ভাইয়ের_বন্ধু_যখন_বর😍 ---------(season 2) [🖤] part_30🍁
"সারা রিসোর্ট ঘুড়ে তিশাকে খুঁজছে জিসান।মাথাটা পুরো গরম।সকাল থেকে দেখাই নেই এই মেয়ের।লুকিয়ে আছে রং খেলার ভয়ে।আজ সবাই রং খেলবে বলে বাহিরে অপেক্ষা করছে,আর এ মেয়ে আমার সাথে হাইডেনসি খেলছে।একবার পেয়ে নি।মাথা থেকে সব ভূত দূর করছি।"
--জিসান ফোনটা নিয়ে সোমকে কল করে,পেয়েছো।
'ইয়েস স্যার।'
---ওকে, সেখানকার ক্যামেরা গুলো কিছুক্ষণ এর জন্য বন্ধ করে দেও।
'ওকে স্যার।'
---তো ম্যাডাম এখন পালাবে কোথায়।
"সকাল থেকে সবাই তিশাকে রং লাগাবার জন্য জোর করেছে।কিন্তু তিশা রুম থেকেই বের হয়নি।কিন্তু যখনি জিসানের নাম শুনেছে।ভয়ে রুম থেকে পালিয়ে রিসোর্ট এর টেরিছে লুকিয়ে আছে। তিশার বিশ্বাস এখানে কেউ তার খোঁজ পাবে না।জিসানতো একদমই না।
কি সব রং খেলে।রং দিয়ে একেক জন কে পেত্নীর মতো লাগে।আমাকেও এরা পেত্নী বানাতে চায়।
তিশাতো জানেই না,পুরো রিসোর্ট এ সি সি টিভি ক্যামেরা লাগানো।তাই তিশা যেখানেই লুকাক, জিসানের নযর থেকে বাঁচতে পারবে না।"
---রং খেলার জন্য তিশাকে রেনুবেগম ধরে বেধে একটা মিস্টি কালারের শাড়ী পরিয়েছিলো সকালে।তখন হয়তো মাকে কিছু বলতে পারেনি,পরে আর খোলার সুযোগ পায়নি।তিশা নিজের আঁচলটা ঠিক করার সময়,হঠাৎ ছাদে কারো উপস্থিত টের পেয়ে চকিতে তাকায়।
আর জিসানকে দেখেই ভয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে।আ আ আপনে এখানে।কিভাবে?
'আলাদিনের চিরাগ ঘষে....।'
--ম..মানে এ!
"মানে মানে করে লাভ নেই জান।শুধু চিন্তা কর এখন তোর সাথে কি হবে।"
'দ...দেখুন স সামনে আসবেন না।আমি কোনও রং লাগাবো না।আপনে গিয়ে লাগান যান।যতোসব আজাইরা জিনিস।'
---এটা কি করে হয় জান,আমার রং এ তোকে রাঙ্গাবো না।যাক ভালোই হয়েছে___জিসান দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে।ওখানে মানুষের ভিড়ে ভালো করে লাগাতে পারতাম না।কিন্তু এখানে তো তুই আর আমি ছাড়া কেউ নেই।তাহলে কি কি হবে একটু ভাব।
"তিশা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে,জিসান কি ইশারা করছে।তিশার এখন নিজের মাথায় নিজেরি বাড়ী দিতে মন চাইছে,গাধী আগেই বোঝা উচিৎ ছিলো।একে বোকা বানানো এতো সহয না।নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেলি।"
'-তিশা মুখে একটু মেকি হাসি দিয়ে,চলুন আমরা নিচে যাই।ওখানেই সবার সাথে রং খেলা খেলি কেমন।সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিশা পাশ কেটে চলে যেতে নিলেই,জিসান হাতটা ধরেই তিশাকে দেয়ালের দিকে মুখ রেখে চেপে ধরে।এতো সহযে জান।আগে আমরা দু'জন খেলি,বাকি সবাই পরে।'
---জিসান সাথে করে রং নিয়েই এসেছিলো।তিশার কাধের চুলগুলো সরিয়ে গভীর ভাবে কয়েকটা কিস করে হাতে থাকা রংগুলো দিয়ে খোলা পিঠটি রাঙ্গিয়ে দেয়।
একহাত দিয়ে আবার তিশাকে সামনে ঘুড়িয়ে দুগালে আলতো করে চুমো দিয়ে সেখানেও রং মাখিয়ে দেয়।
তিশা চোখদুটো কুঁচকে বন্ধকরে রেখেছিলো এতোক্ষন। কিন্তু জিসানের কোনও সারা না পেয়ে চোখ খুলে দেখে জিসান এখনো ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
তাই তিশাই বলে উঠলো,কি হলো সরুন।রং মাখা শেষ।এবার আমাকে যেতে দিন।
"জিসান আরো একটু সামনে এসে,এখনো কিছুটা বাকি আছি জান।"
---তিশা ভ্রকুচকে জিসানের দিকে তাকায়।জিসান রং মাখা হাতটা দিয়ে তিশার পেটটার মধ্যে স্লাইড করতে লাগলো।জিসানের এমন কার্যে তিশার এখন কান্না পাচ্ছে,এমন টর্চার কেনো করে লোকটি।সহ্য করার মতো না।
আঘাত করে কিন্তু আঘাতের দাগ নেই।কিন্তু অসহনীয় জ্বালা বয়ে যায় পুরো শরীরে। উফ!
"এর পর তিশা ও জিসান দু'জন নেমে আছে,বাগানের লনে।তিশাকে এভাবে রং মাখানো দেখে সবাই মুখচেপে হাসতে লাগলো।কারণ তিশা পুরো রং মেখে ভূত হয়ে গিয়েছে।
রাগে জিসানের দিকে তাকালে,জিসান একচোখ টিপ মেরে চলে যায়।এর পর সবাই এক এক করে রং লাগিয়ে দেয় ওদেরকে।রং খেলা প্রায় দুপুর পর্যন্ত চলেছে।"
----এসবের মাঝে নিশি আজ রায়হানকে চরম মাত্রায় জালিয়েছে।ব্যাচারা রায়হান দাঁতেদাঁত চিপে নিশির অত্যাচার গুলো সহ্য করেছে।কারণ নিশি জিসানের বিদেশি ফ্রেন্ডসদের জন্য আনা ড্রিংকসগুলো থেকে ভুলে ড্রিংক করে ফেলে।
যার জন্য নিশির কোনও হুসই ছিলোনা।আর নেশায় নিশি রায়হানকে আজ আঙ্গুলে নাচিয়েছে।অবশেষে রায়হান সবার আড়ালে নিশিকে রুমে নিয়ে যায়।কারণ বড়রা দেখলে ভীষন কেলেংকারী হয়ে যাবে।
"আমাকে একটা চুমো দেন না,রায়হান ভাই।প্লিজ।"
---নিশি সেট আপ।তুই নেশায় এখন।তাই এসব উল্টাপাল্টা কথা বলছিস। রুমে চল একটু বমি করার চেস্টা কর ঠিক হয়ে যাবে।
'না না আমি যাবো না।নিশি নিচেই বসে পরে।আমাকে কোলে করে নিয়ে না গেলে এখানেই থাকবো।ঠোঁট উল্টিয়ে বলে।
---নিশি উঠ,রাগ উঠে যাচ্ছে আমার।
"উঠুক আমি কি করবো।আমিতো এখানেই থাকবো।হরতাল হরতাল।সবার মাথায় পানি ডাল।সবার আগে রায়হান ভাইয়ের মাথায় পানি ঢাল।"
---উফ নিশি,মাথাটা মনে হয় পুরো গেছে তোর।চল,কেউ আসার আগে।রায়হান উপায় না পেয়ে নিশিকে কোলে তুলে নিলো।রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে,শরীরে চাদরটা দিয়ে বলে,বিশ্রাম নে, আমি কাউকে ডেকে আনছি।
রায়হান চলে যেতে নিলেই নিশি রায়হানের পান্জাবীর কলারটা টেনে ধরে বিছানায় ফেলে দেয়।ঘটনা আকষ্মিক হওয়ায় রায়হান ঢাল সামলাতে পারলো না।নিশি রায়হানের উপর উঠে বসে।"
'এতো পালান পালান করেন কেনো বলেনতো।আমাকে কি ভালো লাগে না।আমি কালো বলে,আমাকে ভালোবাসেন না তাইতো।'
"নিশি কি বলছিস।"
---হুম আমি ঠিক বলছি।আমি আপনার বাকি মেয়ে ফ্রেন্ডসদের মতো সুন্দর না বলে আমাকে ভালোবাসেন না।কাঁদোকাঁদো কন্ঠে নিশি রায়হান কে এসব বলছে।
"রায়হান খুব অবাক হলো নিশির কথা শুনে।নিশি আমার ইগনোর কে মনে মনে এভেবে নিচ্ছে।নিশির মুখটা ধরে সামনে এনে, আমি তোকে অনেক ভালোবাসি নিশি, অনেক।"
---নিশি ঠোঁটটা উল্টিয়ে, মিথ্যা বলছেন।
'উঁহু, একদম সত্য।'
----প্রুভ করুন, আপনে আমাকে ভালোবাসেন।রায়হান এর হঠাৎ যেনো কি হলো।নিশিকে বিছানায় ফেলে,নিজেই নিশির উপর উঠে নিশির ঠোঁট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিলো।নেশায় থাকা নিশিও রিসপনস দিতে লাগলো।
রায়হানও কেমন ঘোড় এর মধ্যে চলে গেলো।ক্রমশ ঠোঁটের তীব্রতা বাড়তে লাগলো।উষ্ণা ঠোঁটগুলো আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসতে লাগে।আবেশে রায়হান ও কিছুটা কন্ট্রোললেস হয়ে পরেছিলো।
হঠাৎ নিশির শব্দ না পেয়ে রায়হান তাকিয়ে দেখে নিশি ঘুমিয়ে গিয়েছে।রায়হান একটা মুচকি হেসে নিশিকে বুকে টেনে নিলো।নিশির কপালে একটা কিস করে,এতোটুকু আদরই সহ্য হলোনা,সুইটহার্ট।রায়হান একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে,আজকের মুহুর্তটা হয়তো তোর মনে থাকবে না।কিন্ত আমি ভুলবো না কোনওদিন।
||
||
"আজ রাত আমার ছুটি,তবে জিসানের রাতে ব্যাচেলার পার্টি চলবে নাকি।ওনলি জিসানের ফ্রেন্ড আর কাজিনদের সাথে।ওখানে নাকি কোনও ফিমেল নো এলাউড।বাহ!সাহেব আমার বড়ই মুডে আছে।
ভাবলাম যাক আজ একটু নিজের সাথে একান্ত সময় কাটাবো।কারণ কাল থেকে জীবনের মোড় ঘুড়ে যাবে।হয়তো এমন ভাবে নিজেকে নিয়ে ভাবা হবে না।"
---সকাল উঠে মায়ের বকাগুলো খুব মিস করবো এখন থেকে।সবার রাগ গুলো যখন মা আমার উপর ঝারতো তখন খুব বিরক্ত লাগতো।কিন্তু এখন এসব খুব মনে পড়ছে।
রায়হান ভাইয়ের আমার সব কথায় নাক গলানো।তার শাসন গুলোও খুব মনে পড়বে।আর বাবা,তার জন্যতো সব সময় প্রিন্সেসই ছিলাম আমি।আমার বাবার রাজ্যের প্রিন্সেস। কতো না স্মৃতি জরিয়ে আছে এ মানুষ গুলোর সাথে।এসবই তো বেঁচে থাকার প্রেরণা ছিলো আমার।কি করে থাকবো আমি তাদের ছেড়ে।এসব ভেবেই তিশার চোখগুলো ভরে গেলো।
"তিশার উদাসীনতা বেশিক্ষণ রাখতে পারলো না,তিশার রুমের দরজা খুলে হুরহুর করে নিশি,নিলু,তানজিলা ও জিসানের ও তিশার কাজিনরা ঢুকে পড়লো।সবাইকে একসাথে দেখে তিশা অবাক হলো।নিশি তিশার পাশে বসে,নতুন বঁধু কাঁদো কেনো।"
'তোকে কে বলেছে আমি কাঁদছি। '
---কে আর বলবে তোমার বর আমাদের ফোন করে বললো,তোমাকে একা না ছাড়তে।একা থাকলেই তুমি কান্না করবে।তাইতো আমরা গার্লস পার্টির আয়োজন করলাম।
আজ রাত আমরাও পার্টি করবো।কি বলো সবাই…………সবাই চিল্লিয়ে ইয়াএএএএএ।
'কি অদ্ভুত লোক, নিজে পার্টিতে গিয়েও আমার চিন্তা করে।'
"সবার আবদার আজ দুলহানকেও নাচতে হবে।আমি হাজার মানা করার পরও কেই শুনলো না।আজ আমাকে নাচিয়েই ছাড়বে সবাই।অবশ্য একলা ঘরে যখন কেউ থাকতো না,আমি,নিশি,আর নিলু কতো নাচানাচি করেছি।তবে সবার সামনে ব্যাপারটা আলাদা।কিন্তু সবার জোড়াজোরিতে করতেই হলো।নিশা ছেলে সেজে আমার পাশে দাঁড়ালো নাচার জন্য।ও বরারবই এমন করে,গান চালু হয়ে গেলো।
Hai wo handsome sona sabse
Mere dil ko gaya le kar
Meri neend chura li usne
Aur khwab gaya dekar (x2)
Ab ye naina bole yaar
Bole yehi lagataar
Koi chaahe kitna roke karungi pyar..
Mere saiyaan superstar
O Mere saiyaan superstar
Main fan hui unki
O mere saiyaan superstar (x2)
Haan jabse usne akhiyon se
dil pe autograph diya
Tabse everyday maine
bas usko hi yaad kiya (x2)
Senti mere jazbaat o sunle mere dil ki baat
Saath mujhko le ke jaa main hoon taiyaar...
Mere saiyaan superstar
O Mere saiyaan superstar
Main fan hui unki
O mere saiyaan superstar (x2)
Filmy style se jab usne
kal raat mujhe propose kiya
Daayein na dekha, baayein na dekha
Usko dil ka rose diya (x2)
Huve charche chaar hazaar
Photo chhap gayi in akhbaar
Mujhko parwah nahi koi I'm with the star..
Mere saiyaan superstar
O Mere saiyaan superstar
Main fan hui unki
O mere saiyaan superstar (x2)
"তিশা আর নিশির জুটিতে নাচ দেখে পুরো রুমের সবাই বেশ এনজয় করছে।কেউ ভাবতেই পারেনি তিশা এতো সুন্দর নাচবে।কিন্তু তিশা জানেই না,কেউ একজন ওদের কার্যকলাপ সব দেখছে।একচুয়েলি তিশার নাচের ভিডিও করে ওরই এক কাজিন জিসানকে সেন্ড করে দিয়েছে।
ব্যাচারা জিসান নিজের বউয়ের এই রুপটাতো আগে দেখেই নি।তাই প্রথমে শোকড হলো।"
---ক্লাবে বসে সবাই জিসানকে ফোনে কিছু দেখতে দেখে রায়হানসহ,জিসানের ফ্রেন্ডসরা ও দেখতে এলো ব্যাপারটা কি।জিসানের পিছে দাঁড়িয়ে ওরাও চুপি চুপি তিশার নাচের পুরো ভিডিওটা দেখলো।ভিডিওটা দেখে,জিসান ফোনটা পকেটে রেখে সপ্ট ড্রিংকের গ্লাশটা হাতে নিয়ে মনে মনে বলছে।এরুপ কিভাবে অজানা রয়ে গেলে আমার বউয়ের।হঠাৎ পেছনে বন্ধুদের করতালিতে জিসানের ধ্যান ভাঙ্গলো।"
---ওয়াট!
'-আরে জিসান,ভাবি তো দেখি তোর থেকেও ফাস্ট। যাই বলিস তোর থেকেও ভালো নাচে।শালা এতোদিন ফাংশনে একা একা না নেচে বউকে সাথে করেই তো নাচতে পারতি।
জিসান মৃদু হেসে বললো,আসলোই মিস করে দিয়েছি।ম্যাডাম নিজের টেলেন্ট লুকিয়ে রেখে আমাকে বোকা বানালো।
'সবাই হা হা করে হেসে দিলো।'
||
||
"আজ জিসান ও তিশার বিয়ে,অনেক প্রতিক্ষার পর দিনটি এলো।তিশার বিয়ের শাড়ী দেখে সবাই অবাক।কারণ শাড়ীটি ছিলো সাদা কাতানের মাঝে গোল্ডেন ফুল করা,আর বোর্ডারে অংশ লাল।কি অদ্ভুত, বিয়েতে বউকে কেউ সাদা শাড়ী দেয়।
সবাই এনিয়ে কিছু অভিযোগ করলেও তিশার কোনও অভিযোগ নেই।অবশেষে তিশাকে সাজানো হলো,সাদা কাতান,লাল ব্লাউজে।সাথে জুয়েলারি ছিলো মুক্তা আর ডায়মন্ড,আর চুলে ছিলো জিসানের পছন্দের বেলিফুলের মালা।পুরো সাজ কমপ্লিট হবার পর কেউ যেনো চোখ ফেরাতেই পারছে না।এতো সুন্দর বউ দেখে।প্রতিটি জিনিস একদম পারফেক্ট।
জিসানকেও কোনও রাজকুমারের থেকে কম লাগছে না আজ।"
---অবশেষে সেই সময় আসলো,আজ তিশাকে আবারও কবুল বলতে হবে,এর আগের বারের কবুল বলতে এতোটা কস্ট হয়নি তিশার।কারণ তিশা তখন বিয়ের মানেই বুঝতো না।কিন্তু আজ তিশার বুক ফেটে যাচ্ছে,মুখ দিয়ে কবুল শব্দটি বলতে গিয়ে।কতোটা কস্ট হয় এই সময় একটি মেয়েই জানে।এটার অনুভূতি বলে বুঝানো যাবে না।অবশেষে তিশার বাবা ভাইয়ের অনুরোধে কবুল বলেই দিলো তিশা।
---"বিদায় "বিয়ের মধ্যে সবথেকে বেদনাময় একটা মুহুর্ত।নিজের কাছের মানুষগুলো ছেড়ে যাওয়ার বেদনা একটা মেয়েই শুধু বুঝে।তিশার কান্নায় আজ জিসানেরও কস্ট হচ্ছে।জিসানও বুঝতে পারে,এটা কতোটা কস্টের একটা মুহুর্ত।কিন্তু কিছু করার নেই।তিশাতো ওর বাবাকে জরিয়ে যে কাঁদছে থামার নামই নেই।
সবাই অনেক কস্টে তিশাকে গাড়ীতে বসালো।গাড়ীর ভেতরে বসেও তিশা রায়হানের হাতটা ছাড়েনা।কি অদ্ভুত আমাদের নিয়ম।একটা নতুন সম্পর্ক কে আপন করতে গিয়ে পুরানো সব সম্পর্ক গুলো পিছে ফেলতে হয়।
"গাড়ী চলছে তার আপন গতিতে।চেনা চেহারা গুলোকে ফেলে।জিসান যথেস্ট চেস্টা করছে তিশাকে চুপ করাতে।একসময় ক্লান্ত হয়ে তিশা জিসানের কাধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পরে।রিসোর্টটি যেহেতু শহর থেকে দূরে ছিলো,তাই তাদের বাড়ী যেতে বেশ সময় লেগে গেলো।"
---রাত ১০টায় জিসান ও তিশা আহমেদ ভিলায় পৌঁছালো।জিসানের মা, তানজিলা আর জিসানের কিছু আত্মীয় বরণ ডালা নিয়ে ওদের অপেক্ষা করছিলো।তিশা আহমেদ ভিলার দরজার সামনে এলে,এক এক করে সাতজন বিবাহিত নারী তিশাকে আশীর্বাদ করে বরণ করলো।এটা নাকি এ বাড়ীর নিয়ম।
এর পর জিসানকে তানজিলা ভাবি কি এমন ইশারা করলো,জিসান সবার সামনেই আমাকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করে,ড্রয়িং রুমের সোফাতে বসায়।জিসানের কাজিনরা কিছুক্ষণ আমাদের নিয়ে বাকি কিছু নিয়মকানুন ছিলো,সেগুলোও করে ফেলে।রাত ১২টায় ভাবি আমাকে জিসানের রুমে রেখে চলে গেলো।
"এই রুমটায় আমি আগেও এসেছি।কিন্তু আজ রুমটা অন্য রকম লাগছে।পুরো রুমটা সাদা আর রেড গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।রুমটাও কিছু চেন্জ করা হয়েছে।রুমের আলমারিটাও চেন্জ করা হয়েছে।ড্রেসিংটেবিল এ আমার প্রয়োজনীয় সব কিছু রাখা আছে।সব থেকে যেটা আমার মনকে ছুঁয়ে দিয়েছে তা হলো। বেডের সামনের দেয়ালে আমার আর জিসানের একটা বড় ছবি বাঁধানো।
ছবিটি আমাদের এবারের বিবাহ বার্ষিকীতে তোলা হয়েছিলো।চোখটা কেনো জানি পানিতে ভরে গেলো।মাঝে মাঝে মনে হয় এতো সুখ কি কপালে সইবে আমার।"
---হঠাৎ জিসান তিশাকে পেছন দিয়ে জরিয়ে ধরলো।
"জান,আর ইউ ওকে।"
---হুম,আমি ঠিক আছি।
"তাহলে কি চিন্তা কিরছিস।"
---কিছু না।
"টায়ার্ড লাগছে।"
---উঁহু।
"ওকে, আমি ফ্রেস হয়ে আসি।তিশা শুধু মাথা নাড়ালো।"
---তিশা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ীর পিন গুলো খুলতে লাগলো।মাথার ওড়নাটা ও খুলে ফেললে।গলার হারটা খুলতে গিয়ে চুলের সাথে আটকে গেলো।জিসান ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে দেখে তিশা একপ্রকার টেনে হারটা খুলার চেস্টা করছে।জিসান গিয়ে নিজেই খুলে দিলো।এক এক করে বাকি সব গহণা গুলোও খুলে দিয়ে,আস্থে আস্থে করে চুলের ক্লিপগুলোও খুলে দিলো।তিশার চুলগুলো খুলতে খুলতে তিশার চুলে নাক ডুবিয়ে নাক ঘষতে লাগলো।
ইউ লুকিং সো গর্জিয়াছ জান।একদম আমার স্বপ্নের তিশার মতো।তিশার কাধের শাড়ীটা একটু সরিয়ে কাধে একটা ডিপলি কিস করে বলে,
জাএএন,আজ আমি তোকে ভালোবাসতে চাই,একদম গভীর ভাবে।আজ আমি তোকে পেতে চাই,নিজের করে।আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারবো না।আজ আমার সব ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গিয়েছে।
"তিশার লজ্জাময় হাসিতে জিসান ওর জবাব পেয়ে যায়।"
---তিশাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দিলো।এরপর নিজে আধোশোয়া হয়ে তিশার ঠোঁটদু'টো নিজের দখলে নিয়ে নিলো।ধীরে বেড়ে গেলো তাদের নিশ্বাসের গতি।জিসানের ঠোঁটের উষ্ণ ছোয়ায় ভরিয়ে দিচ্ছে আজ তিশাকে।ভালবাসার এক গভীর সমুদ্রে আজ দুজন ডুব দিলো।একে একে আবরণ গুলোও সরে যেতে লাগলো,ওদের ভালোবাসার মাঝ থেকে।
তিশাকে আজ সত্যিই আদরে ভরিয়ে তুলছে জিসান।আস্থে আস্থে দুজনেই গভীরভাবে ভালোবাসতে লাগলো দুজন দুজনকে।
এতো বছরের অপেক্ষা আর সাধনা সবই আজ ভালোবাসা রুপে প্রকাশ পেলো।হারিয়ে গেলো আজ দুজন দুজনের মাঝে।এতো বছরের পবিত্র ভালোবাসা আজ দুজনের মিলনের মাধ্যমে পূর্নতা পেলো।তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আজ সম্পূর্ণ রুপে পরিপূর্ণ হলো।
চলবে.....
No comments