মায়ের হাতে ছবিগুলো দিলো।ছবিগুলো দেখে রেনু বেগম ও কেমন চুপ হয়ে গেলো।তারতো বিশ্বাসই হচ্ছে না,তার মেয়ে এমন কিছু করবে।এদিক দিয়ে মায়ের হাত থেকে ছবিগুলো নিয়ে দেখতে লাগলো তিশা।ছবিগুলো দেখে তিশাও শোকড।"

---এ এএসব মিথ্যে ভাইয়া।এ ছবিগুলো সত্য না।
"সত্য না রায়হান আবার তেড়ে আসলে,তিশা মায়ের পিছে ভয়ে লুকিয়ে যায়।কিন্তু তিশার কান্নায় রায়হান চুপ হয়ে যায়।মাথায় হাত দিয়ে সোপায় বসে পরে।"
---জিসান শুধু তিশার দিকে তাকিয়ে আছে,কিছু বলছে না।এতোক্ষন পর তিশাও জিসানের দিকে তাকালো।জিসানের চোখের দিকে তাকাতেই তিশা কেঁপে উঠেলো।ভয়ে মায়ের পিছে নিজেকে আড়াল করে ফেললো।

"সামনে আস,তোর সাথে কথা আছে।জিসানের ডাকে তিশার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।জিসানের ডাকেও যখন তিশা মায়ের পিছন থেকে সামনে আসলো না, তখন জিসানের ভুবন কাপানো ধমকে জিসানের সামনে এসে দাঁড়লো।জিসান তিশার হাতটা শক্ত করে ধরে তিশার রুমে নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।তিশার মাও পেছন পেছন দৌঁড়ে আসলো।কারণ জিসানের রাগ সম্পর্কে খুব ভালো করে জানে।
দরজা ভেতর থেকে লাগিয়ে দেওয়ায় সাহস পেলো না,ধাক্কা দেওয়ার।"

||
||

"তিশার পুরো শরীর ভয়ে কাঁপছে।জিসান নামক ব্যক্তিটির ভয়ে।আজ অনেকদিন পর তিশা জিসানকে এতোটা ভয় পাচ্ছে,প্রচণ্ড ভয়।"
---ছেলেটি আবির ঠিক বলছি।
কি হলো কথা বলছিস না কেনো চেঁচিয়ে। 
"জিসানের ধমকে তিশা আরো কেঁপে উঠে।মাথা নাড়িয়ে বলে,হ্যা।"
---কি সম্পর্ক তোর সাথে।
"তিশা কান্না করতে বলে,কোনও সম্পর্ক নেই।আর এই ছবিগুলো সব মিথ্যে।আবির ভাইয়ের সাথে আমি মাত্র সেদিনই একা দেখা করেছি।এর আগে শুধু আমার নিলুর বাসাই দেখা হতো।টুকটাক হায় হ্যালো ছাড়া তেমন কথা হতো না।"

---জিসান বলে উঠলো,আর।আর কোনও কথা থাকলে বলে দে,আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারলে জানিস তো কি হবে।দাঁতেদাঁত চেপে।

"তিশার কেনো জানি গলা শুকিয়ে আসছে।কথাও মুখে আটকে আটকে যাচ্ছে।জিসান এক গ্লাস পানি নিয়ে তিশার সামনে ধরলো।তিশা কাপাকাপা হাতে গ্লাসটি নিয়ে পানিটি এক ডোকে খেয়ে ফেললো।"

---এবার বল।

'এ এএকচুয়েলি আ আরো এএক টা কথা সসেদিন ববলিনি।'

---জিসান রেগে ত্যারে এসে তিশার গালটা চেপে ধরে।কথা বলতে এতো কস্ট হয় কেনো তোর। আর কি কি লুকিয়েছিস আমার সাথে বল।জিসানের চেপে ধরা অবস্থাই বলতে থাকে।আআবি র,ভাই যযে মমেয়ে টি কে পছন্দ করতো,ওটা আ আমি ছিলাম।

"জিসানের এবার রাগ যেনো সাত আসমানের উপর উঠে গেলো।দাঁতেদাঁত চেপে, তাহলে সে দিন তুই নিজের আশিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলি।আর আমাকে মিথ্যে বলেছিস।
'জিসান তিশাকে ছেড়ে।নিজের হাত দুটো মুঠো করে রাগটা নিয়ন্ত্রণ করার চেস্টা করছে।'
---আমি আপনাকে কোনও মিথ্যে বলিনি।শুধু এতোটুকু সত্য লুকিয়েছি।এছাড়া সব সত্য।আর এখনতো নিলার বিয়েও আবির ভাইয়ের সাথে ঠিক হয়ে গিয়েছে।আবির ভাই......তিশা আর কিছু বলার আগেই জিসানের পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ পড়ে গেলো তিশার গালে।থাপ্পড় টা এতো জোড়েই ছিলো যে তিশা ছিটকে বিছানায় পড়ে গেলো।"

---জিসান হাত ধরে তিশাকে আবার দাঁড় করায়।তিশার দু'বাহু খুব শক্ত করে চেপে ধরে,কি মনে করিস নিজেকে খুব চালাক তাই না।আমাকে তো তোর মানুষই মনে হয় না। কুকুরের মতো তোর আগে পিছে ঘুড়ে বেড়াই অথচ আমাকে দেখারও তোর সময় নেই।
জানিস চারটা বছর আমি প্যারিসে কিভাবে থেকেছি।রাতের আধারে আমার চোখের জলটি কেউ দেখেনি।তোর কথা মনে পড়লেই বুকের মাঝের ব্যাথাটা কেউ অনুভোব করেনি।তোর সাথে একটু কথা বলার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ওয়েট করেছি।কিন্তু তোর জীবনে তো আমার কোনও ইম্পোরটেন্টই ছিলোনা।তাহলে কথা বলবি কেনো।ঠিকতো।

"তিশার কান্নার মাত্রা যেনো আরো বেড়ে গেলো।জিসানের সব কস্ট গুলো তখন না বুঝলেও এখন তিশা বুঝে।কারণ দু'টো মনতো কবেই এক হয়ে গিয়েছে।জিসানের দিকে করুণ দৃষ্টি দিয়ে,আম সরি।আমি জানি না বুঝে আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি,প্লিজ ফোর গিভ মি লাস্ট টাইম।"

---জিসান তিশাকে ছেড়ে দিয়ে,দু'কদম পিছে চলে যায়।জিসানের এভাবে যাওয়াটা তিশার ঠিক মনে হলো না।জিসান প্যান্টের পকেটে হাত দু'টো রেখে,একটু হাসি দিয়ে,মাথাটা নিচু করে।আমি হেরে গেছি তিশা।
(কিন্তু এই হাসির পেছনের কস্টটা আজ তিশা জানে।)

'এই জিসান আহমেদ আজ পর্যন্ত কারো কাছে হারেনি,কিন্তু তোর কাছে হেরে গেলাম।কি অদ্ভুত তাই না।আমার এতো বছরের ভালোবাসাও তোর মনে জায়গা করতে পারেনি।তাহলে তোর মনেতো আমার বসবাস কখনো হবেই না।আমিই পাগল, তোকে পাওয়ার জন্য এতোটাই এগ্রেসিভ ছিলাম যে ভুলেই গিয়েছি জোড় করে ভালোবাসা হয়না।কিছুক্ষণ নিরব থেকে ।
ভালো থাকিস, জিসান তোকে আর জ্বালাবে না।'

"জিসান চলে গেলো।আর তিশা ফ্লোরে বসে পড়লো।"

---আমি জানি আমি আপনাকে অনেক কস্ট দিয়েছি জিসান।কিন্ত দেখুন আজ আমিও কস্ট পাচ্ছি।ভালোবাসার কস্ট জিসান।কেনো বুঝেন না,আমিও তো ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে।
আপনাকে ছাড়া এখন বাঁচা আমার পক্ষে সম্ভব না।আমি মরে যাবো জিসান।আমি মরে যাবো।প্লিজ আমাকে একটু বিশ্বাস করুন।আমি আপনাকে ধোকা দি নাই।জিসানএএএএ....তিশা চিৎকার দিয়ে মাটিতেই শুয়ে পড়লো।

চলবে।

No comments